ঈদ আয়োজনের পূর্ব প্রস্তুতি যখন শেষ পর্যায়ে।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
ঈদ মুবারক
আমার কাছে সব সময় মনে হয় ঈদের আগে যখন ঈদ আয়োজনের প্রস্তুতি চলে সেই সময়টায় বেশি আনন্দ অনুভূতি হয় মনে। একেকটা দিন চলে যায় আর মনে হয় ঈদ আরো কাছাকাছি চলে এসেছে। এরকম অনুভূতি নিয়ে প্রতিদিনের ব্যস্ততা চলতে থাকে।
একপর্যায়ে যখন চাঁদ রাত চলে আসে তখন আনন্দের মাত্রা আরো অনেক বেড়ে যায়। ঈদের আনন্দ অনেক বেশি হয় চাঁদ রাতে। চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে শেষ পর্যায়ের কেনাকাটা সে এক অন্যরকম অনুভূতি। তারপর ঈদের দিন দুপুর গড়িয়ে গেলেই ঈদের আনন্দ শেষ পর্যায়ে চলে আসে।
আজ যখন লিখতে বসলাম তখন ঘড়ির কাঁটায় একটা বেজে দশ মিনিট। এখন এই অনুভূতিটা একটু বেশি হচ্ছে। ঈদ আসছে তাই এর আয়োজন নিয়ে যতটা উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল সেটা এখন আর নেই। আবারো ঈদুল ফিতরের জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
হয়তো ততদিনে অনেকেই বেঁচে থাকবে না আর এই পৃথিবীতে। তবুও সামনের দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা থেকেই যাবে। যাইহোক আমার ঈদ আয়োজনের শেষ মুহূর্তের কর্মব্যস্ততা নিয়ে কিছু এখানে শেয়ার করছি।
প্রচন্ড গরমের মাঝে রোজা রেখে বারবার কেনাকাটা করতে আসা অনেক কষ্টকর ব্যাপার। সে কারণে বাজারে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজকেই শেষ করে যাব যত রাত হোক না কেন। দোকানপাট সেহেরির আগমুহূর্ত পর্যন্ত খোলা থাকে তাই কোন চাপ না নিয়ে কেনাকাটা করছিলাম
ঘুরতে ঘুরতে কিছুটা ক্ষুধা লেগে গেল, হঠাৎ নতুন এই মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট চোখে পড়লো। হালকা কিছু খেয়ে নিলাম কারণ আর অল্প কিছুক্ষণ পরেই সেহরি খেতে হবে। খাওয়া-দাওয়া শেষে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা শুরু হলো।
ছোটবেলা থেকেই আবরণী কালেকশনে কেনাকাটা করা হয় কারণ এখানকার কালেকশন কিছুটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। মানসম্মত ছেলে ও মেয়েদের পোশাক এখানে পাওয়া যায়।
এখানে আসতে আসতে এমন অভ্যাস গড়ে উঠেছে এখন আর অন্য কোথাও গিয়ে ড্রেস পছন্দ হয় না। তাই ঘুরেফিরে এখানেই আসতে হয়। তাছাড়া বাড়তি একটি সুবিধা আছে, ছোট থেকে বড় সকলের কেনাকাটা এখানেই শেষ করা যায়।
দোকানে এসে প্রথমে আমরা ছোট ছেলে ও মেয়ের ড্রেস কেনা শেষ করেছিলাম। এর আগে দুইটা শোরুমে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোন ড্রেস পছন্দ করতে পারছিলাম না। আর গরমে একদম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম।
এদের এখানে এসে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেল কারণ এসি চলছিল দুইটা শোরুমের ভিতরে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমার জন্য পাঞ্জাবি ও গিন্নির জন্য জামা এখানেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। তারপর বিপরীত দিকে শার্ট নেয়ার জন্য চলে আসলাম।
এক দোকানে এসেই আমার প্রায় ৭০% কেনাকাটা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। বাকি সব খুচরা কেনাকাটা বাইরে এসে তাড়াতাড়ি করে নিয়েছি। যাইহোক আমার জন্য দুইটা শার্ট কিনে নিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
