লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে শপিং এবং খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত সপ্তাহের বুধবার অর্থাৎ ৪/৫ দিন আগে ওয়াইফকে নিয়ে ঢাকা নিউ মার্কেট গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করতে। তো কেনাকাটা শেষ করার পর,টুকটাক খাওয়া দাওয়া করেছিলাম এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। তো বুধবার দুপুরের লাঞ্চ করার পর আমার ওয়াইফ বললো বাচ্চাদের জন্য দুটি কম্বল কেনা দরকার। তাছাড়া আরও কিছু কেনাকাটা করা দরকার। তো ওয়াইফ বলা মাত্রই আমি বললাম চলো তাহলে আজকেই যাওয়া যাক। কারণ সেদিন বিকেলে বিশেষ কোনো কাজ ছিলো না আমার। তাছাড়া ইতিমধ্যেই হালকা শীত পড়েছে।
তবে বাচ্চাদের তো ঠান্ডা তুলনামূলকভাবে বেশিই লাগে। তাই ভাবলাম কম্বল কেনার জন্য হলেও তাড়াতাড়ি মার্কেটে যাওয়া দরকার। কারণ এমনিতেই সর্দি ঠান্ডা এবং জ্বর এই সিজনে বাচ্চাদের লেগেই থাকে। তো আমরা দু'জন ৫টার আগেই বাসা থেকে বের হলাম রেডি হয়ে। বাচ্চাদেরকে সাথে নিয়ে যাইনি। কারণ সন্ধ্যার পর তো ঠান্ডা বাতাস লাগে শরীরে। এতে করে তাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। যাইহোক রাস্তায় কিছুটা জ্যাম ছিলো বলে,নিউমার্কেট পৌঁছাতে সন্ধ্যা ৬টা বেজে গিয়েছিল। তো আমরা নিউমার্কেটের ২নং গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং প্রথমেই চলে গেলাম বাচ্চাদের জন্য কম্বল কিনতে। ৩/৪টা দোকান ঘুরাঘুরি করে, আমার টুইন ছেলের জন্য দুটি কম্বল পছন্দ করলাম। কিন্তু দোকানদার কম্বল দুটি ৩ হাজার টাকার নিচে বিক্রি করবে না।
যেহেতু আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে কম্বল দুটি, তাই আর দামাদামি না করে ৩ হাজার টাকা দিয়ে কম্বল দুটি কিনে নিলাম বাচ্চাদের জন্য। একটি হচ্ছে লাল কালার এবং আরেকটি হচ্ছে পেস্ট কালার। তো কম্বল দুটি কেনার পর উপর তলায় চলে গেলাম বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে। মোটামুটি বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে বাচ্চাদের জন্য শীতের কিছু জামাকাপড় কিনলাম। তারপর ওয়াইফকে কিছু কিনতে বললাম। কিন্তু সে বললো এখন কিছু কিনবো না। কারণ সপ্তাহ দুয়েক আগেই সে বেশ কয়েকটি ড্রেস কিনেছে। যাইহোক আমি আমার জন্য দুটি ফুল হাতা গেঞ্জি কিনলাম এবং একটি ডেনিমের শার্ট কিনলাম। তো শপিং করতে করতে রাত ৯টা বেজে যায়। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে নিউমার্কেটের ২নং গেইটে চলে গেলাম। কারণ অনেকক্ষণ শপিং করার ফলে আমাদের দুজনের হালকা ক্ষুধা লেগে যায়।
তাই আমরা একটি ফাস্ট ফুড শপে বসে,চিকেন হট ডগ,চিকেন রোল এবং লাচ্ছি অর্ডার দিলাম। যেহেতু আমার সর্দি ঠান্ডা ছিলো, তাই আমার জন্য লাচ্ছি অর্ডার করিনি। তো আমরা কথাবার্তা বলতে বলতে, অল্প সময়ের মধ্যেই খাবার চলে আসলো। সেই ফাস্ট ফুড শপের চিকেন হট ডগ আমার খুব পছন্দ। বরাবরের মতো সেদিনও খেতে দারুণ লেগেছিল চিকেন হট ডগ। তাছাড়া চিকেন রোল খেতেও সুস্বাদু লেগেছিল। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই রিকশা নিয়ে গুলিস্তান পৌঁছে গেলাম এবং ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যেই বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। মূলত বাসায় পৌঁছেই কেনাকাটার এই ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছিলাম। যাইহোক সবমিলিয়ে সেদিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমরা এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
| তারিখ | ১৪.১২.২০২৫ |
| লোকেশন | নিউমার্কেট,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹














ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/i/status/2000123828039712893
https://x.com/i/status/2000124275572023415
X-promotion