ভালোবাসার গল্প ২য় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
ভালোবাসার গল্প ২য় পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প মানে আমাদের তার পাশে ঘটে যায় সকল ঘটনা। আসলে আগে ভাবতাম সিনেমা থেকে গল্প হয় এখন দেখি গল্প থেকেই সিনেমা হয়। আর ভালোবাসার জন্য পৃথিবী। তবে ভালোবাসা পবিত্র। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য ভালোবাসা অপবিত্র হয়ে যায়। আসলে ভালোবাসা আছে বলে পৃথিবী আজও টিকে আছে। যাইহোক গতপর্বে একটা ভালোবাসার গল্প শেয়ার করেছিলাম আপনাদের ভালো লেগেছিল তাই আজ এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। সত্যি ভালোবাসার জন্য মানুষ সব কিছু করতে পারে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
অন্তরা ও আশিক দুজনেই ভালোবাসার কথা বলেছে।আশিক অন্তরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে। তবে আশিকের মনে সব সময় ভয় কাজ করে। যদি অন্তরাকে সে হারিয়ে ফেলে।আসলে অন্তরাদের বাড়ির কাজের লোকের ছেলে সেটাই আশিকের বড় ভয়। যাইহোক আশিক সব কিছুর মনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আশিক মন দিয়ে পড়াশোনা করছে।এভাবে দেখতে দেখতে আশিকের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। তারা দুজনেই বেশ ভালো পরীক্ষা দিচ্ছি। আশিক যেহেতু অন্তরার ভালো বন্ধু তাই আশিক অন্তরাকে অনেক হেল্প করে। তবে আশিক অনেক মেধাবী ছাত্র।আসলে কিছু কিছু মেধা আল্লাহ তৈরি করে থাকেন।আশিক ও তাদের মধ্যে একজন।
যাইহোক পরীক্ষা শেষে আশিক ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছে কিছু দিনের জন্য তার মামার বাসায়।এদিকে অন্তরা প্রতি দিন আশিকের মায়ের কাছ থেকে আশিকের খবর নেই। আসলে আশিকের নিজের কোন ফোন নেই তাই আশিকের মামার কাছে আশিকের মা ফোন করে।এভাবে একদিন আশিকের মা কাজ করছে।আর সেই সময় আশিক তার মামার নম্বর থেকে ফোন দিয়েছে।তবে আশিকের মা কাজে থাকায় অন্তরা ফোন রিসিভ করলো।তারপর দুজনের মধ্যে অনেক কথা হলো।আর অন্তরা আশিককে চলে আসতে বলল।আশিক একেবারে রেজাল্ট হলে আসবে।ইতিমধ্যে আশিকের রেজাল্ট হলো।আশিক গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে।আর অন্য দিকে অন্তরা মোটামুটি রেজাল্ট করেছে।
তারপর আশিক মামার কাছে ঢাকা ভালো কলেজে ভর্তি হলো।আর অন্তরা গ্রামের ভালো কলেজে।এখন দুজনে যেহেতু অনেক দূর। আর তাদের মধ্যে দেখাশোনা অনেক কম হয়। এভাবেই কেটে গেল দুইটি বছর।তারপর দুজনেই এইচ এসসি পাশ করলো।আশিক
স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশে চলে গেল। এদিকে অন্তরার বাবা অন্তরাকে বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লাগলো। আশিক পড়াশোনার পাশাপাশি যা ইনকাম করে তাতে তাদের সংসার চলে যায়।কিন্তু আশিকের মা তার কাজ ছাড়বে না। যাইহোক ইতিমধ্যে অন্তরার বাবা অন্তরার বিয়ে ঠিক করে ফেলল।আসলে আমাদের গ্রামে মেয়েদের একটু বয়স হলে বিয়ে না দিলে অনেকে অনেক কথা বলে।তারজন্য অন্তরার বাবা বিয়ে ঠিক করলো।যদিও বিয়েতে অন্তরা রাজি নয়।তারপর অন্তরা আশিককে সব খুলে বললো। তারপর আশিকে বিদেশ থেকে আসার জন্য টিকিট কাটলো। আশিক যেই দিন আসলো সেই দিন চললো বিয়ের আয়োজন।[চলবে]
| প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @parul19 |
| ডিভাইস | redmi note 12 |
| লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।





https://x.com/MimiRimi1683671/status/1902358565391913449?t=L9pZzXltq4AxqkGur3zokg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই গল্পের দ্বিতীয় পর্বটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে পড়ে। অন্তরা আর আশিকের মধ্যে দেখছি অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে অন্তরার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। এখন দেখা যায় আশিক দেশে ফিরে অন্তরার বিয়ে আটকাতে পারে কিনা। নাকি অন্তরার আরেক জনের সাথে বিয়ে হয়ে যায়?? পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।