আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা - ৬৩ || শরৎকালের কিছু ফটোগ্রাফি।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। যেহেতু আবার শুরু হয়ে গেল আমার বাংলা ব্লগে শরৎকালের ফটোগ্রাফি কনটেস্ট। তাই আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে শরৎকালের ফটোগ্রাফি বলতে আমরা কাশফুলের ফটোগ্রাফি এবং নীল আকাশের ফটোগ্রাফি করতে বুঝি। এছাড়াও এই সময় যেহেতু ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে সবার তাই সবাই সবার ক্যামেরা নিয়ে ফটো তোলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। যখন আমি কাশফুলের ছবি তুলছিলাম তখন এই কাশফুলের ভিতরে একটা মুনিয়া পাখি দেখতে পেলাম। যদিও পাখিটি আমাকে তেমন একটা খেয়াল করেনি কিন্তু আমি চুপচাপ পাখিটি দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং আস্তে আস্তে করে ছবিগুলো তুলতে শুরু করলাম। আসলে কিছুক্ষণ পর যখন পাখিটি আমার উপস্থিতি বুঝতে পারল তখন সে উড়ে পাঠালো।
আসলে এই কাশফুলের মধ্যে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর থাকে। বিশেষ করে সবাই কিন্তু একটু সাবধান থাকবেন কেননা এই কাশ বনে বিষধর সাপ থাকে। আসলে আমি কিন্তু তেমন একটা বেশি ভেতরের দিকে ঢুকতে চাইলাম না। এর পরবর্তীতে আমি দেখতে পেলাম যে একটা গিরগিটি চুপচাপ একটা কাশফুলের ডগায় বসে রয়েছে। আসলে সে বসে বসে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ শিকার করে খাচ্ছে। আসলে আমি এই সবুজের মাঝে এই গিরগিটি প্রথমে বুঝতে পারিনি। আসলে হঠাৎ করে আমি এই গিরগিটি যখন দেখতে পেলাম তখন আস্তে করে তার কিছু ছবি আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করে নিলাম।
আসলে এই শরৎ কালের শুরুতে কাশফুলের বাগানে সবে ফুলগুলো ফুটতে শুরু করে। তখন এই কাশফুলের বাগানটা প্রায় সবুজে ভরা থাকে। যেহেতু কাশফুলের রং সাদা এবং প্রথম অবস্থাতে কাশফুল গুলো কুড়ি অবস্থায় থাকে এবং প্রথম বের হলে এই কাশফুল গুলোর সাদা উজ্জ্বলতা তেমন একটা বেশি বোঝা যায় না। বিশেষ করে এখন কাশফুলের সাথে ছবি তোলা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা এমন কোন মানুষ নেই যারা এই কাশবনে গিয়ে ফটোশুট না করে। আসলে আমি গিয়েছিলাম শুধুমাত্র নিজের শান্তির জন্য।
এছাড়াও যখন কাশফুল গুলো পরিপূর্ণভাবে ফুটতে শুরু করে তখন লোকজনের জন্য কাছাকাছি কাশফুল গুলো আর থাকে না। কেননা তারা ছবি তুলতে এসেছে ভালো কথা। কিন্তু ছবি তোলার সাথে সাথে যে তারা এই কাশফুল গুলো ছিড়ে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে চলে যায় সেটি খুব খারাপ বিষয়। আসলে বাঙালি তার স্বভাবকে কোনোভাবে পরিবর্তন করতে পারে না। তাই প্রথম প্রথম যারা এই কাশবনে গিয়ে ছবি তুলবে তাদের কাছে ভালো ভালো ফটোগ্রাফি থাকবে এটা কিন্তু স্বাভাবিক। তাই আমিও কিন্তু শরতের শুরুতে কাশফুলের বাগানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
এছাড়াও এই শরৎকালের আকাশটা কিন্তু সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। কেননা মাঝে মাঝে তুলোর মত মেঘ চারিদিকে ভেসে বেড়ায় নীল আকাশের মাঝে। আসলে আমরা যদি কোন ফাঁকা জায়গায় গিয়ে চুপচাপ আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে থাকি তখন কিন্তু আকাশের এই মেঘ যখন ভেসে বেড়ায় তখন মনে হয় যেন মেঘের সাথে সাথে আমাদের মনটাও যেন ভেসে বেড়ায়।
আর এই আকাশ দিয়ে যখন মাঝে মাঝে পাখি উড়ে বেড়ায় তখন কিন্তু সেই দৃশ্যটা আমাদের কাছে আরো অনেক বেশি ভালো মনে হয়। বিশেষ করে সাদা বক যখন আকাশ দিয়ে উড়ে বেড়ায় তখন মনটা যেন আনন্দের নেচে ওঠে। এই ব্যাপারগুলো বসে বসে আমরা একটা জায়গায় অনুভব করছিলাম এবং আমি আমার ক্যামেরা দিয়ে ছবিগুলো তুলতে ছিলাম। ঠিক তেমন একটা ছবি আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম। যেটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আকাশ দিয়ে একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও গ্রামের পাশ দিয়ে যখন কোন ছোট নদী বয়ে যায় এবং জোয়ারের জলে সেই নদী জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন আকাশের দিগন্ত পারে সূর্যাস্তের হলুদ আভা জলের ভেতর কেমন যেন আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ঠিক তেমন একটা ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে আকাশে অস্ত যাওয়া সূর্যের আলো জলের উপর প্রতিফলিত হয়েছে। আসলে এইরকম দৃশ্য দেখা কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।