তবুও বাসায় ফিরতে রাত দুইটা পার হয়ে গিয়েছিল। এত রাত্রে এসে আর ঘুমানোর মতো ভুল করিনি কারণ ওই সময় ঘুমালে উঠে সেহরি খাওয়া আর হতই না বলা যায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সবাই সহ গল্পগুজব করে কাটালাম। তারপর সেহরি খাওয়ার পর ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
আমার মত নিশ্চয়ই সকলের খারাপ কাটেনি আজকের ঈদের দিন। আমি নামাজ শেষ করে এসে দুপুরে খাবার খেয়ে শেষ বিকেলটা ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। আশা করছি সবাই পুরোদিন ঘোরাঘুরি করে অনেক আনন্দে কাটিয়েছেন। তবে আমি আজ পরিবারের সকলের সঙ্গে একসাথে থাকতে পেরেছি এতটুকু বলতে পারি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া ঈদুল ফিতর আবার দীর্ঘ এক বছর পর আসবে আর ততদিনে বেঁচে থাকবো কিনা সেটা উপর আল্লাহ জানে। যাই হোক আপনি আপনার কেনাকাটার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন, আমাদের এখানেও আবরণের শাখা আছে আর সেখানে শুধু মেয়েদের পোশাক বিক্রি করা হয়। ঘুরাঘুরি না করে যদি ভালো কোয়ালিটি সম্পূর্ণ পোশাক কিনতে হয় তাহলে সেখানে গেলে একবারে পছন্দ হয়ে যায়।
আশায় বেচে থাকা মানুষের ধর্ম। আশা করছি আমরা সবাই আগামী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারব। আপনার ঈদের পূর্বের কেনাকাটা দেখে ভাল লেগেছে। আবরণী ফ্যাশন দোকান অনেক বড় মনে হচ্ছে এবং অনেক কিছুই আছে কেনাকাটার জন্য। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ২০ রোজা থেকেই ঈদের আমেজটা শুরু হয়। বিশেষ করে চাঁদরাতে সবথেকে বেশি আনন্দ উপভোগ করা যায়। ঈদের সেই আমেজটা সত্যি একেবারে অন্যরকম হয়ে থাকে। রোজার মাস আসলেই সবার কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু একটা কেনাকাটা করা হয় সকলের। আপনি তো দেখছি দোকানে গিয়ে প্রথমে আপনার ছোট ছেলে এবং মেয়ের জন্য কেনাকাটা করে ফেলেছিলেন। আশা করছি আমরা সবাই আগামী ঈদুল ফিতর খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবো। সবার যেন ভালো কাটে সেই কামনাটাই করি।
আসলে প্রচন্ড গরমের সময় রোজার দিনে বারবার কেনাকাটা করতে আসা খুবই কষ্টকর। আসলে রোজা আসলে অন্যরকম একটা আমেজ সৃষ্টি হয় ঈদের। খুবই ভালো লেগেছে আপনার ঈদের পূর্বের কেনাকাটা করার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে। খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন কেনাকাটা করার মুহূর্তটা। ভালোই লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে নতুন পোশাকের মধ্যে রয়েছে এক অন্যরকম আনন্দ। ঈদ উদযাপনের জন্য আপনার শেষ পর্যায়ে কেনাকাটার মুহূর্তটা পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমরা কেনাকাটা করতে গিয়ে খুবই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম ভাইয়া। যাহোক দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদ সকলের জীবনে বয়ে আনে আনন্দ, আত্মীয়র বন্ধন সৃষ্টি করে এবং ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত করে। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে যত আয়োজন কেনাকাটা সাজগোজ। যাইহোক খুবই ভালো লেগেছে ঈদ উপলক্ষে আপনাদের এই কেনাকাটার দৃশ্য দেখে এবং বিস্তারিত পড়ে।