কবিতা আবৃত্তি পোস্ট || শেষ বিকেল (rme দাদা)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি কবিতা আবৃত্তি শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের সাথে। কবিতা পড়তে এবং আবৃত্তি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। একসময় বিভিন্ন ধরনের কবিতা পড়া হতো। তবে এখন আমাদের কমিউনিটির অনেকের কবিতাই পড়া হয়। বিশেষ করে বড় দাদা, ছোট দাদা এবং হাফিজ উল্লাহ ভাইয়ের কবিতা বেশি পড়া হয়। যদিও বড় দাদা নিয়মিত কবিতা শেয়ার করেন না। তবে ছোট দাদা এবং হাফিজ উল্লাহ ভাইয়ের কবিতা নিয়মিত পড়া হয়।
কভার ছবি থাম্বনেল মেকার অ্যাপ দিয়ে তৈরি
যাইহোক বড় দাদার সব কবিতা আমার খুব ভালো লাগে। এই কবিতাটি কয়েকদিন আগে দাদার পোস্টের মাধ্যমে পড়া হয়েছে আমার। এই কবিতাটি দাদা প্রায় তিন বছর আগে উনার পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন। কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। সত্যি বলতে কবিতার প্রতিটি লাইন একেবারে মন ছুঁয়ে গিয়েছে। তাই আমি @rme দাদার লেখা "শেষ বিকেল" কবিতাটি আবৃত্তি করার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু পেরেছি। আমার কবিতা আবৃত্তি কেমন হয়েছে, সেটা আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। যাইহোক আমি কবিতা আবৃত্তির লিংক নিচে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
কবিতা : শেষ বিকেল
কবি : rme দাদা
কবিতা আবৃত্তি : @mohinahmed
কবিতার লাইনগুলো নিম্নরূপ :
শেষ বিকেলের মরা রোদ পাখির ডানায়
তাদের এখন ঘরে ফেরার পালা ।
স্তব্ধ চারিদিক, শুধু শন শন বাতাসের শব্দ,
নাড়িয়ে দিয়ে যায় ওই উঁচু উঁচু গাছের শাখা ।
সব কাজ সারা, বসে আছি ক্লান্তি অপার,
উদাস হয়ে দেখছি সব।
একটা মাছরাঙা, বসে আছে বহুক্ষণ
প্রতীক্ষা দীর্ঘ তার একটা মাছের জন্য ।
এক বিষণ্ণ , একাকী বুড়ো কাক
সারাদিন কা কা রবের পরে,
এখন স্তব্ধ তার কণ্ঠ ।
একদল কাঠ পিঁপড়ে টহল দিতে বেরিয়েছে সবে,
পুকুরপাড়ের জীর্ন ঘাটের অসংখ্য ফোকড় থেকে ।
ম্লান সূর্যের আভা উঁকি মারছে পাতার ফাঁক দিয়ে,
তারই আলোয় দেখি অজস্র কাঁচপোকা উড়ছে হাওয়ায় ।
বাঁশ ঝাড়ের ওই ওদিকটায় শোনা যাচ্ছে এখন
ঝিঁ ঝিঁ পোকার একটানা কোরাস ।
পুকুরের মধ্যিখানে কী যেন একটা মাছ
জলের উপরে একটা আলোড়ন তুলে মারলো ডুব,
কোন পাতালে, শীতল জলের গহনে ।
মাছের পুচ্ছের তাড়নায় ঢেউ উঠেছে সারা দীঘি জুড়ে ।
তরঙ্গগুলো দীর্ঘায়িত হয়ে ভাঙছে এসে
জীর্ন ঘাটের শেষ সোপানটায় ।
অন্ধকার কখন ঘন হয়ে এসেছে
টের পাইনি, বুড়ো হচ্ছি তো ।
জীবন সায়াহ্নে এসে ইন্দ্রিয়গুলো এখন করছে বিদ্রোহ ,
অনেক তো হলো আর কেন ?