এছাড়াও আমরা যখন বাড়ির দিকে ফিরছিলাম তখন একটু রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করছিলাম। কেননা ট্রেন আসতে প্রায় অনেক সময় লাগবে তাই আমরা কিন্তু এই লাইনের উপর দিয়ে দুই পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করছিলাম এবং সূর্যাস্তের পূর্বের দৃশ্যটা উপভোগ করছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন চারিদিকের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাব।
একটা মাঠের মাঝে যখন ধান ক্ষেতের পাশে একটা জায়গায় কাশফুল ফুটেছে এবং সেই জায়গায় একটি মেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে কাশফুল সংগ্রহ করছিল। সেটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। তাই আমি আর দেরি না করে ক্যামেরাটা বের করে মেয়েটির ছবি তুলে নিলাম। আসলে গ্রামাঞ্চলের এই ছবিগুলো আমাদের মনটাকে কেড়ে নেয়। ছোট বাচ্চা মেয়েটি মনের আনন্দে কাশফুল সংগ্রহ করছিল আর শরৎ কালকে উপভোগ করছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : CANON
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : উত্তর ২৪ পরগনা, ভারত।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাহ ভাইয়া চোখ জুড়ানোর মতো কিছু ফটোগ্রাফা দিয়ে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আর আপনার তোলা ছবি গুলো ডি এস এল আর ক্যামেরা দিয়ে শুট করার জন্য একটু বেশি ভালো লাগলো। বিশেষ করে কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন হয়েছিল।
ভাইয়া আপনার শরৎকালের ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু আমি দারুন মুগ্ধ। বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চোখে পড়ার মত। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
শরৎকালের কাশফুল দেখতে বেশ ভালই লাগে।খুব সুন্দর কাশফুলের কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ভাইয়া।কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। এতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শরৎকালের অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি সবসময়ই মুগ্ধ হয়ে যাই। বিশেষ করে কাশফুলের ফটোগ্রাফি এবং আকাশের সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার চমৎকার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আসলে প্রতিনিয়ত এমন চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে আমি নিজেও ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। এত সুন্দর সব ফটোগ্রাফি নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে আমরা শরৎকালের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপভোগ করলাম। খুবই দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া আপনি। শরতের কাশফুল গুলো সত্যি অসাধারণ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
শরতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল ভাই। বিশেষ করে কাশফুল গুলো দেখতে বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। আর গোধূলির সৌন্দর্য দেখেও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার তোলা ফটোগ্রাফির প্রশংসা আর নতুন করে কি করবো। আপনার ফটোগ্রাফি দেখলে কোনো রকমে চোখ ফেরাতে পারিনা। আপনি সব সময় অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন যেগুলো অনেক মনোমুগ্ধকর হয়। শরতের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, এটা দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে দাদা। অনেক ধন্যবাদ দাদা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা নতুন করে আর কি করবো।আপনি বরাবরই অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেন।আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেছি। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে চোখ ফেরাতে পারছি না। ধন্যবাদ দাদা দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।