হাঁস কিনতে চর এলাহি যাওয়া।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
হাঁস কিনতে চর এলাহি যাওয়া। |
---|
তখন চিন্তা করলাম আমরা এইবার ব্যাপারির মতোই যখন হাঁস বাজারে ঢুকব তখন কন্ট্রাক করে নিয়ে নিব। তাই আমরা বাজারের মুখে দাঁড়ালাম। যখন আমরা বাজারের মুখে দাঁড়ালাম তখন আরো কিছু লোক হাঁস মুরগি নিয়ে আসতে লাগলো। তখন তাদের সাথে কথা বলার আগেই দেখি অন্য ব্যাপারিরা সেখানেও হাজির। সেখানেও তারা নিজে থেকেই আমাদের আগেই হাঁস গুলো দাম করে ফেলে সেগুলোও নিয়ে গেলো।
আর যারা এই হাঁস মুরগি নিয়ে আসে তাদেরও চাহিদা অনেক বেশি। পরবর্তীতে যতটুকু বুঝলাম যে সেখানে আমাদের এরিয়ার বাজার থেকে অনেক বেশি দাম।তাই সিদ্ধান্তও চেঞ্জ করে ফেললাম যে এখান থেকে হাঁস কেনা যাবেনা। কারণ আমাদের এলাকায় আরো কম।আসলে সেখানে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে, আর সেই দামে কি দরকার হাঁস কেনার।
পরবর্তীতে আমরা অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে দেখলাম যে আসলে হাঁসের দাম অনেক চড়া তাই আর কিনলাম না। এরপর আমরা সেখান থেকে কিছু কাঁচা বাজার করে যখনই আসতে লাগলাম, তখন দেখতে পেলাম যে একটি চিনা হাঁস একটি ব্যাপারী দাম দর করছে। ব্যাপারী সে হাঁস ১২০০ টাকা থেকে দামদর করতে করতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বললো।
তখন ওই লোক ব্যাপারীকে হাঁসটি দিল না। তখন ওই ব্যাপারী রাগ করে চলে গেল আর হাঁসটি নিলোনা।পরবর্তীতে আমরা জিজ্ঞাসা করলাম ভাই এটার দাম কত। তখন সে বলে ২০০০ টাকা তখন আমরা বললাম যে ১৭০০ টাকা দিবো। তখন লোকটি বলল যাইহোক ব্যাপারী আপনাদের সামনে ১৬০০ টাকা বলেছে কিন্তু আমি সেল করি নাই।
আপনারা যেহেতু খেতে নিবেন ১৮০০ টাকা দেন দিয়ে দিবো।ব্যাপারীকে দিই নাই কারণ সে এটা নিয়ে ব্যবসা করবে। কিন্তু আপনারা খাবেন সেই হিসেবে ১৮০০ টাকা দেন দিয়ে দিচ্ছি। তখন আমরা আর কথা না বলে তাকে টাকা দিয়ে চিনা হাঁসটি নিয়ে নিলাম। এরপর আমরা বাজারগুলো বাইকে সেট করে নিয়ে হাঁসটিকে ভাগিনার হাতে দিয়ে রওনা হয়ে গেলাম আমাদের গন্তব্যের দিকে।
ভাগিনার হাতে হাঁস ছিল সে হাতে করে নিয়ে আসতে একটু সংকোচ বোধ করছিল।আর হাঁসটিও লাফালাফি করেছিল। তাই অর্ধেক পথে গিয়ে একটি জায়গা থেকে আমি বাজারের ব্যাগ নিয়ে নিলাম। তারপর বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে ধীরে ধীরে নিয়ে আসলাম।দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ড্রাইভ করে অবশেষে পৌঁছে গেলাম আমাদের নিজ গন্তব্য। যদিও সন্ধ্যার আগে চলে এসেছি নাহলে অনেক বেশি ঠান্ডা লাগতো।
তারপর হাঁসটি বোনের বাসায় রেখে আমি অফিসের দিকে চলে গেলাম।অফিস শেষে চলে গেলাম বাড়িতে। রাতে দুলাভাই ফোন দিয়ে বলল যে ওনারা স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে বারোটা পর্যন্ত বসে বসে এই হাঁসটি কাটাকাটি বাছাই সব করেছে। আর আমাদেরকে পরের দিনের দাওয়াত দিল আসার জন্য। আমাদের বলতে আমাকে আর বৃষ্টিকে।
যাক সকাল বেলায় সবসময়ের মত অফিসে গেলাম। অফিস শেষ করে দুপুরে বাড়ি গেলাম তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার অফিসে আসলাম। পরবর্তীতে বিজয়কে অফিসে রেখে আবার চলে গেলাম বাড়িতে বৃষ্টিকে আনার জন্য। তখন সে রেডি হলো আর নিভৃতকে রেডি করিয়ে নিল। এরপর আমরা রওনা দিলাম বোনের বাসার দিকে।যাইহোক বাকিটা আরেকদিক শেয়ার করবো। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1870647247446356167
কিছু সময় নিজেকে পছন্দের খাবারগুলো খাওয়ার জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়। ঠিক যেমনটি আপনার হয়েছে। বর্তমান সময়ের সব জিনিসের দাম বেশি তাই হাঁসেরও দাম কিন্তু অনেক বেশি। তবে বলতেই হয় তুলনামূলক ১৮০০ টাকা অনেক বেশি হয়ে গেছে। তবে হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ সুস্বাদু।
এইতো কিছুদিন আগে আমরাও দুটো হাঁস কিনে পিকনিক করলাম। ৪২৫০ টাকা দিয়ে কিনে ছিলাম রাজহাঁস। যাইহোক, আপনি দেখছি ১৮০০ টাকার মধ্যে কিনেছেন। শীতের সময় হাঁসের মাংস খেতে সবাই পছন্দ করে। আমাদের সাথে হাস কেনার গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সকলে মিলে হাঁস কেনার যে অনুভূতি শেয়ার করেছেন তা বেশ ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে সকলে মিলে একসাথে কোথাও যেতে বেশ ভালো লাগে। আর সেটা যদি খাওয়া-দাওয়া সম্পর্কিত হয় তবে তো কথাই নেই। সকলে মিলে হাঁস খেয়ে বেশ আনন্দ করেছিলেন বলেই মনে হয়।