আমার সাধের মরসুমী ছাদ বাগান তৈরি। (১০% বেনিফিশারী @shy-fox এর জন্য বরাদ্দ।)
নমস্কার সবাইকে।
আমি প্রতি বছরের মতো এবছরও আমার মরসুমী ছাদ বাগান তৈরি করছি। মরসুমী বলছি কারণ আমি বছরের অন্য সময়ে টবে বিশেষ কোনো গাছ রাখি না। গতকাল কিছু গাছ কিনে এনেছিলাম। আজ সকাল থেকে সেগুলো লাগানোর ব্যবস্থা করলাম। টবের মাটি তৈরি ছিল আমি শুধু তাতে কিছু সার ও কিছুটা নতুন মাটি দিন কয়েক আগে যোগ করেছিলাম।
গতকাল নার্সারি থেকে দুটো ইনকা গাঁদা গাছ, একটা ব্ল্যাক গাঁদা, দুটো অ্যাসস্টার, দুটো ক্যালেন্ডুলা, একটা চেরি গাঁদা, একটা পিটুনিয়া ফুল গাছের চারা এনেছিলাম। সেই চারা গুলো গতকাল ছাদের এক পাশে খোলা আকাশের নীচে সাবধানে রেখে দিয়েছিলাম যাতে মরে না যায়। কারণ গাড়িতে গাছের চারা গুলো আনতে গিয়ে সব এক জায়গায় হয়ে গেছিলো।
গাছ লাগানোর জন্য আগে টবের নিচের ছিদ্রের ওপর একটা চারি ভাঙ্গা রেখে তার ওপর প্রথমে কিছুটা অংশ চিপ পাথর ও তারপর কিছুটা অংশ বালি দিয়েছিলাম। তারপর সম পরিমান দোঁয়াশ মাটি ও গোবরের সার মিশিয়ে টবের মাটি তৈরি করেছিলাম। গাছ লাগানোর আগে সেই মাটির সাথে বেশ কিছুটা কোকোপিট, কিছুটা সর্ষের খোল ও নিম খোল মিশিয়ে দিন কয়েক রেখে দিয়েছিলাম।
কোকোপিট
নিম খোল
সর্ষে খোল
মাটি তৈরি চলছে।
আজ সকাল থেকে সেই টব গুলোতে গাছ লাগানো শুরু করি। একে একে ইনকা, অ্যাসস্টার, ক্যালেন্ডুলা সব সব গাছ লাগাতে শুরু করি। এছাড়া বাড়িতে তৈরি দুটো দোপাটি গাছ লাগালাম অন্য দুটো টবে। সেই সাথে সাথে পুরোনো টব ও গাছ গুলি পরিস্কার করে মাটি ও সার যোগ করেছি।
ছাদ বাগান আমি খুব বেশি টব দিয়ে না করলেও বেশ যত্ন সহকারে প্রতি বছর করে থাকি। নিয়মিত সার ও কীটনাশক দিয়ে থাকি। কীটনাশক হিসেবে সাধারণ নিম তেল ব্যবহার করি। তবে এতে কাজ না হলে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য কীটনাশক দিতে হয়। আর সার হিসেবে টাটকা গোবর গুলে পাতলা করে টবে ব্যবহার করি। এর সাথে সর্ষের খোল পচাও দিয়ে থাকি।
আমার মরসুমী ছাদ বাগানের সার্থকতা তখনই হয় যখন টব গুলি নানান ফুলে ভরে ওঠে। তবে প্রতিবছর টব ছাড়াও বাড়ির ফাঁকা জমিতে নানা রকম গাঁদা ফুল গাছ সহ অন্যান্য ফুল গাছ লাগাই। আমার বাড়িতে টব ছাড়াই ২০ রকমেরও অধিক ফুল গাছ আছে। তাই ফুল গাছ আমার বিশেষ ভালোলাগা ও ভালোবাসার একটা বিষয়।


















ছাদ বাগান শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগলো।আপনার বাগানের আপডেট দিবেন আমাদের কে মাঝে মধ্যে। ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেছেন শুভ কামনা আপনার জন্য ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আচ্ছা ভাইয়া আমি মাঝে মাঝে বাগানের আপডেট দেব।
ব্ল্যাক গাঁদা কখনো দেখেছি কিনা মনে পড়ছে না। এই ফুলটি দেখার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। যাইহোক আপনি যেহেতু ছাদ বাগান করছেন তাই কোন একদিন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই ফুলটি দেখার সুযোগ হবে। আসলে ছাদবাগান যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে তখন দেখতে ভালো লাগে। এখন যেহেতু পরিশ্রম করে ছাদবাগান গড়ে তুলছেন একটা সময় দেখবেন সেই পরিশ্রম সার্থক হবে।
আসলে ব্ল্যাক গাঁদা হল রক্ত গাঁদা একটা ভ্যারাইটি যেখানে ফুলের রং হবে কালতে লাল। হলুদ বা লালের আভা একদম থাকে না। তবে অনেক সময় নার্সারি থেকে আনা গাছ সঠিক রং এর ফুল দেয় না। কারণ ওরা চারা বিক্রি করার জন্য অনেক অসত্য কথাও বলে ফেলে।
আহা এই কাজ যে আমার কী ভালো লাগে কি বলব! দেখেই মন প্রসন্ন হয়ে গেলো। যখন বড় হয়, ফুল, ফল হয় মনে হয় নিজের সন্তান বড় হচ্ছে। আমিও বাড়িতে বেশ কিছু করেছিলাম। ছাদে সারা সকাল সময় কেটে যেতো।ভালো উদ্যোগ।
আমি প্রতিবছর ছাদে কিছু গাছ করি। আর বাড়ির বাগানে আরো বেশি গাছ করি। এটা আমার ভালো লাগার জায়গা। সত্যিই মনে হয় গাছ যেন নিজের সন্তান।
খুব সুন্দর একটা পোস্ট পেলাম দাদা। সত্যি বলতে আমি ছাদ বাগান না করলেও আমার বাবা এই ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। ছাদ জুড়ে নানান ধরনের ফুল গাছ ,ফল গাছ । আপনার মত বাবাও বছরের এই সময় টাতে নানান ধরনের ফুল গাছ লাগান। তবে দাদা আপনার গাছ লাগানোর পূর্ব প্রস্তুতি দেখে খুব ভালো লাগলো। আর কীটনাশক হিসেবে নিম তেলের ব্যবহারটাও আমি শিখে নিলাম। এই সব গাছে যখন ফুল ধরবে তখন মনে এত আনন্দ লাগবে যেটা বলে বোঝানো যাবে না একদম। ব্ল্যাক গাদা কখনোই দেখিনি মনে হয়। ফুল ফুটলে অবশ্যই ছবি পোস্ট করবেন দাদা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা। নিম তেলের সাথে কোনো ফাঙ্গিসাইট যোগ করলে আরো ভালো হয়। ফুল ফোঁটার আগে ও পরে অবশ্যই ছবি পোস্ট করব।