এই গরমে সুস্থ থাকতে একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।
আজ- ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
দিনে দুই বেলা করে গোসল করলেও যেন তাতে গরম কমছে না। দিন দিন যেভাবে এই গরমের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ।প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বাড়ছে। আর বাড়বে নাইবা কেন আমরা আমাদের পরিবেশটাকে একবারে হুমকির সম্মুখে ফেলে দিয়েছি। প্রতিনিয়ত গাছ কাটা, বায়ু দূষণ এসব কিছু পরিবেশটাকে দিন দিন উষ্ণ করে তুলছে। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে একটু সচেতন না হয় তাহলে এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবেশ ধ্বংসের দিকে যেতে থাকবে । এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই আমাদের উচিত আমাদের পরিবেশটাকে রক্ষার্থে বেশি বেশি করে গাছ লাগানো এবং গাছ কাটার রোধ করা।
একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমরা যতই এসি ফ্যান কিনবা ইলেকট্রনের জিনিস লাগায় না কোন দিন শেষে কিন্তু প্রকৃতির সেই গাছের ছায়া সে বাতাস গুলোই আমাদেরকে আসল প্রশান্তির যোগান দেয়।
আর এই গরমে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি গুলো আমাদের ত্বকে এসে পৌঁছাচ্ছে এবং আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আর এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের স্কিনে নানা ধরনের সমস্যা। কারো স্কিনে সানবার্ড পড়ছে আবার গাড়ি স্ক্যানের রেস দেখা দিচ্ছে কিংবা আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আমরা এই সকল বিষয়গুলোকে সাধারণভাবে নিলে ও কিন্তু বিষয়টা আসলে অতটা সাধারণ নয়। আমি আমার নিজের ক্ষেত্রে দেখেছি রোদের উত্তাপে আমাদের স্কিন টাতে কতখানি ড্যামেজ করতে পারে। আর হ্যাঁ আমি মনে করি এই গরমে বাহিরে বের হলে অন্তত একটা ছাতা ব্যবহার করা অবশ্যই উচিত।
আর এই প্রচন্ড গরমে আমাদের সবথেকে মূল্যবান একটি বিষয় হচ্ছে বেশি করে পানি পান করা। কারণ গরমের কারণে আমাদের প্রচুর ঘাম হয় আর এই ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। পরে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। তাই আমরা যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করি তাহলে শরীরে অনেক খানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। শরবত, ডাবের পানি কিংবা জুস জাতীয় খাবারগুলো আমাদের বেশি করে পান করা উচিত। আমরা চাইলে আমাদের ঘরে থাকা বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে হেলদি জুস তৈরি করে খেতে পারি এটা এই গরমে আমাদের শরীরে অনেকখানি কাজে দিবে।
আর অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত ভাজাপোড়া এবং তেল জাতীয় খাবার গুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখার। কারণ এই গরমে একটু খাবারে এদিক সেদিক হলেই শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। টিভি নিউজগুলো খুলেই দেখা যায় যে হাসপাতাল গুলোতে ডায়রিয়া কলেরা আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে নিতান্তই কম নই। তাই বলছি এই গরমে নিজেদেরকে, পরিবারকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।
আজ তাহলে এই পর্যন্ত। সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন সচেতন থাকবেন আর এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রকৃতির বাতাসের চেয়ে শান্তি আর কিছুতেই নেই। আমরা তো বাধ্য হয়ে এসি ব্যবহার করে থাকি। এসির বাতাসে অনেকেরই ঠান্ডার সমস্যা হয়ে থাকে। যাইহোক এই গরমে বাড়তি সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত আমাদের। নয়তো সুস্থ থাকাটা মুশকিল হয়ে যাবে। পানি,জুস এবং শরবত অবশ্যই বেশি বেশি পান করতে হবে। যাইহোক একেবারে সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এই গরমে সুস্থ থাকতে একটু বাড়িতে যত্নের প্রয়োজন শরীরের জন্য। ঘন ঘন পানি পান করতে হবে এবং স্যালাইন এবং ডাবের পানি খেতে হবে বেশি বেশি। এই রোদ গরমে পরিশ্রম একটু কমিয়ে দিতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক মূল্যবান একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। একটু বেখেয়ালি হলেই অসুস্থ হয়ে পড়তে হবে। জেনারেল হসপিটালগুলোতে গেলেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ কতটা অসুস্থ হচ্ছে রোদ গরমে তাই আমাদের সতর্কতা সহিত জীবন যাপন করতে হবে।
এটা ঠিক কথা দাদা, আমরা যতই এসি, কুলার কিংবা ফ্যানের নিচে থাকি না কেন, দিন শেষে গাছের ছায়া এবং প্রকৃতির ঠান্ডা হাওয়াই আমাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া যেহেতু বর্তমানে প্রচণ্ড গরম পড়েছে, এক্ষেত্রে কিন্তু হেলদি জুস অনেক বেশি কার্যকরী আমাদের শরীরের জন্য। তবে এই সময় ভাজাপোড়া কিংবা তেল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকাটাই সব থেকে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই, এই গরমে আমাদের শরীরের বাড়তি যত্ন নিতে হবে, না হলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না।
সারা বাংলাদেশেই প্রচন্ড গরম ছড়িয়ে পরেছে।আর এজন্য তো আমরাই আসলে দায়ী।আমরা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছি। তাইতো আজ আমরা হুমকীর স্বীকার।এই গরমে প্রত্যেককেই বাড়তি যত্ন নিতে হবে।আপনি চমৎকার ভাবে সেই বিষয় গুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সচেতনতা মূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।