ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (দ্বাদশ ও শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের একাদশ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বাদশ ও শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সেখানে থাকা বিভিন্ন ধরনের রাইডগুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমাদের। এককথায় বলতে গেলে পার্কের মতো লাগছিলো। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে এতো সুন্দর ব্যবস্থা দেখে সবার কাছেই বেশ ভালো লেগেছিল। বিকেলের চেয়ে সন্ধ্যার পর সেখানকার সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যাইহোক আমাদের হাতে যেহেতু সময় কম ছিলো, তাই সবাই ভাবলাম কেনাকাটা তাড়াতাড়ি শুরু করা যাক। কারণ কেনাকাটা করতেও বেশ ভালোই সময় লাগে। তবে আমরা একসাথে কেনাকাটা করলাম না।
বরং আলাদা আলাদা হয়ে কেনাকাটা শুরু করলাম। কারণ একসাথে কেনাকাটা করতে গেলে, প্রচুর সময় লেগে যাবে। যাইহোক আমার ওয়াইফ আগেই বলে দিয়েছিল,বাসায় পড়ার জন্য থ্রি পিস কিনে নিয়ে যেতে। তো আমি বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরাঘুরি করে, শেষ পর্যন্ত তিনটা থ্রি পিস পছন্দ করতে পেরেছিলাম। একটা থ্রি পিস হচ্ছে আকাশী কালারের। আরেকটা নেভি ব্লু রঙের এবং আরেকটা কালো রঙের। তো ড্রেস তিনটা দামাদামি করে খুব সম্ভবত ২,০০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। হাতে সময় কম ছিলো বলে,বেশি ঘুরাঘুরি না করে ড্রেস তিনটা কিনে ফেললাম। তারপর গেলাম শুঁটকির দোকানে। কারণ আমার আম্মু বলেছিল কয়েক ধরনের শুঁটকি নিতে। যাইহোক শুঁটকি কিনতে গিয়ে তো বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেলাম। কারণ সেখানে অনেক খোজাখুজি করে,মাত্র দুইটা শুঁটকির দোকান পেয়েছিলাম।
শুঁটকির দোকানে ঢুকেই প্রথমে লইট্টা শুঁটকি দেখতে লাগলাম। কারণ লইট্টা শুঁটকি ভুনা আমাদের বাসার সবাই বেশ পছন্দ করে। আর আমার তো ছোটবেলা থেকেই লইট্টা শুঁটকি ভুনা ভীষণ পছন্দ। যাইহোক সেখানে বড় ছোট বিভিন্ন ধরনের লইট্টা শুঁটকি ছিলো। কিন্তু বড় সাইজের লইট্টা শুঁটকির দাম ফিক্সড ৮০০ টাকা কেজি। তাছাড়া একটু ছোট সাইজের গুলো ৬০০ টাকা কেজি। আমি ৮০০ টাকা দিয়ে বড় সাইজের এক কেজি লইট্টা শুঁটকি কিনলাম। তারপর বড় সাইজের চ্যাপা শুঁটকি কিনলাম ৫০০ গ্রাম। খুব সম্ভবত ৩৫০ টাকা দিয়ে। এরপর নোনা ইলিশ শুঁটকি দেখতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত ৪৫০ টাকা দিয়ে একটি নোনা ইলিশ শুঁটকি কিনেছিলাম। তারপর বাসায় ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম আরও শুঁটকি কিনবো নাকি। বাসা থেকে বললো বাসায় আগে থেকেই কিছু শুঁটকি রয়েছে। তাই আর কোনো শুঁটকি কিনতে হবে না।
আসলে কয়েকমাস আগে কক্সবাজার গিয়ে বেশ কিছু শুঁটকি কিনেছিলাম। সেগুলো বাসায় রয়ে গিয়েছিল। যাইহোক শুঁটকি কেনা শেষ হলে,সবাইকে ফোন দিয়ে জানার চেষ্টা করলাম তাদের কেনাকাটা শেষ হলো কিনা। তারা বললো কেনাকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই একসাথে জড়ো হলাম। তারপর আবারও ৩/৪ টা দোকানে সামুদ্রিক মাছ দেখলাম ফ্রাই করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু ফ্রেশ মাছ পাইনি বলে,আমরা সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর আমি ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম গাড়ি কোথায় পার্কিং করা আছে। এরপর আমরা সবাই গাড়িতে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাত ১.৩০ টার দিকে আমরা বাসায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম। সবমিলিয়ে এবারের ট্যুরে বেশ মজা করেছিলাম। আশা করি আপনারাও পুরো ব্লগটা বেশ উপভোগ করেছেন।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৩.১২.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
৩ টা থ্রিপিস ২০০০ টাকায় নিয়ে জিতেছেন তো ভাই! আপনি তো বেশ দামাদামি করতে পারেন, মানতেই হবে। সাথে তিন রকমের শুটকিও কিনেছেন৷ আলাদা শপিং করার আইডিয়া টা ভালোই সময় বাঁচিয়েছে মনে হচ্ছে।
দামাদামি মোটামুটি ভালোই করতে পারি আপু। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ভালো লাগলো রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করতে গিয়ে আপনি বেশ অনেকগুলো পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আজকের পোস্টে শুটকি মাছ এর বাজার দেখতে পারলাম। এছাড়াও আপনার সুন্দর অনুভূতি, বিস্তারিত বর্ণনা জানতে পারলাম। অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন।
এটা ঠিক শুঁটকির বাজার না। মূলত সেখানে বিভিন্ন ধরনের দোকানের পাশে মাত্র দুটি শুঁটকির দোকান ছিলো। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করে দারুণ অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেছেন। চট্টগ্রামে যারা যায় সবাই শুটকি মাছ কিনে আনে। এটা এক অন্যরকম অনুভূতি। ধন্যবাদ।
চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা শুঁটকি গুলো খেতে দারুণ লেগেছিল। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।