busaba resturent এ একদিন।
আজ- ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভাল আছেন । এবারের ঈদে তেমন একটা বেশি ঘুরাঘুরি করা হয়নি , শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় যাওয়া হয়েছে তবে , ঈদের সাধারণত কোথাও যাওয়া হলে , ঘোরাঘুরি শেষে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করাটা সবচেয়ে মজার ব্যাপার ।
ঠিক তেমনি , আমি এবং আমার এক ফ্রেন্ড ঘোরাঘুরি শেষে , আমাদের বাসার পাশের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম ৷ রেস্টুরেন্টে বেশ ভালো মানের , আর খাবারের মান অনেক ভালো । রেস্টুরেন্টের নাম হলো busaba
আমরা গিয়েছিলাম রাত ৯ টার দিকে । রেস্টুরেন্ট টি যেহেতু খুবই জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট । গিয়েই দেখি প্রচুর পরিমাণ ভিড় রেস্টুরেন্টে এ । কোন টেবিল ই খালি ছিল না, বসার জন্য । এরপর আমরা ম্যানেজারের সাথে কথা বলি , ম্যানেজারের বলেন পাঁচ মিনিটের মধ্যে একটা টেবিল খালি হবে ওই টেবিল আমরা বসতে পারবো । পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর একটি টেবিল খালি হয় এবং ওখানে আমরা বসি ।
আসলে busaba চট্টগ্রামের খুবই জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট। এখানে বেশ ভালো মানের সব থাই আইটেম পাওয়া যায় । যেহুতু রেস্টুরেন্টের প্রতিটি টেবিল পরিপূর্ণ ছিল তাই , আমরা খাবার অর্ডার করার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর গিয়ে আমাদের খাবার গুলো আসে । যেটা আসলে খুবই বিরক্তিকর লেগেছে । যদিও করার কিছুই ছিল না আসলে ওনাদেরও৷ কারণ এতটা পরিমাণ ব্যস্ত থাকে রেস্টুরেন্ট টি , যার কারণে আমাদের খাবার ডেলিভারি দিতে দেরি হয়ে গেছে ।
আমরা যেহেতু দুজন ছিলাম তাই দুজনের খাবার অর্ডার করেছি Peri Peri chicken, Mexican Fried rice, creamy pasta. এবং ডেজার্ট হিসাবে অর্ডার করেছি চকোলেট অপেরা উইথ আইস্ক্রিম। আর ডিংকস ছিলো মাউন্টেন ডিউ। সত্যি বলতে খাবার গুলো বেশ মজার ছিল । আর পরিমাণও যথেষ্ট ছিল । আর খাবারের পরিবেশটাও বেশ ভালো ছিলো সব মিলিয়ে। ভালো কিছু সময় কেটেছিল ।
আমাদের টোটাল বিল আসছিল ১০০০ টাকার মত । আমরা বিল দিয়ে। হেটে বাসায় চলে এসেছে । কারণ এটি বাসার খুব কাছেই ছিল ।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যেসব রেস্টুরেন্টের মান অনেক ভালো সেইসব রেস্টুরেন্টে গেলে এরকম সমস্যায় পড়তে হয়। বসার জায়গাতো পাওয়াই যায় না তারপরে আবার খাবার সার্ভ করতে অনেক সময় লাগে। ভালো খাবারের জন্য একটু তো কষ্ট করাই যায়। পেরি পেরি চিকেন খুব মজা লাগে খেতে। খাবারগুলো যে মজাদার দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বাসার পাশে হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে যেতে পারবেন তাহলে।
ওয়েটিং সময় ৪০-৪৫ মিনিট! একটু বেশিই মনে হচ্ছে। তাদের এই সময়টা কমানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করা উচিৎ।
ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে। শুনে ভাল লাগল যে খাবারগুলো সুস্বাদু ছিল।
ভাইয়া, বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে আমিও কোথাও ঘুরতে গেলে, সেখান থেকে ফিরে আসার সময় রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করে তবেই বাড়িতে ফিরি। কেননা রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আর আপনি তো দেখছি busaba রেস্টুরেন্টে গিয়ে লোভনীয় খাবারগুলোই খেয়েছেন। খাবার গুলো দেখে বেশ বুঝতে পারছি খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেয়েছিলেন। এছাড়াও যে রেস্টুরেন্টের খাবারের মান সব থেকে ভালো, সেই রেস্টুরেন্টগুলোতে সব সময় উপচে পড়া ভিড়ও থাকে। তাই সব দিক থেকে বিবেচনা করে সময়ের ব্যাপারটা মেনে নেয়াটাই উচিত। খুব সুন্দর ছিল আপনার উপস্থাপনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই ঘুরাঘুরি শেষ করে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলে সবকিছু একেবারে পরিপূর্ণ মনে হয়। যাইহোক জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট গুলোতে এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে ভিড় হয়। আর ঈদের সময় তো ভিড় হওয়াটা একেবারে স্বাভাবিক। যাইহোক অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও, খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। খাবারের মান যেহেতু এতোটা ভালো, সেই হিসেবে সর্বমোট বিল কমই এসেছে। সবমিলিয়ে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো মানের রেস্টুরেন্টে এমনিতেই ভিড় থাকে অনেক বেশি। আর আপনারা পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর টেবিল পেয়েছেন সেটাতো তাহলে ভাগ্যের বিষয়। তারপর আবার ৪০-৫০ মিনিট পর খাবার পেয়েছেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে সেই রেস্টুরেন্টে কাজের চাপ অনেক বেশি এবং যারা আছে তাদেরকে অনেক চাপ সহ্য করতে হয়। এতক্ষণ অপেক্ষা করার পর ভালো মানের খাবার পেয়েছেন। খাবার গুলো দেখেই লোভনীয় মনে হচ্ছে। বাসার কাছেই যেহেতু রেস্টুরেন্ট সেই হিসেবে ইচ্ছে হলেই যখন তখন যেতে পারবেন।