হঠাৎ বাচ্চাদের খেলনা কেনার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম, তাই প্রতি দিন বিকেলে পোস্ট করি।কিন্তু আজ সারাদিন ব্যস্ত থাকার জন্য পোস্ট করতে একটু দেরি হয়ে গেল। আসলে হাজার ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও আপনাদের মাঝে না আসলে ভালো লাগে না।যাইহোক আজ গিয়েছিলাম বাইরে একটি কাজ করার জন্য। তারপর মার্কেটের সামনে দিয়ে যখন আসছিলাম, তখন আমার মেয়ে শুরু করে দিল কান্না। সে খেলনা কিনবে, কি আর করা আবার চলে আসলাম মার্কেটের ভিতরে। আসলে বাচ্চাদের হাজার থাকলেও নতুন জিনিসের প্রতি আকর্ষণ থাকে একটু বেশি।যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি তাহলে আজকের পোস্ট।
যাবার সময় প্রথমে চোখে পড়ল গাড়ির দোকান। আমার মেয়ে গাড়ি দেখে সে গাড়ি কিনবে।আসলে এই গাড়ি গুলো আগে ও কয়েকবার কেনা হয়েছে। তাই বললাম অন্য সকল খেলনা কিনতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা সে গাড়ি কিনবেই। যাইহোক তারপর কিছু গাড়ি দেখতে থাকলাম। আসলে আগের থেকে গাড়ি গুলোর দাম বেড়ে গেছে। শুধু গাড়ি কেনো সব কিছুর দাম আগের থেকে ডাবল।তারপর ছোট মেয়ের জন্য একটা গাড়ি কিনলাম।তবে ছোট মেয়ে সাথে গিয়েছে তাই তার জিনিস কেনা হয়েছে। তবে বাড়িতে বড় মেয়ে রয়েছে তাই তার জন্য আবার কিছু কিনতে হবে।
তারপর চলে আসলাম অন্য খেলার দোকানে। আসলে বাচ্চারা যা দেখে তাই কেনার জন্য অস্হির হয়ে পড়ে। তবে আমার বড় মেয়েকে বুঝালে একটু বোঝে। তবে ছোটটা কিছু বুঝার চেষ্টা করে না। যাইহোক কি খেলনা কিনব তাই ভেবে পাচ্ছি না। ছোট ছোট এই সকল খেলনা প্রায় আছে।তারপর এই বার্গার খেলনা কিনবে। আসলে আগেরটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বার্গার কিনা শেষ করে চলে আসবো তখন আবার বায়না ধরেছ পিকাচু কিনবে।আমি আর কিনো দেব না বললাম। কারণ কিনতে হলে দুটি কিনতে হবে। তা না হলে দুজনেই মারামারি করে অস্হির। আবার অন্য দোকানে যেতে হবে পিকাচু কিনার জন্য।
তারপর পাশের দোকানে অনেক পিকাচু ঝুলিয়ে রেখেছে অনেক গুলো। আমার মেয়ে আবার আমার থেকে পিকাচু অনেক ভালো চেনা কারণ তারা সব সময় ফোনে ভিডিও দেখে। কি আর করা তারপর ১৮০ টাকা দিয়ে একটি পিকাচু কিনে আনলাম। এই পিকাচু আমি আগে কিনেছি বলে মনে হয় না। যাইহোক দেখতে বেশ ভালোই লাগছে।তবে একটা কিনেছি তাই একটু ঝামেলা হতে পারে আরকি।
যেহেতু অন্য কাজে গিয়ে খেলনা কেনা। আসলে আমি চেয়েছিলাম কোন রকম দুটি খেলনা কিনার জন্য। কিন্তু কি আর করা বাচ্চাদের পালায় পড়ে অনেক খেলনায় কিনতে হলো।অবশেষে আসার সময় আমার ছোট মেয়ে আবার কান্না শুরু করলো তাকে পুতুল কেনে দেওয়ার জন্য। আসলে এই পুতুল গুলো কিনার সাথে সাথে বাচ্চারা জামা চেঞ্জ করে অন্য জামা পড়িয়ে দেয়।আর দুই এক দিনের মধ্যে পুতুল শেষ। তারপরেও পুতুল নেওয়ার জন্য অস্হির, কির করা যাবে সব কিছু কিনে দিয়ে অবশেষে পুতুলের জন্য কান্না আর কে দেখবে।তারপর তিনটি পুতুল কিনে দিলে অনেক খুশি হলো। সত্যি কিছু টাকা লাগলেও বাচ্চাদের খুশি দেখলে অনেক ভালো লাগে।আসলে যাদের বাচ্চারা আছে তারা সবাই হয়তো বোঝে।আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
| প্রয়োজনীয় | তথ্য |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @parul19 |
| ডিভাইস | LGK30 |
| লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।















আপু সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরেও আমাদের মাঝে আছেন। তা ভালো লাগলো আপু।বাচ্চাদের বাইনা বলে শেষ করা যাবে না। তারা দোকানে গেলে যা খেলনা দেখে তাই তাদের লাগবে লাগবেই। যাইহোক বাচ্চারা খুশি হলে নিজের কাছেও শান্তি লাগে। আমার বোনের ছেলে মেয়েদের কিছু কিনে দিলে দেখতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের খুশি দেখলে নিজের কাছেও ভালো লাগে ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
বাচ্চাদের যদি খেলা দেয়া হয় তাহলে তারা কি যে আনন্দ পায় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কদিন আগে আমার ভাগ্নেকে একটি খেলনা গাড়ি কিনে দিয়েছি গাড়ি পেয়ে আমার ভাগ্নি বেশ খুশি হয়েছে। আসলে বাচ্চারা একটি খেলনা পেলে আর একটির জন্য কান্না করে এইটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যাহোক আপনি অবশেষে অনেক গুলো খেলা কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে খেলার কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার কথার সাথে সহমত আপু আমিও শত ব্যস্ততার মাঝেও ব্লগ না করলে ভালো লাগে না। তবে বাচ্চাদেরকে নিয়ে খেলানার দোকানের সামনে থেকে যাওয়া অনেক ভয়ংকর। এমনভাবে বাহানা করে যেন না কিনে আর কোন উপায় নেই। বাসায় শত শত থাকলেও কিন্তু নতুন জিনিস দেখলে আকর্ষণ ওদের কাছে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ভালো-মন্দ শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
আসলে আপু বাচ্চাদের বায়না , না শুনলেও ঝামেলা।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বাচ্চারা যে কোন খেলনার দোকান দেখলেই তাদের বায়না শুরু হয়ে যায় খেলনা কিনার জন্য। আমারও হয়তোবা কিছুদিন পরে বাচ্চার জন্য খেলনা কিনতে হবে আবার বায়নাও করতে পারে আমার কাছে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল ধন্যবাদ ভাইয়া।
আর বলবেন না আপু আমার ছেলেও একই কাণ্ড করে। রাস্তা দিয়ে কোনো খেলনার দোকান দেখলে এসে বারবার সেটা দেখিয়ে দেয় এবং যদি না কিনে দেওয়া হয় প্রচুর কান্নাকাটি করে। কি আর করার বাচ্চাদের বায়না তো রাখতেই হয়। বাচ্চাদের খেলনা কোনার অনূভুতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। কারণ আমি নিজেও এটার ভুক্তভোগী। 🤭
ধন্যবাদ আপু