চাইনিজ ফিশিং নেটে মাছ ধরা || ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া-১ || ভিডিওগ্রাফি
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
ভারতবর্ষে ক্রিসমাস মানেই বেশ কদিনের ছুটি পাওয়া যায়৷ তো এই সময়ে বেশিরভাগ মানুষই বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে। কারণ এরকম টানা ছুটি আবার সেই গ্রীষ্মকালে পড়বে। কমবেশি আপনারা অনেকেই জানেন আমি বেড়াতে বেরিয়েছি। আমার টুর প্রায় শেষের দিকে। দিন চারেক বাকি। যাই হোক আজকে আমি আছি কেরালার বিখ্যাত শহর এবং ভারতবর্ষের অত্যন্ত প্রাচীন একটি শহর কোচিতে। বিকেলের দিকে আজ বোটে করে চলে গিয়েছিলাম খানিকটা দূরে, সেখানে গিয়ে দেখলাম চাইনিজ ফিশিং নেট। এই নেটটি দেখার জন্য বোটে করে আসা। তবে আমাদের ভাগ্য বেশ ভালই ছিল কারণ একটি নেটের মালিক নেটটি দিয়ে মাছ ধরছিল। তাই ভাবলাম একটা ভিডিও করিনি তাহলে আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাবে কিভাবে কোচির জাহাজ বন্দরে মাছ ধরা হয়।
যদি আমি ভেবে রেখেছি আমার পুরো বেড়ানোটাই পর্ব হিসেবে আপনাদের সাথে শেয়ার করব, কিন্তু বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গা বা ঘটনা রয়েছে যে আমি আলাদা করে অভিজ্ঞতা করেছি সেগুলো আপনাদের সাথে আলাদা আলাদা শেয়ার করব। সেই হিসেবেই আজকের এই পোস্ট।
আপনারা অনেকেই জানেন ভারতবর্ষের পশ্চিম ঘাটে অর্থাৎ ওয়েস্ট কোস্টাল লাইনের নামকরা জাহাজ বন্দর হল কোচি। সমুদ্রপথে বিদেশ থেকে প্রথম এখানেই বাণিজ্য করতে এসেছিলেন নানান দেশের নাগরিকরা। সেই হিসেবে কোচির ঘর বাড়িগুলোর আর্কিটেকচারও অনেকটা বিদেশের মতো। আজ সকালের দিকেই এখানে পৌঁছেছি এবং সামান্য রেস্ট নিয়ে বিকেলে বেরিয়ে পড়েছিলাম। অনেক দিনেরই ইচ্ছে ছিল কিভাবে চাইনিজ ফিশিং নেট দিয়ে মাছ ধরা হয় দেখব। তাই অন্য কোন সাইট সিইং প্লেসে না গিয়ে প্রথমেই বটে করে বেশ খানিকটা দূর ( প্রায় আধ ঘন্টা মত লেগেছিল যেতে) গিয়ে নামলাম ভিপিন নামক এক জেটিতে। বিপিন যাওয়ার পথে আরো দুটো জেটি পড়েছিল এমবারকেশন জেটি তারপর ফোর্ট কোচি জেটি। ভিপিনে নেমে প্রায় মিনিট দশেক হেঁটে আমরা এই ফিশিং নেটের সারিতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এখানে সমুদ্র শহরের দিকে খানিকটা ঢুকে এসেছে যেন। বড় বড় জাহাজ আসা যাওয়া করছে মাঝ বরাবর আর ছোট বোটগুলো ধার দিয়ে। হাঁটার জন্য অনেকটা পথ টাইলস দিয়ে বাঁধানো৷ আমরা হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম কত সমুদ্রের দুই পাড়ের ফিশিং নেট মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে৷ ঠিক যেমন কর্মবিরতি হয়। তারপর হঠাৎই দেখলাম একটি নেটের মালিক এসে তার কর্মচারীদের নিয়ে মাছ ধরতে শুরু করলেন৷ বাইরে ইংরেজিতে লেখা ছিল ফ্রেশ ফিশ অ্যাভেলএবল।
প্রথমবার জাল ফেলে এই মাছগুলো ধরা হয়েছিল। সব থেকে মজার বিষয় মাছগুলো যখন জালে উঠেছিল এক ঝাঁক বক মনের আনন্দে যত পেরেছে তত মাছ খেয়েছে। সেই মুহূর্তে আমার কিন্তু RME দাদার কথাই মনে পড়ছিল। ভাবছিলাম দাদা যদি থাকতেন তাহলে সবকটা ফিশিং নেট দিয়ে মাছ ধরিয়ে ট্রাকে করে মাছ নিয়ে বাড়িয়ে ফিরতেন। হা হা হা।
যাই হোক চলুন আপনাদের জন্য ভিডিও লিংকটি দিচ্ছি আশা করি খুবই এঞ্জয় করবেন৷ বাংলাদেশী বন্ধুরা যারা মাছ ধরে এবং মাছ চাষ করে তাদের তো দারুন ইন্টারেষ্টিং লাগবে বলে আমার ধারণা।
বন্ধুরা, কেমন লাগল আজকের ভিডিওটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। অপেক্ষায় থাকলাম। আবার আগামীকাল আসব নতুন পোস্ট নিয়ে৷ আজ এ পর্যন্তই৷
টা টা
পোস্টের ধরণ | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ভিডিওওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | আইফোন ১৪ |
লোকেশন | কোচি,কেরালা,ভারতবর্ষ(https://what3words.com/cooked.dude.restore) |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ইনশট |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1872707236042338312?t=RU99LhC7mC7PbEScbmNgVg&s=19
চাইনিজ ফিশিং নেটে মাছ ধরার ভিডিওগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক রকমের মাছ ধরা পড়ছে দেখছি। আসলে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।