নাটক রিভিউ || টাকার দুনিয়া
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে টাকার দুনিয়া। এই নাটকটি গত মাসে রিলিজ হয়েছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান এবং কেয়া পায়েল। এই নাটকটি আসলেই খুব সুন্দর,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
| নাটক | টাকার দুনিয়া |
|---|---|
| রচনা | রিফাত আদনান পাপন |
| পরিচালনা | মীর আরমান হোসেন |
| অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান,কেয়া পায়েল,সাইদুর রহমান পাভেল এবং আরও অনেকে |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| ভাষা | বাংলা ভাষা |
| প্রচার | ২৭শে নভেম্বর ২০২৫ |
| দৈর্ঘ্য | ৪৯ মিনিট |
| প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, পাভেলকে এক লোক বলছে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়ার জন্য। মূলত পাভেল নীলক্ষেতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে থাকে। তো সেই লোকের সাথে কথা বলার সময় জোভান তাদের কথোপকথন শুনে ফেলে। সেই লোককে পাভেল বললো সার্টিফিকেট তৈরি করে দিবে। তো সেই লোক চলে যাওয়ার পর, জোভান পাভেলকে বলে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে দিতে। কারণ সে সার্টিফিকেট এর জন্য চাকরি পাচ্ছে না। তো জোভানের কথা শুনে পাভেল তাকে নিয়ে যায় তাদের আস্তানায়। পাভেল সার্টিফিকেট তৈরি করার সময় জোভান বললো, সার্টিফিকেট এর লেখা গুলো আরও পারফেক্ট হওয়া দরকার। তাহলে দেখতে অরিজিনাল সার্টিফিকেট এর মতো লাগবে। জোভান কম্পিউটারের সামনে বসে,একেবারে পারফেক্টলি জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেখায়। তারপর পাভেল তাকে চাকরি দেয়। চাকরি পাওয়ার পর জোভান বেশ খুশি হয় এবং বাসায় গিয়ে তার ওয়াইফ কেয়া পায়েলকে সবকিছু খুলে বলে। কেয়া পায়েল এটা শুনে খুব খুশি হয়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
পরের দিন থেকে জোভান বেশ ভালোভাবে চাকরি করতে থাকে। অর্থাৎ একের পর এক জাল সার্টিফিকেট তৈরি করতে থাকে। কিন্তু জোভান একদিন পাভেলকে বলে,কাস্টমার তো দেখছি খুব কম। অন্য কোনো প্ল্যান বের করতে হবে। তারপর জোভান পাভেলকে বলে, শুধুমাত্র জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলেই হবে না, বরং জাল দলিল তৈরি করতে হবে। তারপর জোভান অনেক ক্লায়েন্ট রেডি করলো এবং জাল দলিল তৈরি করে দিলো। বিনিময়ে পাভেল তাকে ১০% কমিশন দিলো। তো সবমিলিয়ে জোভান বেশ খুশি হলো। হঠাৎ জোভান একদিন বলতেছে জাল টাকা তৈরি করবে। কিন্তু পাভেল প্রথমে রাজি হয় না। কারণ এতে প্রচন্ড রিস্ক রয়েছে। কিন্তু জোভান বলে সে খুব নিখুঁতভাবে জাল টাকা তৈরি করতে পারবে। কেউ বুঝতে পারবে না যে জাল টাকা। তারপর পাভেল রাজি হয় এবং জাল টাকা তৈরি করতে যা যা সরঞ্জাম লাগে,সেগুলো পাভেল যোগাড় করে দেয় জোভানকে। তারপর জোভান প্রচুর পরিমাণে জাল নোট তৈরি করতে থাকে এবং সেগুলো বাজারে সাপ্লাই দেয়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
এতটাই নিখুঁতভাবে জাল নোট গুলো তৈরি করে সে,কেউ সেটা ধরতে পারে না। এক পর্যায়ে কেয়া পায়েলকে সবকিছু খুলে বলে জোভান। তো কেয়া পায়েলও জোভানকে সাপোর্ট দেয়। তারা দু'জন একদিন জুয়েলার্সের দোকানে যায় স্বর্ণ কিনতে। কিন্তু স্বর্ণের দোকানের লোকও জাল টাকা ধরতে পারেনি। তারা স্বর্ণ কিনে বাসায় চলে আসে। তারপর বড় এক গ্রুপ তাদেরকে বিশাল এমাউন্টের জাল টাকার অর্ডার দেয়। এমনকি তারা ৪০% দামে জাল টাকা কিনতে রাজি হয় তাদের কাছ থেকে। কারণ যেহেতু জাল টাকা গুলো নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়,তাই বাজারে খুব সহজেই টাকা গুলো চালিয়ে দেওয়া যায়। তো সবমিলিয়ে তারা সবাই খুব খুশি। তারা সবাই বড়লোক হয়ে যায়। একদিন জোভান ৫ হাজার কোটি টাকার অর্ডার পায়। টাকা গুলো সাপ্লাই দিতে পারলে তারা ২ হাজার কোটি টাকা পাবে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে সবারই টাকা প্রয়োজন এবং এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের উচিত টাকা অবশ্যই বৈধ উপায় অবলম্বন করে উপার্জন করা। টাকা ইনকাম করতে গিয়ে যাতে দেশ ও দশের ক্ষতি না হয়,সেই ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত আমাদের। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা টাকা উপার্জন করার জন্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করে থাকে। মোটকথা তারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। এই নাটকেও এমনটা দেখা গিয়েছে। জোভান এবং পাভেল টাকা ইনকাম করার জন্য অবৈধ পথ বেছে নিয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত জাল নোট তৈরি করেই যাচ্ছে। মোটকথা লোভে পড়ে তারা সবকিছুই ভুলে গিয়েছে। তাদের কারণে যে দেশ ও দশের ক্ষতি হচ্ছে, সেটা তারা একবারের জন্যও ভাবছে না। আসলে বাস্তবেও এমনটা দেখা যায়। তবে অন্যায় করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হয়। সেটা আজ কিংবা কাল। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। যাইহোক সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছে নাটকটি। সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
|---|---|
| স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
| তারিখ | ২৬.১২.২০২৫ |
| লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹











ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/i/status/2004470690817442113
X-promotion