ঈদের ছুটি শেষে ব্যস্ততম নগরীতে।

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

  • ব্যস্ততম নগরী
  • ২৪,এপ্রিল ,২০২৪
  • বুধবার

IMG_20240424_192346.jpg


হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ঈদের সময়টা আমাদের অনেক বেশি আনন্দের মুহূর্তের মধ্যে দিয়েই কাটে। বিশেষ করে সবাই আমরা এই ছুটিতে একসাথে হতে পারি। কর্ম ব্যস্ত মানুষের ছুটির মিলে ঈদের মধ্যে। তাই সবার সাথেই মোটামুটি দেখা হয়ে যায় অনেক বেশি আড্ডা এবং ঘুরাঘুরি হয়।

কিন্তু ছুটি তো আর দীর্ঘ সময় থাকে না। ছুটি শেষ মাত্র দুটি শব্দ কিন্তু এই শব্দটা বেশ কষ্টদায়কও বটে। ছুটি শেষ হলেই চলে যেতে হবে আবার ব্যস্ততম নগরীতে ব্যস্ততার মাঝে। আস্তে আস্তে বেড়ে যাবে কর্ম ব্যস্ত মানুষের ব্যস্ততা। আমাদেরও যে ফিরতে হবে ব্যস্ততম নগরীতে। তবে আমরা অন্য সবার মত অত ব্যস্ত না কারন আমরা এখনো স্টুডেন্ট। আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাটা পড়েছে ঈদের পরেই। পরীক্ষার ডেট দিয়েছিল ১৮ তারিখ থেকে তাই আমাদেরকে দুইদিন আগেই চলে আসতে হবে। ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় আমরা অনেক সকালে বের হয়ে চলে যায় তখন চোখে ঘুম থাকে না। কিন্তু বাড়ি থেকে যখন ঢাকা আসবো তখন যদি সকাল 9 টায়ও বের হয় তারপরও কেমন যেন ঘুম ঘুম লাগে। বাড়ি যাওয়ার সময় অনেক বেশি এক্সাইটেড থাকি সেজন্য সারারাত না ঘুমিয়েও সকালে বাইক নিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারি। কিন্তু বাড়ি থেকে ফেরার সময় ভরপুর ঘুমিয়েও যদি সকাল 9 টার দিকে বের হয় তাও বাইক রাইড করার সময় কেমন যেন ক্লান্তি অনুভব করি।

আবহাওয়াটা বেশ গরম চেয়েছিলাম অনেক সকালে বের হতে ।কিন্তু এই যে বললাম বাড়ি থেকে ঢাকা আসার উদ্দেশ্যে রওনা করলে অনেক বেশি ঘুম পায় সেজন্য সকালে বের হওয়া হয়নি। সকাল ৯ টার দিকে আমি আর আমার বন্ধু অংকন বাইক নিয়ে বের হয়েছি। অনেক বেশি গরম ছিল সকালে তখন সূর্যটা বেশ তাপ দিতে শুরু করেছে আমাদেরকে বাইক নিয়ে পাড়ি দিতে হবে ১৫০ কিলোমিটার পথ।


IMG20240416100634-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

আমাদের বাড়ি থেকে ফেরিঘাট দেড় ঘন্টা আর দূরত্ব সাধারণত অন্য দিনে কোন ধরনের বিশ্রাম ছাড়াই একেবারে ফেরিঘাটে চলে আসতে পারি। তবে এই দিনে অনেক বেশি গরম পড়াতে এক ঘন্টা পর একটি দোকানে আমাদের বিশ্রাম করতে হয় এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হয়। কারণ শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে এদিকেও আমাদের খেয়াল রেখে চলতে হবে। ১০ মিনিট যাত্রা বিরতির পর আমরা আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। আমাদের ফেরিঘাটে যেতে ৩৮ মিনিট সময় লাগবে। গরমের মধ্যে বাইক নিয়ে চলাচল করতে বেশ কষ্টই হয় কারণ বাতাস অনেক বেশি গরম থাকে। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরি ঘাটে চলে আসলাম। এখানে এসে দেখি একটি ফেরি দাঁড়িয়ে আছে গাড়ির বেশ চাপ দ্রুত ফেরিতে উঠে পড়লাম।


IMG20240331090846-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

যেহেতু ফেরিতে অনেক বেশি লোক ছিল আর রোদের তাপটাও বেশ প্রখর ছিল। সেজন্য আমরা ফেরির একদম উপরের অংশে চলে যায় সেখানে বাতাস পাওয়া যায়। ওইখানে গিয়েও দেখি অনেক মানুষের ভিড় কারণ সবাই ফিরছে তাদের কর্মস্থলে। অনেকটা সময় ওখানে দাঁড়িয়ে থাকি নিচের তুলনায় উপরে অনেক বেশি বাতাস ছিল জন্য তেমন গরম লাগেনি।


IMG20240416105810-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

ফেরির উপর থেকে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম ছুটে চলছে নৌকারা তাদের নিজের গন্তব্যে। এগুলো উপর থেকে দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। এগুলো দেখতে দেখতে কখন যেন আমরা নদীটা পার হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি। যখন প্রায় ঘাটের কাছে চলে এসেছে তখন আমরা উপর থেকে নিচে চলে আসি। নিচে এসে দাঁড়িয়ে থাকি একটি ছায়াযুক্ত স্থানে এখনো ১০ মিনিট মত সময় লাগবে ফেরি ঘাটে ভেড়াতে।


IMG20240416110434-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

একজন ফল বিক্রেতা ফলগুলোর সামনে নিয়ে বসে বসে ঘুমাচ্ছে। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে গরমের মধ্যে তিনিও অনেক বেশি ক্লান্ত। সবাই ছুটে চলছে ব্যস্ততম নগরীর উদ্দেশ্যে এই গরমের মধ্যেও কারুর ছুটে চলা থেমে নেই। ১০ মিনিটের মধ্যেই ফেরি থেকে আমরা নেমে যাই আমাদেরকে আরো যেতে হবে বহুদূর। রোদের তাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাস অনেক বেশি গরম হয়ে গিয়েছে গায়ে লাগলে বোঝা যাচ্ছে এবং গায়ের চামড়া পুড়ে যাবে। তবে গায়ে উইন বেকার থাকাতে তেমন গরম অনুভব হয়নি। হাফহাতা কোন টি শার্ট পরে আসতাম তাহলে হাত পুড়ে যেত এমন অবস্থা হয়েছিল গরমে। আমাদের যেতে যেতে দুপুর হয়ে গিয়েছে আমরা সাধারণত মানিকগঞ্জের ভিতর দিয়ে হেমায়েতপুর গিয়ে উঠি রাস্তাটা বেশ ভালো লাগে। যত দুপুর হয়ে গিয়েছে দুপুরের খাবার টাও খেতে হবে তাই একটি হোটেলে বসে আমরা মন ভরে খাবার খেয়ে অনেকটা সময় বিশ্রাম গ্রহণ করি।


IMG20240310151856-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

তখন ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় একটা বেজে যাবে তাই আর দেরি না করে আমরা আবার যাত্রা শুরু করি আমাদেরকে বাসায় পৌঁছাতে এখনো এক ঘন্টা সময় লাগবে। রাস্তাটা বেশ ছায়াযুক্ত ছিল সেজন্য বেশি গরম অনুভব করতে পারিনি তারপরও দুপুর হতে বেশ গরম লাগছিল। দেড়টার মধ্যেই আমরা ব্যস্ততম নগরীতে প্রবেশ করি। নগরীটা এখনো ব্যস্ত হয়ে ওঠেনি সবেমাত্র সবাই ঢুকছে এই নগরের দিকে। কিছুদিন যাওয়ার পর আবার নগরী টা আগের মতই ব্যস্ত হয়ে যাবে। অবশেষে বাসায় ঢুকতে ঢুকতে দুইটা বেজে যায় এসে দ্রুত গোসল করে বেশ ক্লান্ত শরীর নিয়ে লম্বা একটি ঘুম দিয়ে ক্লান্ত দূর করি। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নেই ধন্যবাদ সবাইকে।


আমি কে !

IMG_20231120_103032_225.jpg

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 10 days ago 

বেশ কয়েকদিন ছুটি শেষ করে সকলেই তাদের কর্ম স্থলে চলে যাচ্ছে। আসলে বাড়িতে আসার দিন মনের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ থাকে। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় অনেক খারাপ লাগে। আপনি সামান্য কয়েকদিন ঈদের ছুটিতে আপনার বন্ধুদের সাথে ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে ছেলে মানুষের জীবন অনেকটা কঠিন। ছেলে মানুষ কে সব সময় তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।

 6 days ago 

জি ভাই বাড়িতে আসার সময় অনেক বেশি আনন্দ কাজ করে সেজন্য ক্লান্তিবোধ থাকে না। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য

 9 days ago 

হ্যাঁ আমাদের মাঝ থেকে ঈদুল ফিতর বছরের মত বিদায় নিয়েছে। যার যেখানে কর্মস্থল সে সেখানে আবারো উপস্থিত হয়েছে। তবে ঈদের মুহূর্তে বাড়িতে আসার আনন্দ অন্যরকম থাকে হয়তো পথ অনেক জ্যাম তার পরেও নাড়ীর টানে বাড়িতে আসার আনন্দ-ন রকম। ঈদের আনন্দ শেষ করে আবারো কর্মস্থলের দিকে ফিরে গেছে শত শত মানুষ। ব্যস্ত নগরী যেন আগের মত আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠবে এবং উঠেছে।

 6 days ago 

জি ভাইয়া অনেক বেশি ভালো লাগে যখন বাড়িতে আসি যাওয়ার সময় মনটা ততই খারাপ হয়ে যায়

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 63935.07
ETH 3138.68
USDT 1.00
SBD 3.87