বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৬১
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে এই জমি সেচ দেয়ার সময় আমার একটা বড় সমস্যা হচ্ছিল। সবথেকে বড় সমস্যা হল আমি যেখানে গর্ত করছি সেখানে আবার পুনরায় অন্যান্য জায়গা থেকে মাটি এসে আবার সেই গর্তটা পুনরায় ভর্তি করে দিচ্ছে। ভারি টেনশনে পড়ে গেলাম। আর এদিকে আমি যতই ছোট করে একটা বাঁধ দিতে চেষ্টা করছি ততই সেই বাঁধটি ভেঙে যাচ্ছে। যেহেতু ওখানকার উপরের মাটি একটু শক্ত হলেও ভেতরের মাটি পুরো একদম নরম ছিল। অর্থাৎ যাকে বলে কাদা মাটি। যাইহোক তখন সেই ভাইটি আমাকে বলল যে তুমি উপর থেকে কিছু ঘাস পাতা দিয়ে প্রথমে মাটির উপরে রাখো এবং তার উপরে আবার একটু শক্ত মাটি দাও।
যাইহোক আমি তার কথামতো আবার পুনরায় প্রথমে বাঁধের উপরে জলের উপরে ভাসমান লতাপাতা গুলো নিয়ে এসে তার উপরে দিয়ে আবার পুনরায় অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে আমি সেই বাঁধের উপরে দিয়ে দিলাম। আসলে এভাবে করতে করতে তখন দেখলাম যে বাঁধটি অনেক শক্ত হয়ে গেছে তখন আমি সেই একটা প্লেট দিয়ে জোরে জোরে জল সেচ দিতে শুরু করলাম। কিন্তু আর একটা সমস্যা হল যখন আমি জল সেচ দিচ্ছিলাম সেই জলের সাথে ছোট ছোট মাছগুলোও উঠে আসছিল।
এরপর আমি একটা ছোট প্লাস্টিকের ছিদ্র করা একটা ঝাজড়ি দিয়ে একপাশে রেখে দিলাম। যাতে করে এই ঝাজড়ির মাঝে সব মাছগুলো আটকে আর মাছ সেই জলের সাথে না বেরোতে পারে। যাইহোক আমি প্রথমে ঝাজড়ির দুই পাশে পুনরায় মাটি দিয়ে আটকে দিলাম কারণ মাছগুলো একটু দুষ্টু প্রকৃত। তারা যেখানেই ফাঁকা পাচ্ছে সেখান দিয়ে চলে আসছে জলের সাথে। তাই আমি সকল ব্যবস্থাটি খুব সুন্দর ভাবে করে এরপর জল সেচ দিতে শুরু করে দিলাম।
আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে কিভাবে আমি জোরে জোরে জল সেচ দিচ্ছি। আসলে আমাকে কিন্তু বারবার আবার সেই মাটি ঠিক করতে হচ্ছিল। কারণ কোনোভাবেই আমি মাটির ভাঙ্গন রোধ করতে পারছিলাম না। আর এজন্য আমাকে একটু জল সেচ দেওয়ার পর পর আবার সেই বাঁধগুলো পুনরায় ঠিক করতে হচ্ছিল। যেহেতু ভাই আমার ফোনটি নিয়ে ছবি তুলে দিচ্ছিল। তাই সে আমাকে বিন্দুমাত্র সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারছিল না। যাইহোক আমি আস্তে আস্তে যখন জল সেচ দিতে শুরু করলাম তখন বুঝতে পারলাম যে উপর থেকে কম জল দেখা গেলেও এখানে অনেক জল রয়েছে।
আসলে জলের উপরে আগাছা এমনভাবে রয়েছে তাতে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই জায়গাটিতে এত বেশি জল রয়েছে। যাইহোক এভাবে জল সেচ দিতে দিতে আমার প্রায় কোমর লেগে আসছিল। কারণ বারবার আমাকে নিচু হতে হচ্ছিল এবং সোজা হতে হচ্ছিল। আর এদিকে রোদও খুব চড়াও হয়ে উঠেছিল। যাইহোক আমি কিছুক্ষণ জল সেচ দিতে লাগলাম এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে শুরু করলাম। আসলে আরেকটা সমস্যা হল যখন আমি বিশ্রাম নিতে চাচ্ছি তখন যেখানে আমি জল সেচ দিয়ে জল ফেলছি সেখান থেকে জল পুনরায় আবার আগের জায়গাতে চলে আসছে।
আসলে এজন্য আমি বেশিক্ষণ কোথাও রেস্ট নিতে পারছিলাম না। কারন আমাকে খুব দ্রুত সেচ দিতে হবে নতুবা আবার সেই পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। যাইহোক যখন আমি যখন সেচ দিচ্ছিলাম তখন জলের সাথে দুই একটা মাছ উঠে আসছিল এবং আমি দ্রুত গিয়ে সেই মাছগুলো তুলে আমার পাশে রাখা হাড়িতে রাখছিলাম। আসলে এক দিক থেকে যেমন কষ্ট হচ্ছিল তেমনি অন্য দিক থেকে আবার অনেক বেশি মজাও হচ্ছিল। কারণ এখানে কষ্টের থেকে মজার পরিমাণ যেহেতু বেশি তাই অতটা কষ্ট আমার মনে হচ্ছিল না।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।