ট্রাভেল পোস্ট- " সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমন পর্ব-২ " II written by @maksudakawsarII

in আমার বাংলা ব্লগ23 days ago

আসসালামু আলাইকুম

এ কদিনে একটি কথা বেশ বুঝে গেছি। সেটা হলো এখন আর আমাদের ভালো থাকা আর মন্দ থাকার বিষয়টি নিজেদের উপর ‍নির্ভর করে না। কি করে নির্ভর করবে বলেন? যে হারে দিনে দিনে তাপ প্রবাহ বেড়েই চলেছে তাতে করে ভালো থাকাটাই যে বেশ কষ্টের। তবে আমরা শুধু পারবো ভালো থাকার চেষ্টা করতে এই আর কি। তাতে যতটুকু ভালো থাকা যায়। চারদিকের যে পরিবেশ তাতে যে আমাদের কপালে কি আছে কে জানে।

চলে আসলাম আজ আবার। চলে আসলাম আপনাদের কে কিছুটা ভ্রমণের তৃপ্তি দিতে। হুম। মনে আছে আপনাদের? ক দিন আগে সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমণের প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আর আজ চলে আসলাম সুবর্ণ গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর আরও কিছু কথা নিয়ে। নিজের কিছু আনন্দ যদি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি তাহলে আপনারাও আনন্দিত হবেন সেটা আমি জানি। ও আর একটি কথা। আপনারা যারা আমার সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমণের ১ম পর্ব পড়তে পারেন নি,তাদের জন্য কিন্তু আমি পোস্টের লিংকটি দিয়ে দিলাম। চাইলে পড়ে আসতে পারেন।

image.png

image.png

👌প্রথম পর্ব

সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমন পর্ব-২

image.png

image.png

তো জীপ গাড়ীতে পুরো সুবর্ণ গ্রাম ঘুরে দেখবো কিনা তা নিয়ে যখন মত বিরোধ চলছিল তখন আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম। হেটে হেটে সুবর্ণ গ্রাম ঘুরে বেড়াবো। আচ্ছা বলেন তো কোথাও ঘুরতে গিয়ে যদি জীপে চড়ে বসি তাহলে কি দেখবো সেই জায়গার? আর যেহেতু টাকা খরচ করে গেছি তাই শুধু শুধু জীপে উঠে লাভ কি? আর আমার সিদ্ধান্তটাই সবাই মেনে নিলো। আর আমরাও শুরু করলাম সামনের দিকে হাটা।

image.png

image.png

হাটতে হাটতে দেখলাম সামনে বেশ কিছু রাইড রয়েছে। সবাই সেখানে নিজেদের মত করে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছে। তাই আমরাও গেলাম। কারন নাচতে যখন এসেছি তখন তো কোমড় দোলাতে হবেই। আর রাইডে না চড়ে এই জায়গা থেকে চলে আসলে তো আমার খবর আছে। সবাই ভাববে যে আমিই তাদের কে রাইডে চড়াই নাই। হি হি হি। আর যেহেতু প্রতিটি রাইড ১০০ টাকা করে তাহলে মিস করে লাভ কি। সেখানে মোট ৪-৫টি রাইড। যার মধ্যে ভয়ানক একটি রাইড আছে। যেটায় আমরা উঠিনি।

image.png

image.png

তবে সবাই চড়লেও আমি কিন্তু কোন রাইডে চড়িনি। এমনিতেই আমি নরম সরম মানুষ। পড়ে এগুলোতে উঠে কি না কি হয়। সেই ভয়েই মাথা থেকে উঠার চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে দিলাম। তবে সবাই যে উঠছে সেগুলোর ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি নিয়ে আমি ব্যাস্ত সময় পাড় করলাম। বিশেষ করে নাগর দোলায় যখন সবাই উঠলো সে কি যে মজা করলো সেটা তো আর বুঝানো যাবে না। এ যেন এক মহা আনন্দ।