এবার ছুটি নেওয়ার সময় আগত ।
কবিতা আবৃত্তির লিংক👇👇
শেষ বিকেলের মরা রোদ পাখির ডানায়
তাদের এখন ঘরে ফেরার পালা ।
স্তব্ধ চারিদিক, শুধু শন শন বাতাসের শব্দ,
নাড়িয়ে দিয়ে যায় ওই উঁচু উঁচু গাছের শাখা ।
সব কাজ সারা, বসে আছি ক্লান্তি অপার,
উদাস হয়ে দেখছি সব।
একটা মাছরাঙা, বসে আছে বহুক্ষণ
প্রতীক্ষা দীর্ঘ তার একটা মাছের জন্য ।
এক বিষণ্ণ , একাকী বুড়ো কাক
সারাদিন কা কা রবের পরে,
এখন স্তব্ধ তার কণ্ঠ ।
একদল কাঠ পিঁপড়ে টহল দিতে বেরিয়েছে সবে,
পুকুরপাড়ের জীর্ন ঘাটের অসংখ্য ফোকড় থেকে ।
ম্লান সূর্যের আভা উঁকি মারছে পাতার ফাঁক দিয়ে,
তারই আলোয় দেখি অজস্র কাঁচপোকা উড়ছে হাওয়ায় ।
বাঁশ ঝাড়ের ওই ওদিকটায় শোনা যাচ্ছে এখন
ঝিঁ ঝিঁ পোকার একটানা কোরাস ।
পুকুরের মধ্যিখানে কী যেন একটা মাছ
জলের উপরে একটা আলোড়ন তুলে মারলো ডুব,
কোন পাতালে, শীতল জলের গহনে ।
মাছের পুচ্ছের তাড়নায় ঢেউ উঠেছে সারা দীঘি জুড়ে ।
তরঙ্গগুলো দীর্ঘায়িত হয়ে ভাঙছে এসে
জীর্ন ঘাটের শেষ সোপানটায় ।
অন্ধকার কখন ঘন হয়ে এসেছে
টের পাইনি, বুড়ো হচ্ছি তো ।
জীবন সায়াহ্নে এসে ইন্দ্রিয়গুলো এখন করছে বিদ্রোহ ,
অনেক তো হলো আর কেন ?
এবার ছুটি নেওয়ার সময় আগত ।
কবিতা আবৃত্তির লিংক👇👇
ইনশট অ্যাপ দিয়ে এডিট করা হয়েছে
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | কবিতা আবৃত্তি |
---|---|
আবৃত্তি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৪.১১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বড় দাদার শেষ বিকেল নামের কবিতাটি আমিও বেশ কিছুদিন আগে আবৃত্তি করেছিলাম। দারুন মাধুর্যতা দিয়ে লিখে থাকেন বড় দাদা প্রত্যেকটা কবিতা। যাইহোক আপনিও কিন্তু দুর্দান্তভাবে আবৃত্তি করেছেন ভাইয়া। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। বড় দাদার লেখা চমৎকার একটি কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দাদার কবিতার জবাব নেই। এককথায় দুর্দান্ত লিখেন। যাইহোক আমার আবৃত্তি শুনে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বড় দাদার লেখা কবিতাটি আপনি আবৃত্তি করেছেন। আপনার কন্ঠে আবৃত্তি শুনতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এই আবৃত্তির মাধ্যমে কবিতাটি যেন পরিপূর্ণতা পেল।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক আমার আবৃত্তি শুনে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যেকোনো কবিতাই পাঠ করার ফলে কবিতা যেন প্রাণ পায়। দাদা কবিতা লিখেছেন। আপনি পাঠ করে তাকে জীবন্ত করে তুললেন। সুন্দর পাঠ হয়েছে৷
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক আমার আবৃত্তি শুনে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার শেষ বিকেল কবিতাটি চমৎকারভাবে আবৃত্তি করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। শ্রদ্ধেয় দাদা এই কবিতাটি সত্যি বেশ দুর্দান্ত। আপনার মিষ্টি কন্ঠে এতো সুন্দর কবিতা আবৃত্তি শুনে বেশ খুশী হলাম। আপনার কবিতা আবৃত্তি করার দক্ষতা বেশ অসাধারণ। মিষ্টি কন্ঠে অত্যন্ত দক্ষতা সহকারে কবিতা টি আমাদের মাঝে আবৃত্তি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আমার আবৃত্তি মনোযোগ সহকারে শুনে, এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের দাদা সত্যিই অনেক সুন্দর কবিতা লেখেন। শুধু কবিতা নয় ওনার যেকোনো ধরনের লেখা বেশ ভালো লাগে পড়তে। আজকের এই কবিতাটাও সুন্দর আর আপনি চমৎকারভাবে আবৃত্তি করেছেন। দারুন লাগলো আপনার আবৃত্তি শুনে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু,দাদার যেকোনো লেখা বেশ ভালো লাগে পড়তে। যাইহোক আমার আবৃত্তি শুনে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।