বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের কে মিষ্টি খাওয়ানো
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা সকলেই জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক আর শিক্ষক হবার কারণে সব সময় আমি আপনাদের মাঝে আমাদের স্কুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট লেখার চেষ্টা করে থাকি। আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমাদের স্কুলের একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গেলাম আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের কাছে অত্যন্ত ভালো লাগবে। কারণ এই পোষ্টের মাঝে আমি অনেকগুলো খুশির সংবাদ আপনাদেরকে দিব যার কারণে এটা ভালো লাগার মত একটা পোস্টে পরিণত হবে।
আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা হয়তো বা অনেকেই জানেন যে গত বছরে আমরা বাংলাদেশ কিন্ডারগার্ডের অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। আর যেহেতু কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে যুক্ত হয়েছিলাম তাই আমাদের বৃত্তি পরীক্ষা দেবার মত একটা সৌভাগ্য হয়ে গিয়েছিল। যদিও এই পরীক্ষার কেন্দ্র প্রত্যেকটা জেলাতে হয়ে থাকে কিন্তু পরীক্ষা একই সাথে এবং একই প্রশ্নের হয়ে থাকে। এই কারণে এই পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পায় প্রত্যেকটা মানুষের কাছেই। সত্য কথা বলতে আমাদের স্কুলের উপদেষ্টা মহলের কেউ রাজি ছিল না আমাদের স্কুলকে এই কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশন এর সাথে যুক্ত করতে শুধুমাত্র আমার জোর করার কারণেই অবশেষে তারা যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে। আমি তাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করেই এখানে যুক্ত হয়েছিলাম কারণ আমি জানি যে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা কিভাবে লেখাপড়া করায় তারা অবশ্যই এই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল করতে পারবে।
অবশেষে ছাত্রছাত্রীরা আমার সম্মান রাখতে পেরেছে এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। এই বছরে আমাদের স্কুল থেকে ১৪ জন ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পেয়েছে আর এর মধ্যে একজন সারা বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাহলে একবার ভেবে দেখুন কতটা ভালো ফলাফল পড়তে পেরেছে আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
সকলের এই ফলাফল দেখে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত খুশি হয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল সাথে সাথেই। রেজাল্ট জানার পরেই প্রধান শিক্ষক এসেম্বলিতেই বৃত্তি প্রাপ্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মিষ্টি খাওয়াতে শুরু করে দেয়।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile

















Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার স্কুলের ১৪ জন ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পেয়েছে এটা শুনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। সবাই খুব ভালো রেজাল্ট করেছে। তাদের মধ্যে একজন আবার তৃতীয় হয়েছে পুরো দেশের মধ্যে। এ ধরনের ফলাফল গুলো পেলে আসলেই ভালো লাগে। আপনার স্কুল এবং প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী আরো এগিয়ে যাক এই কামনা করি।
পরবর্তী বছরে আরো বেশি ভালো ফলাফল করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আপনার পোস্ট পড়ার আগে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পাওয়া উপলক্ষে মিষ্টি খেয়ে নিয়েছি। এবার আপনাদের স্কুলে 14 জন বৃত্তি পেয়েছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। এদের মধ্যে একজন পুরো বাংলাদেশের মধ্যে থার্ড হয়েছে এটা যেন আরও বেশি ভালো লাগছে। আপনাদের স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।
প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত খুশি হয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে মিষ্টি খাইয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যে আনন্দিত হয়ে তাদের যদি এইভাবে উৎসাহ দেওয়া যায় তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো ফলাফল করতে পারবে। আসলে ভালো পড়াশুনা করাটাও একটা আবেগ। ভালো রেজাল্টের পর যদি ভালো কোন আনন্দ তাদের মনের মধ্যে তৈরি না হয় তাহলে পড়াশোনার ইচ্ছেটাও হয়তো সময়ের সাথে সাথে কমে যাবে। খুব ভালো উদ্যোগ ছিল।
ছাত্র-ছাত্রীদের খুশি করার জন্য প্রধান শিক্ষক সব সময়ই বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
মোট ১৪ জন বৃত্তি পাওয়া এবং একজন সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় হওয়া নিঃসন্দেহে একটা বড় অর্জন।
প্রধান শিক্ষক আপনাকে মিষ্টি খাইয়েছেন তো?
ভাল থাকুন।
আসলেই তৃতীয় স্থান অধিকার করাটা অনেকটাই কঠিন কাজকে সম্ভব করতে পেরেছি আমরা।