রেসিপি পোস্ট || 🍲শোল মাছের মজাদার ভুনা রেসিপি তৈরি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝেমধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক আমার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে দুটি শোল মাছ সহ বেশ কিছু মাছ পাঠিয়েছিল। মাছগুলো মূলত তাদের বাসার পুকুর থেকে ধরেছিল। শোল মাছ আমার ভীষণ পছন্দ। তাই আমি শোল মাছ এবং টমেটো দিয়ে মজাদার ভুনা রেসিপি তৈরি করেছিলাম। রেসিপিটা খেতে এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল। শোল মাছ গুলো সাইজে ততটা বড় না হলেও, খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। সবমিলিয়ে রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া রেসিপির কালারটাও খুব সুন্দর এসেছিল। যাইহোক আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
শোল মাছের মজাদার ভুনা রেসিপি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শোল মাছ | ২ টা |
টমেটো | ১ টা |
পেঁয়াজ | ৫/৬ টা |
কাঁচামরিচ | ৮/১০ টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
আদা রসুন পেস্ট | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমে পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মেখে রাখা শোল মাছের টুকরা গুলো, সয়াবিন তেল দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিচ্ছি। ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে রাখবো।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল একটু গরম হওয়ার পর,পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম। পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর,পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,ধনিয়ার গুঁড়া, আদা রসুন পেস্ট এবং লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
কষানো হয়ে গেলে, কেটে রাখা টমেটো এবং কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে একটু নেড়ে নিলাম।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো পানিতে বলক আসা পর্যন্ত।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
একটু পর দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। এরপর ভেজে রাখা শোল মাছের টুকরা গুলো দিয়ে দিলাম এবং আবারও ৪/৫ মিনিট ঢেকে রাখবো ঢাকনা দিয়ে।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
৪/৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম ঝোল অনেকটা শুঁকিয়ে গিয়েছে। তারপর কেটে রাখা ধনিয়াপাতা গুলো দিয়ে দিলাম এবং ২ মিনিটের জন্য আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম রান্না হয়ে গিয়েছে। তারপর চুলা বন্ধ করে দিলাম।
🍲পরিবেশন🍲
এরপর গরম গরম পরিবেশন করলাম। রেসিপিটা খেতে এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৭.১২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
গত বছরে আমাদের পুকুরের শোল মাছ খেয়েছিলাম। শোল মাছের ভুনা আসলে অসাধারণ হয়। আর নিজের পুকুরের মাছ খাওয়ার স্বাদই অন্যরকম। আপনি টমেটোর কম্বিনেশনে মজাদার করে রান্না করে দেখিয়েছেন। খেতে নিশ্চয় মজা হয়েছে ভীষণ।
নিজেদের পুকুরের শোল মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। রেসিপিটা খেতে আসলেই দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এভাবে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শোল মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখেই তো লোভ লেগে গেল। শীতের সময় শোল মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। অসাধারণ হয়েছে আপনার তৈরি করা এই মাছের রেসিপি।
ঠিক বলেছেন আপু,শীতকালে শোল মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শোল মাছের রেসিপি অসাধারণ ছিল। তবে অনেক দিন হলো শোল মাছ খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি শোল মাছ প্রায়ই খেয়ে থাকি। কারণ শোল মাছ আমার খুব পছন্দ। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
কি দারুণ শোল মাছের রেসিপি করেছেন ভাইয়া।আপনার আত্নীয়ের বাড়ি থেকে দারুণ সব মাছ পাঠিয়েছে।আপনি অনেক লোভনীয় করে রান্না করেছেন। ধাপে ধাপে শোল মাছ রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
হ্যাঁ আপু আত্মীয়ের বাসা থেকে শোল মাছ,টাকি মাছ,খলিসা মাছ সহ আরও কিছু মাছ পাঠিয়েছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আপনি আবার সেই সুন্দরী প্যানে করে রান্না করলেন। শোল মাছের থেকেও যেটা বেশি আকর্ষণীয় আমার কাছে। আপনার শোল মাছের রেসিপিটি বেশ চমৎকার লাগলো দেখতে। এই ধরনের রান্নাগুলো তো খেতে ভালই হয়। তাই আলাদা করে কিছু বললাম না। আমাদের এদিকে জানেন আম দিয়ে শোল মাছ রান্নাটা খুব প্রচলিত। আমার মেজ মামা খেতে ভীষণ ভালবাসতেন। আপনার শোল মাছ দেখে মামার কথা মনে পড়ল। প্রায় দেড় বছর হল উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
আম দিয়ে শোল মাছ রান্না কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে শোল মাছ আমার খুব পছন্দ। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দেখেই বুঝতে পেরেছি এই রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক বেশি মজাদার ভাবে আপনি শোল মাছের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেকোনো মাছের এরকম ভুনা করলে খেতে খুব ভালো লাগে। শোল মাছ আমার কাছে খেতে ভালো লাগে। আর এই ভুনা রেসিপি টা দেখে একটু বেশি লোভ লেগে গেলো।
আপনারও শোল মাছ খুব পছন্দ,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। রেসিপিটা দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শোল মাছের মজাদার ভুনা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার তৈরি করার রেসিপি টা দেখেই যেন লোভ লেগে যাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটা দেখতে আসলেই বেশ লোভনীয় লাগছে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।