জেনারেল রাইটিং:"একতাই শক্তি"
জীবনে চলার পথে একতার সাথে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একতার সাথে যদি আমরা চলি তাহলে আমরা অনেক শক্তিশালী এবং ক্ষমতাবান হব। যদি আমরা একতার সাথে না থাকি। তাহলে আমরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়বো। তাই যে জাতি, যদি যৌথভাবে থাকে তারা তত বেশি উন্নত হবে।পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাষ্ট্র এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র রয়েছে। সে রাষ্ট্রের মধ্যে তাদের জনগণ এবং সরকার একতার সাথে চলাচল করে। তাদের মতের কোন পার্থক্য হয় না, যার কারণে সেই রাষ্ট্রগুলো উন্নত হতে থাকে। ঠিক তেমনি মানুষের মধ্যেও এবং মানুষের পরিবারের মধ্যেও এরকম সম্পর্ক যদি থাকে।তারা যদি একতার সাথে বদ্ধ ভাবে থাকে, তাহলে সেই পরিবারটা, সেই রাষ্ট্র, সেই দেশ,বা সেই গ্রামটা শক্তিশালী হবে। তাই একতাই শক্তি এবং একতা সাথে জীবন পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একতার শক্তিতে অনেক বেশি তার একটি উদাহরণ হল, আমরা পাঁচ বন্ধু সবসময়ই একসাথেই থাকতাম। যেখানে যেতাম এককভাবেই থাকতাম। কেউ কাউকে ছাড়াই কোথাও যেতাম না। যার কারণে আমাদের কলেজের অন্য অন্য ডিপার্টমেন্টের কোন মানুষরা, বা অন্য অন্য ছাত্ররা আমাদেরকে কেউ কিছু বলার সাহস পেত না। কারণ ওরা জানত এই পাঁচজন সব সময় একক ভাবে থাকে কেউ কাউকে কিছু বললেই এই পাঁচজন একসাথে এসে একশন নিবে। যার কারণে আমাদেরকে কিছু বলত না। আমরা যেন কলেজে দাপটের সাথে থাকতে পারতাম। আমরা পাঁচজন ছিলাম সব সময় একসাথেই এবং একই হোস্টেলে আমরা থাকতাম। যার কারণে আমাদের মধ্যে অনেক মিল থাকতো। আর আমরা সব সময় মিলেমিশেই থাকতাম।
কোন এক কারণে আমাদের এই পাঁচজনের মধ্যে সম্পর্ক একটু ভেঙে যায়। যার কারণ অন্যান্য দুই বন্ধুর সাথে আমাদের সাথে একটু ঝগড়া হয়। যার কারণে ওরা আর আগের মত ওইভাবে কথা বলে না এবং মিলেমিশেও চলে না। তবে আমি অনেকবারই চেষ্টা করেছি মিলেমিশে থাকার জন্য। অনেকবারই এগিয়ে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু কোন এক কারণে আমাদের মিল হচ্ছিল না। আর আমাদের মধ্যে এই সম্পর্কটা যখনই এভাবে ছিন্ন হতে থাকে। তখনই অন্যরা আরো নানারকম উস্কানিমূলক কথা বলে। যার কারণে মিলটা আরো সহজে হচ্ছিল না।
আমরা যখন মিলেমিশে থাকতাম তখন আমাদের কলেজেরই এক খারাপ ছেলেকে আমরা পাঁচজন ধরে অনেক মারধর করেছিলাম। কারণ সে আমাদের বান্ধবীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলো।আর যখনই আমাদের মধ্যে ঝগড়ার এই বিষয়টা জানতে পারে। তখনই সেই ছেলেটা আমাদের আরো যে দুই বন্ধু রয়েছে ওদেরকে রাস্তায় পেয়ে অনেক মারধর করে, এমনকি ওরা এখন হসপিটালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু আমরা যখন একতার সাথে পাঁচ জন মিলে মিশে থাকতাম। তখন ওরা কেউই সাহস পেত না আমাদের চোখের সামনে কিছু বলার। আজ আমরা যখন একতার শক্তি ভেঙ্গে আলাদা হয়েছি। তখনই বাহির শক্তি এসে আমাদের উপরে আক্রমণ করার সাহস পেয়েছে।
তখন আমরা সকলে রাগ অভিমান ভেঙে হসপিটালে গেলাম বন্ধুকে দেখে আসলাম।আর বললাম আমাদের মধ্যে যায় হয়েছে সেটা এখানেই আজ আমরা দাফন করে দিলাম। আমরা আবারো একতার সাথে চলাচল করবো। যদি আমরা এক হয়ে থাকি তাহলে কোন শক্তি আমাদের কিছু করতে পারবে না। আর অন্য কেউ কিছু করতে চাইলেও অনেক ভাববে, সহজে কিছু করতে পারবে না। তখন সকলেই এক হয়ে আবারো আমরা একতার সাথে চলা শুরু করে দিলাম। আসলে একতার সাথে চললে যে কত শক্তি পাওয়া যায়, এটা আমরা প্রত্যেকেই তখন উপলব্ধি করতে পারলাম।
তাই আমাদের প্রত্যেকেরই একতার সাথে থাকতে হবে, একতা যে শক্তি এটা মানতে হবে। পরিবারকে শক্তিশালী করতে চাইলে পরিবারের মধ্যে ভাইয়ে বোনের মিল থাকতে হবে। একতার সাথে চলতে হলে মহল্লার মধ্যে মিল থাকতে হবে। গ্রামকে মিল করতে চাইলে পুরো গ্রামকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে হবে। এবং দেশকে ঠিক রাখতে হলে দেশের মানুষের মধ্যে একতার সাথে থাকতে হবে, এভাবেই যদি আমরা একতার সাথে চলি তাহলে আমরা মহা শক্তিশালী হয়ে উঠবো এবং আমরা এককভাবে চললে কোন বাহির শক্তি আমাদের কিছু করতে পারবে না। তাই একতাই শক্তি এই কথাটি মাথায় রেখে আমাদের চলতে হবে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
হ্যাঁ ভাই একত্রিতভাবে থাকতে পারলে অনেক ভালো। কারণ এতটাই বল একলা হলে পারে যারা সমস্যা। আপনার একসাথে চলতেন এই জন্য অন্য ডিপার্টমেন্টের কোন ছাত্ররা আপনাদের সাথে খারাপ আচরণ করার সুযোগ পেত না। জীবনে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই এই বিষয়টা মাথায় রাখার প্রয়োজন।
ভাইয়া আপনি তো উদাহরণসহ দারুন ভাবে আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন। আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়ে আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি আমরা যদি অনেক জন একসাথে একে অপরকে বিশ্বাস করে একতাই চলতে পারি তাহলে কেউই আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তবে একতা হতে গেলে সব থেকে প্রথমে দরকার বিশ্বাস। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
একতাই শক্তি এই কথাটা আমিও বিশ্বাস করি এবং জীবনের বহু জায়গায় প্রমাণ পেয়েছি। একতাবদ্ধ হয়ে কোন কাজ করলে সেটা সফল হবার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।
আপনি বেশ গুছিয়ে নিজের কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন।