ভ্রমণ : মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago (edited)

Abb 27 জুলাই 2024

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

20240613_123853.jpg

আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। ‌মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।

20240613_141428.jpg

হঠাৎ হঠাৎ করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। অভ্যাসটা আমার মধ্যে অনেক বেশি রয়েছে। আমার যখনই যেখানে যেতে ইচ্ছে করে সঙ্গে সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারন আমি ঘুরতে ভালবাসি। না ঘুরতে পারলে যেন হৃদয়ে প্রাণ ফিরে আসে না। কয়েকদিন টানা কাজ করার পর হঠাৎ করেই একদিন ঘুরতে যেতে হয়। না হয় কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। দীর্ঘদিন যাবতীয় এভাবেই ঘুরা ঘুরি করে আসতে ছিলাম।

20240613_153006.jpg

কিন্তু এবার ঘুরতে গেলাম ব্যতিক্রমভাবে। আমার এক বড় ভাই ইমরান ভাই তার কম্পিউটার সেন্টারের ভাই-বোনদের নিয়ে ঘুরতে যাবে। হঠাৎ করে আমাকে ফোন দিয়ে বলল। তার কথা শুনে আনন্দ লাগলো। কারণ ঘুরার কথা শুনলে আমার ভীষণ ভালো লাগে। জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে যাবেন। বললো তার স্টুডেন্টরা সবাই এক দুইটি হাইচ গাড়ি নিয়ে যাবে। আমরা কয়েকজন দুই তিনটা মোটরসাইকেল করে যাব। তখনই চিন্তা করলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যখন যাব অবশ্যই সোনিয়াকে এবং নাশিয়াকে নিয়ে যাব।

20240613_153632.jpg

তাদেরকে নিয়ে যেতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগবে। জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাবেন, সঙ্গে সঙ্গে মুছাপুর ক্লোজার দেখার কথা বলব। সেখানে যাওয়ার কথা শুনলে আমি এক কথায় রাজি হয়ে যাই। কতবার গিয়েছি তা গুনে শেষ করতে পারবো না। এরপরেও নদী দেখতে যেন আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। সবাইকে নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম। প্রথমত স্টুডেন্টদের সবার জন্য আমরা অপেক্ষা করলাম। এরপর আমি সোনিয়া কে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি।

রওনা দিয়ে দিলাম। আমরা রওনা দিয়ে দিলাম সকালে কিন্তু দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেখানে করার কথা। যাওয়ার সময় সেখানে খাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন খাবার নিয়ে গেলাম। কি খেলাম তা পরবর্তী পোষ্টের মধ্যে বলব। সাগরপাড়ে বসে খাওয়া-দাওয়া করার মজাই আলাদা। অনেক বেশি বাতাসের মধ্যে মজাদার কিছু খাবার।

সত্যি বলতে নাশিয়াকে নিয়ে দূরে কোথাও গেলে মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক কষ্ট হয়। এরপরেও চলে গেলাম। প্রথম ছবির মধ্যে আপনারা অবশ্য দেখলেন আমরা সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করতে ছিলাম।

20240613_104050.jpg

20240613_104042.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ক্যামেরাSamsung S23 Ultra
পোস্ট তৈরিnarocky71
লোকেশনবাংলাদেশ

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM (1).gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ,
💖ধন্যবাদ💖

Sort:  
 3 months ago 

এরকম ভাবে ভালো সময় কাটাতে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে। মুছাপুর জায়গাটা তো আমার এখন সব থেকে বেশি পছন্দের একটা জায়গা হয়ে গিয়েছে এখন। এই জায়গাটার সৌন্দর্য আমাকে সত্যি অনেক
মুগ্ধ করে। আর ঐদিন তো আমরা সবাই অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। নাশিয়া ও অনেক আনন্দ করেছিল। তুমি অনেক সুন্দর করে সম্পূর্ণ মুহূর্ত টা এই ব্লগে তুলে ধরেছো। দারুন লাগলো পোস্টটি পড়ে।

 3 months ago 

আমি নিজেও এটার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমার নিজেরও এটা অনেক পছন্দের একটা জায়গা হয়ে গিয়েছে এখন।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমারও ঘুরতে ভালো লাগে কিন্তু সময় পায় না।

 3 months ago 

আপনার মত আমিও ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালোবাসি। যখন যেখানে মনে চায় ছুটে চলে যায়।আসলে প্রকৃতির মাঝে থাকতে কারো না ভালো লাগে।আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে পরিবার নিয়ে মুছাপুরে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। জায়গাটি দেখতে অনেক সুন্দর,একদম পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা।কখনো যদি আপনার এলাকায় যায় তাহলে অবশ্যই এখানের ঘুরতে আসবো ইনশাআল্লাহ।

 3 months ago 

আপনিও ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।

 3 months ago 

অনেক সুন্দর একটি জায়গা আপনারা ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেক কিছু দেখেছেন অনেক উপভোগ করেছেন এবং সেই উপভোগ করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে কিছুটা হলেও শেয়ার করার চেষ্টা করেন দেখে খুবই ভালো লাগে আমার। আজকের এই পোষ্টের মধ্য থেকে অনেক কিছু জানার ও দেখার সুযোগ মিললো।

 3 months ago 

পুরো সময়টা সত্যি অনেক ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম।

 3 months ago 

আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের এমন হওয়া উচিত। কারণ যখন নতুন উদ্যমে কাজ করতে ইচ্ছে হয় তখন কোথাও থেকে ঘুরে আসলে ভালো হয়। যখন আমরা সারাক্ষণ কাজের মধ্যেই বসে থাকি তখন একঘেয়েমি চলে আসে। এভাবে যদি সবাই মিলে ঘুরে আসা। একসাথে বসে ভালোমন্দ খাওয়া তাহলে সুন্দর সময় কাটে। এরপরে দেখবেন যে খুব সুন্দর ভাবে কাজগুলো করতে ইচ্ছে করে। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি শেয়ার করলেন।

 3 months ago 

আপনি ঠিক বলেছেন আপু খুবই প্রয়োজন। আমাদের ঘুরাঘুরি করা খুবই প্রয়োজন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

 3 months ago 

ঘোরাঘুরি করলে শরীর মন উভয় ই ভালো থাকে।তখন যেকোনো কাজ করার ইচ্ছা তৈরি হয় মনে।আপনি কম্পিউটার সেন্টারের সেই বড় ভাই ও তার স্টুডেন্টদের সঙ্গে ঘুরতে চলে গেলেন। আর সাথে আপু ও মেয়েকে নিয়ে গেলেন।তবে লং জার্নিতে বাইকে মেয়েসহ না যাওয়াই ভালো। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বেশ বুঝতে পারছি।দুপুরে আপনারা ওখানেই খেয়েছেন।পরের পোস্টে জানা যাবে আপনারা আসলে সেদিন কি খেয়েছিলেন।

 3 months ago 

একদমই ঠিক বলেছেন আপু। শরীর মন উভয়টা ভালো রাখা খুব প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য

 3 months ago 

ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। আপনি দেখতেছি পরিবার কে নিয়ে ভ্রমণ করতে মুছাপুর গেলেন। আসলে একসাথে কিছু লোক গেলে ভ্রমণ করত ভালো লাগে। তবে ভালো করেছেন ইমরান ভাইয়ের কম্পিউটার সেন্টারের ভাই-বোনদেরকে নিয়ে সবাই ঘুরতে গেলেন। নিশ্চয় নাশিয়া ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 3 months ago 

হ্যাঁ নাশিয়া অনেক খুশি হয়েছে ঘুরতে গিয়ে। সে তো অনেক বেশি আনন্দ করেছিল।

 3 months ago 

আমার কাছেও খুব ভালো লাগে পরিবারসহ ঘুরতে। কারণ একাকী ঘোরার চাইতে পরিবারসহ ঘোরার মধ্যে মজাই আলাদা।

 3 months ago 

আসলে পরিবারের সাথে ঘুরার মজাটা আলাদা হয়, যেটা আমি অনেক ভালোবাসি।