হয়রানি।
আজ- ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, আজকে দেশের আইন ব্যবস্থা এবং এই নিয়ে আমাদের জনগণের ভোগান্তির বিষয়গুলো আপনার সাথে শেয়ার করব।
একটা দেশের আইন তৈরি করা হয় জনগণের সুবিধার জন্য এবং দেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। কিন্তু যখন দেশে প্রচলিত সে আইন গুলোই বিশৃঙ্খলের সৃষ্টি করে তখন জনগণের সুবিধা থেকে অসুবিধাটাই বেশি হয়ে থাকে। নিজের দেশ সম্পর্কে যদিও নিন্দনীয় মন্তব্য কখনোই করা উচিত নয় তারপরও কিছু বিষয়ে না বলে থাকা যায় না। কোন একটি নিয়ম যখন তৈরি করা হয়েছে সে নিয়মটি সুশৃঙ্খলভাবে পালন করাও প্রশাসনিক পর্যায়ে শাখা ও সকল ব্যক্তিদের কর্তব্য। কিন্তু সে সকল কর্তব্য গুলো যথাযথ পালন হয়ে আসছে না দিনের পর দিন ধরে।
এইতো কিছুদিন আগে আমার বোনের জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে দিয়েছি। খুব বেশি ভুল নয় বরং খুব ছোট্ট একটা ভুল এবং ভুলটা কিন্তু তারা নিজেরাই করেছে। আসলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে অযোগ্য ব্যক্তিরা ঢুকলে যা হয় আর কি।
যাই হোক, কথা ছিল সর্বোচ্চ ১০-১৫ দিনের ভিতরে সংশোধন হয়ে যাবে। দুই তিন দিনের মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু তারপরেও সর্বোচ্চ ১০-১৫ দিনের বেশি সময় লাগবে না এমনটাই আশা দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সে ১০ ১৫ দিনের জায়গায় আজ এতগুলো দিন হয়ে গেল এখনো কোনো সংশোধনের নাম নেই।
সত্যি বলতে যে কোন বৈধ কাজ সংশোধনের ক্ষেত্রে মানুষের প্রচুর ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাই মানুষ বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে অল্প সময়ে জরুরী ভিত্তিক কাজগুলো করিয়ে নিতে। আর যার কাছে অর্থ আছে ঘুষ দেওয়ার তাদের কাজগুলোই আগে হয় আর যারা সাধারণভাবে করতে চাই তাদের কাজগুলো দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকে। যেকোনো সহজ সরল বৈধ ভাবে কাজ না করলে মানুষ তো ভিন্নভাবে কাজটি আদায় করে নিবে। এখন কথা হচ্ছে প্রতি মাসে মাসে যে সরকার তাদের নিজস্ব কাজের জন্য বেতন দিয়ে থাকে তাহলে সে দায়িত্ব তারা আর কই পালন করলো।
উচু উঁচু গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে বসে থাকা মানুষগুলো তাদের কর্ম ক্ষেত্রে প্রচুর অবহেলা করে থাকে। যার ফলে দেশের পুরো কর্মকাণ্ডগুলোতে এতটা ধীর গতি সম্পূর্ণ হচ্ছে।
আমরা প্রত্যেকে প্রতিনিয়ত কাগজপত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে এভাবে হয়রানি স্বীকার হয়ে আসছি। কিন্তু দিনশেষে আমাদের কিছুই করার থাকেনা এসব কিছু মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
নির্বাচন অফিস, বিআরটিএ অফিস কিংবা পাসপোর্ট অফিস এগুলোতে ভোগান্তির শেষ নেই। সামান্য একটি কাজের জন্য জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দেয় তারা। আসলে তারা বেতন নেয় ঠিকই কিন্তু কাজের প্রতি তাদের অনেক অবহেলা। ভাইয়া আপনি নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আসলেই ভাই, দেশের নিয়ম কানুন নিয়ে কিছু বলার নেই। আমি জাস্ট ভোটার আইডি কার্ড নাম চেইঞ্জ করতে গেছিলাম আমাকে তো কয়েক ঘন্টা হুদাই বসায় রাখলো। আসলে এসব চেয়ারে কিছু অযোগ্য লোকেরা বসে থাকে। আর তাদের কাছে গেলে ঘুষ না দিলে কোনো কাজই তাড়াতাড়ি করে দেয়না।
