সবাই মিলে ফুসকা খাওয়ার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
সবাই মিলে ফুসকা খাওয়ার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি খাওয়া দাওয়ার মূহুর্ত নিয়ে। সবাই মিলে এক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তবে ঘুরতে গেলে অসুস্থ হলে তার চেয়ে কষ্টের আর কিছু থাকে না। যাইহোক গত শনিবারে আমরা বেশ কয়েক জন মিলে গিয়েছিলাম জাতীয় চিড়িয়াখানায়।আসলে চিড়িয়াখানায় সব কিছু দেখতে অনেক ভালো লাগে তবে হাঁটতে হাঁটতে আর ভালো লাগে না। যেহেতু আমাদের সাথে ছোট বাচ্চারা ছিল আসলে বাচ্চারা কোথাও গেলে খাওয়া দাওয়া একেবারে ভুলে যায়। তবে চিড়িয়াখানায় গিয়ে হাঁটতে গিয়ে পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল তারজন্য সম্পূর্ণ না দেখে বের হয়ে চলে এসেছি। তারপর বাইরে বের হয়ে আমরা সবাই মিলে ফুসকা খেয়েছিলাম তাই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বলে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়েই চলে গেলাম ফুসকার দোকানে।আসলে এই সব জায়গা গুলো প্রতিটি দোকানে অনেক ভীর থাকে। আর দাম ও চড়া থাকে।কিন্তু আমাদের কিছু করার থাকে না। ঘুরতে গিয়েছি কিছু খাব না তা কি করে হয়। তারপর আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম আর আমার ভাগ্নে একটা ফুসকার দোকানে গিয়ে সবার জন্য ফুসকা অর্ডার করলো।তবে আমরা ছিলাম সাতজন তাই আমি বলেছিলাম ছয়টি অর্ডার দেবার জন্য। আসলে ছোট বাচ্চা এক প্লেট খেতে পারবে না।আমার মেয়ে ও এক প্লেট খেতে পারে না। তবে না খেলে কি হবে তাদের এক প্লেট লাগবেই হা হা হা।তারপর একটা দোকান থেকে সবাই মিলে বসলাম।
আসলে লোকজন অনেক তাই দিতে একটু লেট হবে। আসলে আমাদের ছয় প্লেট দিতে তো একটু সময় লাগবে। তবে বাচ্চারা অপেক্ষা করতে পারে না তারা ভাবে হয়তো দেবে না। আসলে তারা যত তাড়াতাড়ি খাবার পেতে চাই ততো তাড়াতাড়ি খেতে পারে না। খাবার দেবার আগে অনেক আগ্রহ থাকে কিন্তু দেবার পরে আর আগ্রহ থাকে না। যাইহোক সবাই ধৈর্য্য ধরে ফুসকার অপেক্ষায় থাকলাম।
প্রায় আধাঘন্টা পরে আমাদের ছয় প্লেট ফুসকা দিল।আসলে বাইরে বেঞ্চে বসে খেতে হবে সবাইকে। তাই দোকানদার ভাই সবাইকে হাতে হাতে প্লেট ধরিয়ে দিল। আমরা সবাই যার যার প্লেট নিয়ে বসলাম।আসলে বাচ্চারা ফুচকা দেখে অনেক খুশি হয়েছিল। যে আগে প্লেট পেয়েছে সে খাওয়া শুরু করে দিয়েছে।
আবশেষে আমাদের ছোট দুজন বেশ মজা করে ফুচকা নিয়ে খাচ্ছে। আসলে তারা ফুল প্লেট নিয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেতে পারেনি।তবে বেশ মজা করে সবাই খেয়েছিল। আসলে বাচ্চাদের এগুলোর প্রতি অনেক আর্কষণ। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ঢাকা |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1871179920556363801?t=vwUiwKDFLYHrKrM5iHLP7g&s=19
ছোট বাচ্চাদের যে কোন কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বাচ্চাদের কে নিয়ে কোথায়ও সব সময় বিভিন্ন ধরনের আবদার চেয়ে বসে। আপনারা বেশ কয়েকজন মিলে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। সকলেই মিলে জাতীয় চিড়িয়াখানার মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
জি ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা সময় কেটেছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাই মিলে ফুচকা খাওয়ার দারুন মুহূর্ত উপভোগ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। ফুচকা এমন একটা খাবার সবাই এর প্রতি আকর্ষিত হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চিড়িয়াখানার ওই পজিশনে থাকা দোকানগুলোতে খাবারগুলোর আসলেই চড়া পর্যায়ের দাম হয়ে থাকে। তারপরেও বাধ্য হয়ে আমাদের খেতেই হয় তার কারণ ক্ষুধা লেগে যায়। ছোট বাচ্চারা ওমনোই খেতে পারুক আর না পারুক অন্যদের দেখলেই ঠিক সেরকমটাই তারাও চায়। তবে সবাই মিলে এরকম কোথাও ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি কিন্তু অত্যন্ত আনন্দের হয়ে থাকে। সেই আনন্দঘন মুহূর্তের কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকদিন থেকে ফুচকা খাওয়া হয় না। আপনি ফুচকা খাওয়ার মুহূর্ত গুলো এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সবাই মিলে যে কোন খাবার খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু।
ঠিক বলেছেন আপু সবাই মিলে যেকোনো খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও আজকে আপনি আমাদের মাঝে সবাই মিলে ফুসকা খাওয়ার মূহুর্তগুলো শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে সবাই মিলে একসাথে যে কোন কিছু খেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে যে আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সময় পেলেই একটু ঘোরাঘুরি করা আমাদের জন্য অনেক উপকার। একদিকে যেমন মনে ক্লান্তি দূর হয় অন্যদিকে শারীরিক পরিশ্রমও হয়। সবাই মিলে একসাথে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। এরপর সবাই মিলে একসাথে ফুচকা খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাটানো সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে দেয়ার জন্য।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবাই মিলে ফুসকা খাওয়ার খুব সুন্দর একটা মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। ফুচকা কমবেশি সবারই অনেক পছন্দের। তবে আমি ফুচকা খেতে একদমই পছন্দ করি না। সবাই মিলে একসাথে কোন কিছু খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।