মচমচে পিয়াজু তৈরির রেসিপি।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আজ - ৮ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে পেঁয়াজু তৈরীর রেসিপি শেয়ার করব।




20221023_102616_0000.png

কেমন আছেন সকলে নিশ্চয় ভালো। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। আজ চলে এসেছি আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে।

সাধারণত আমরা রমজানের সময় পেয়াজু বানিয়ে থাকি। তবে অন্যান্য সময় গুলোতে খুব একটা পেয়াজু বানানো হয় না। বেশিরভাগ সময় বাহির থেকে কিনে আনা হয়। তাই ভাবলাম বাহিরে ওই সকল অস্বাস্থ্যকর তেলেভাজা পেয়াজুগুলো না খেয়ে বাসায় তৈরি করাই ভালো। এছাড়া ও বিকেলে চায়ের সাথে একটু টা না হলে ব্যাপারটা ঠিক জমে না। আর এই চা এর সাথে টা টি যদি হয় তেলেভাজা কোন খাবার তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।

যাইহোক বিকেলের দিকে মুড়ির সাথে এই পেঁয়াজু খেতে বেশ ভালো লাগে আমার।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ


  • পেঁয়াজ কুচি।
  • মরিচ কুচি।
  • লবণ।
  • তেল।
  • জিরা বাটা।
  • আদা বাটা।
  • রসুন বাটা।
  • মসুরের ডাল।


প্রস্তুত প্রণালীঃ


ধাপ-১ঃ

  • প্রথমে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মতো মসুরের ডাল ভিজিয়ে নিব। ডালগুলো ভেজানোর পর বেটে নেব। খুব মিহি করে বাটার প্রয়োজন নেই সাধারণভাবে একটু আস্ত রেখে বেটে নিলেই হবে।

IMG_20221019_180809.jpg

ধাপ-২ঃ


  • এরপর একটি বড় সাইজের পেঁয়াজ মোটা করে কেটে নেব। এরপর দুইটি কাঁচামরিচ কুচি করে নিব ও খুবই সামান্য পরিমাণ আদা বাটা জিরা বাটা রসুন বাটা নিয়ে নিবো।

IMG_20221019_180042.jpg

ধাপ-৩ঃ


  • এরপর সবগুলো উপকরণ বেটে নেওয়ার ডালগুলোর সাথে স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিব।

ধাপ-৪ঃ


  • এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করতে দিব তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে পেয়াজু গুলো দিয়ে দিব।

ধাপ-৫ঃ


  • এরপর অল্প আঁচে পেয়াজু গুলোকে কিছুক্ষণ উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ভেজে নিব।

ধাপ-৬ঃ


  • এরপর যখন দেখব পেঁয়াজুগুলো কিছুটা লাল হয়ে এসেছে তখন বুঝে নিতে হবে পেঁয়াজুগুলো ভাজা হয়ে গেছে। এরপর পেঁয়াজুগুলো নামিয়ে নিব।

ধাপ-৭ঃ


  • ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মুচমুচে পেয়াজু।

সকলকে ধন্যবাদ।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 3 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাই। বাইরের পিঁয়াজু গুলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে থাকে। পরিবারের লোকজনদেরকে এবং নিজে সুস্থ থাকতে হলে বাড়িতে এ সকল খাদ্য তৈরি করে খেলে সুস্থ থাকা যাবে। সুন্দর হয়েছে আপনার পিয়াজু রেসিপিটি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

চায়ের সাথে পেয়াজু হল লায়লা আর মজনু।একজন ছাড়া আরেকজন ঠিক জমেনা।আপনার পেয়াজু গুলো দারুন হয়েছে।একদম দোকানে ভাজা পেয়াজুর মত।ধন্যবাদ ভাই স্বাস্থ্যসম্মত পেয়াজুর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

পিয়াজু কিন্তু আমরা প্রতিটা মানুষ নাস্তা হিসেবে প্রায় খেয়ে থাকি ,তবে তবু ও আপনার পিয়াজু দেখে খেতে ইচ্ছে করছে অনেক ,দেখতে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আর কালার টা কিন্তু দারুন।

 3 years ago 
এটা ঠিক বাহিরের ভাজা পিয়াজু হউক বা অন্য কিছু, সবই বাসায় বানানোর মতো স্বাস্থ্য সম্মত হয় না। কারন বাহিরে ভাজাতে বেশির ভাগই অনেক আগের তেল দিয়ে ভাজা হয়।যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।অবশ্য বিকেল বা সন্ধ্যায় মুড়ির সাথে পিয়াজু খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।অবশ্য চায়ের সাথে টা হিসেবে পিয়াজু হলে মন্দ হয় না।যাইহোক,আপনার বানানো পিয়াজু দেখতে কিন্তু একেবারেই বাহিরের মতো। তবে বাহিরের থেকে স্বাস্থ্য সম্মত হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুস্বাদু ও মজাদার মচমচে পিয়াজু রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
 3 years ago 

ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন রমজানের সময় বাড়িতে যেভাবে পেঁয়াজু তৈরি করা হয় সারা বছর আর সেভাবে তৈরি করা হয় না । বাইরে থেকেই কিনে এনে খেতে হয়। তবে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলো না খেয়ে বাড়িতে তৈরি করাই ভালো। আপনি বেশ ভালো একটি কাজ করেছেন। প্রতিটি ধাপ বেশ ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেখে ভালো লাগলো। খেতে যে বেশ মুচমুচে হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

হাতে এখনো পেঁয়াজুর সুবাস লেগে আছে । তবে না খাওয়ার আফসুসটা রয়েই গেল । গতপরশুদিন তৈরি করেছিলাম কিন্তু কড়াই থেকে বাড়তি তেল আর বোতলে রাখা হয়নি । আজ রাখতে গিয়ে বার বার মনে হলো আজকেউ একটু তৈরি করে খেলে মন্দ হত না । কিন্তু উপায় নেই গ্রামের দোকানে বেসন খুঁজে পাইনি । আর মসুর ডাল বেটে নেওয়া সেওতো কষ্টসাধ্য ব্যাপার । মনের দুঃখে স্টিমিটে এলাম এখানেও প্রথমে আপনার লোভনীয় পেঁয়াজুর রেসিপি পোস্ট । মিসিং রমজান মাস । প্রতিদিন পেঁয়াজু ।

 3 years ago 

আসলেই ভাইয়ার ঠিক বলেছেন পেঁয়াজু মানে রমজান মাসের খাবার এমনটাই মনে করি আমরা। কিন্তু মাঝে মাঝে বিকেল বেলা চায়ের সাথে পেঁয়াজু নামক এই টা থাকলে মন্দ হয় না। যদিও আমরা মাঝে মাঝে বাজার থেকে কিনে খাই কিন্তু বাজারে এই তেলেভাজা জিনিসগুলো একই তেলে বারবার ভাজা হয়,তাই আমার ভালো লাগেনা খেতে। ঘরে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আপনি চমৎকারভাবে পেঁয়াজগুলো তৈরি করেছেন। আর গরম গরম পেঁয়াজুর সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি গোল গোল করে কাঁচা পেঁয়াজগুলো কেটে উপরে দেয়ার কারণে পরিবেশন টা পারফেক্ট হয়েছে।

 3 years ago 

সত্যি ভাইয়া রমজান মাস আসলেই পিয়াজু তৈরি করা হয়। কিন্তু এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিয়াজু বাইরে থেকেই কিনে খাওয়া হয়। আসলে বাইরে থেকে কেনা পিয়াজু হয়তো অনেক সময় স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। মুখরোচক এই খাবারগুলো বাহির থেকে কিনে না খেয়ে বাসায় তৈরি করলে অনেক বেশি ভালো হয়। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 3 years ago 

ভাই পিয়াজু আহা সত্যি অনেক প্রিয় একটি খাবার ৷ বিশেষ করে রাতে খাওয়ার সময় প্রায় মা পিয়াজু ভাজে ৷
সত্যি তেলের উপরে মচমচে ভাজি সত্যি অনেক টেস্ট ৷
তবে গ্রামের টঙ্গের দোকানে চা আর পিয়াজু অনেক প্রিয় গ্রামের মানুষের ৷
যা হোক আপনি বাড়িতে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে রেসেপি করেছেন তা দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷

 3 years ago 

পিয়াজু যদিও রমজান মাস ছাড়া অন্য সময় কম হয়, কিন্তু ইফতারের অন্যতম প্রধান দুইটি আইটেম ছোলা বুট ও পিয়াজু আমি সারা বছরই খেয়ে থাকি। এ দুটি খাবার আমার অত্যন্ত প্রিয় তাই সব সময় বাসায় করা হয়। আপনি অত্যন্ত সহজভাবে সুস্বাদু পিয়াজু বানানোর রেসিপি আমাদের দেখিয়েছেন। অনেক সময় বাইরে থেকে পিয়াজু কিনলেও শক্ত হয় বলে খেতে পারি না। আপনার পিয়াজু রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মুচমুচে ও সুস্বাদু হয়েছে খেতে। আর চায়ের সাথে টা হিসাবে পিয়াজুর জুড়ি নাই। পিয়াজু রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।