ভাই আপনি যদি অনেক পাপ কাজ করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা তার শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশে আপনার এনআইডি কার্ড জন্ম নিবন্ধন ভুল করায় । বাকি শাস্তি এগুলো ঠিক করতে গিলে আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন। ভাইরে এতো পরিমাণ ঝামেলা হয় এগুলো তে আমি জানি। জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। যদিও অধিকাংশ সময় ভুল করে তারা কিন্তু সেটা ভোগ করা লাগে আমাদের।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া আপনি যদি সকালটা সুন্দরভাবে শুরু হয় তাহলে সারাদিন খুব সুন্দরভাবে কেটে যায়। যদি কোন কারনে সকালটা বিরক্তিতে শুরু হয় তাহলে সারাদিনটা একদম বাজে ভাবে কেটে যায়। আজকে আমাদের এখানে প্রচুর গরম তবে আপনাদের ওখানে ওয়েদারটা ভালো শুনে ভালো লাগলো। দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে কি বলবো শুধু আইন তৈরি করে থাকে জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু সেই আইন জনগণের কল্যাণে প্রয়োগ না করে জনগণের অমঙ্গলে প্রয়োগ করা হয়। একটা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে এতদিন সময় লাগার কথা না। এটা অবশ্যই হয়রানি বলতে হয়।
ভাই সরকারি কোনো কাজ করাতে গেলে মেজাজ একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। আমার তো বিআরটিএ অফিসে প্রায় সবসময়ই যেতে হয় গাড়ির কাগজপত্রের ব্যাপারে,তো এসব দেখতে দেখতে একেবারেই বিরক্ত। টাকা ছাড়া কোনো কাজ করানো যায় না। তারা যে সরকারের কাছ থেকে বেতন পাচ্ছে, সেগুলো তারা হিসাব করে না। অনেকের আইডি কার্ডে নাম এবং জন্ম তারিখ ভুল করেছে। কিন্তু সংশোধন করতে গেলে টাকা দিতে হয় এবং অপেক্ষা করতে হয় অনেকদিন। মাঝেমধ্যে মনে হয় দেশটা শুধুমাত্র সরকারি অফিসের কর্মচারীদের। আর আমরা ভেসে ভেসে এসেছি এই দেশে। যাইহোক আপনি তো আপনার বোনের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা নিয়ে বেশ ভালোই হয়রানি হচ্ছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
এই রকম হয়রানির শিকার আমরা প্রতিনিয়ত হয়ে আসছি, ঐ যে বললেন গুরুত্বপূর্ণ পদে যখন অযোগ্যরা ঢুকে যায় তখন এমনটাই হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো টাকা পয়সা খরচা করেও সেবা পাওয়া যায় না, নির্মম বাস্তবতা এটা।
সরকারি কাজগুলো এরকমই হয় দাদা, আপনি যতই সৎভাবে কাজ করার চেষ্টা করেন না কেনো, সেটা মোটেই হবে না। হয়তো অনেকটা সময় লাগিয়ে দেবে অথবা তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে, যেটাকে আমরা ঘুষ বলি। আমার মনে হয় দাদা, সরকারি অফিসারদের সরকার যে মাইনে দেয় তাতে তাদের সংসার চলে না। তবে আপনি যেহেতু এখনো পর্যন্ত ঘুষ দেননি, এই জন্য হয়তো আপনাকে এতটা ভোগান্তির শিকার হতে হল।