image.png

তারপর গেলাম সেই ভায়নক রাইডের দিকে। যেখানে ভয়ে কেউ উঠতে চায় না। বাপরে বাপ কি যে ভয়ংকর! কয়েকজন মানুষ উঠে আর তাদের কে ব্লেট দিয়ে বাদে। তারপর এমন ভাবে ঘুরায় যে দুনিয়ার কোন কিছুই দেখা যায় না। উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ঢিগবাজী দিয়ে। আমি তো ভয়ে শেষ। পিচ্চিটা দুই একবার উঠার জন্য কাছে গেলেও পরে আবার ফিরে এসেছে। আবার কয়েকজন অল্প বয়সের মেয়ে যারা নাকি বেশ আগ্রহ নিয়ে গিয়েছিল। সব কিছু রেডি হওয়ার পর তারাও দেখলাম ফিরে এসেছে। তবে আমরা না উঠলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছিলাম। যা একদিন আপনাদের কে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করবো।

image.png

image.png

তারপর তো একে একে সব গুলো রাইড শেয়ার করা যখন শেষ হলো আর নিজেদের মত করে নিজেরা যখন কিছু আনন্দ ভাগ করে নিলাম। তখন প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেলাম। তারপর কিছুটা রেস্ট নিয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগুতো লাগলাম। অনেক সুন্দর প্রকৃতি ঘেরা এই সুবর্ণ গ্রাম।তো এক পা এক করে যখন সামনে গেলাম তখন চোখে পড়লো শান্তি এক জায়গা। মানে সুইমিংপুল। এই লোভ কি আর ছাড়া যায়? আর তাইতো সবাই মিলে চলে গেলাম সেখানে। ওমা এ কি কান্ড! এখানেও নাকি গোসল করতে টাকা লাগে। কই আমাদের গ্রামের পুকুরে গোসল করতে তো টাকা লাগে না। তাই তো পড়ে গেলাম চিন্তায়। কি করবো কি। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটবো নাকি কাটবো না? বিষণ ঝামেলায় পড়ে গেলাম। আচ্ছা আপনারাই বলেন তো সেদিন কি সুইমিং পুলে সাঁতার কেটেছিলাম?

শেষ কথা

হ্যাঁ বন্ধুরা সেদিন আমরা কি সুবর্ণ গ্রামের এই সুন্দর সুইমিং পুলে সাতাঁর কেটেছিলাম নাকি? সেই বিষয় যদি জানতে চান তাহলে আপনাদের কে চোখ রাখতে হবে আমার সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমনের পরের পর্ব গুলোর দিকে। সেই অবদি সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকেন। আল্লাহ হাফেজ।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 23 days ago 
 23 days ago 

সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমনের ২য় পর্ব নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনি ঠিকেই বলেছেন ভেন্যুতে যেয়ে আবার কারে ঘোরাঘুরি কেন! পায়ে হেটেই সৌনর্য্য উপভোগেই ভালো। ইচ্ছে মত ছবি তোলা ও ভিডিও করা যায়। পোস্টের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আর হ্যাঁ আপু, আমার মনে হচ্ছে সুইমিং পুলে আপনি সাতার কেটেছেন। ঠিক বলেছি তো!! লেখাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 23 days ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

 23 days ago 

খুব সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ সম্পর্কে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। অচেনা একটি স্থান সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম। এ সমস্ত জিনিসগুলোতে না চড়াই ভালো। আমার খুবই ভয় লাগে। আমি অনেকবার পার্কে ভ্রমণ করতে গেছি কিন্তু কখনও বিভিন্ন প্রকার রাইডগুলো বা দোলনাতে আমিও উঠি নাই।

 23 days ago 

বেশ করেছেন। রাইডে না উঠাই ভালো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 23 days ago 

সুবর্ণ গ্রাম আমাদের বাসার পাশেই আপনার শ্বশুর বাড়ির এলাকা। বিশাল বড় জায়গা নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে স্পটটা সাজিয়েছে। আপনি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,যদি জীপে উঠে ঘুরেন তাহলে ঠিক ভাবে দেখতে পারবেন না। হেটে হেটে দেখার কারনে ঠিক ভাবে সব কিছু উপভোগ করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

 23 days ago 

আগে জানলে তো ‍ঘুরে আসতাম। বেশ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 23 days ago 

আমিও বলবো না। পড়ে আমরা কি করেছিলাম? আগামী পর্বেেই সবাই জানতে পারবে। আমার শুধু ঢোল পিটানোর দরকার কি। তবে এতটুকু বলতে পারবো যে বেশ মজা করেছিলাম সেদিন। ধন্যবাদ দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য।

 22 days ago 

ধন্যবাদ না বলার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 69633.73
ETH 3805.56
USDT 1.00
SBD 3.74