|| রেসিপি : নিরামিষ আলুর চপ ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহেই একটি করে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। কিছুদিন আগেও প্রচন্ড গরমের জন্য ঠান্ডা জিনিস ছাড়া কিছু খেতে ভালো লাগছিল না। এখন আবার গত তিনদিন ধরে এমন বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যে থামারই নাম নেই। যাইহোক এইরকম ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের তেলেভাজা জিনিসগুলো খেতে মন চাইছিল। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেললাম আলুর চপ। রেসিপিটি আমি নিরামিষ ভাবেই তৈরি করেছি । বিকেলবেলা দেখলাম যখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে আবারও, তখন ঠিক করলাম সন্ধ্যার টিফিন হিসেবে আজকে আলুর চপ তৈরি করব। যেই ভাবনা সেই কাজ শুরু। যদিও এই সমস্ত জিনিসগুলো বানাতে একটু ঝামেলাই মনে হয়। তবে বানানোর পর অবশ্য খেতে ভালো লাগে। তাই একটু কষ্ট করে বানিয়েই ফেলি। যাইহোক, অন্য সময় পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে আলুর চপ খেয়েছি। তাই প্রথমবার নিরামিষ আলুর চপ তৈরি করে দেখলাম কেমন লাগে খেতে, চপ গুলো তৈরীর পর খেতে কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
এটি হলো আমার আজকের তৈরি রেসিপি, নিরামিষ আলুর চপ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ৪ টি |
বেসন | ১০০ গ্রাম |
চালের গুঁড়ো | ৫০ গ্রাম |
কাঁচা লঙ্কা | ৪ টি |
গোটা জিরে | ১ চামচ |
লবণ | ২ চামচ |
হলুদ | ১ চামচ |
গোল মরিচ গুঁড়ো | ১ চামচ |
বেকিং সোডা | ১/৪ চামচ |
জিরে গুঁড়ো | ২ চামচ |
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো | ১ চামচ |
সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - আলু, কাঁচা লঙ্কা, বেসন, চালের গুঁড়ো, গোটা জিরে, লবণ, হলুদ, গোলমরিচের গুঁড়ো, বেকিং সোডা, জিরে গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো আর সাদা তেল।
আলু আর কাঁচালঙ্কা গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে, ধুয়ে নিয়েছি।
একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে আলু গুলোকে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিয়েছি। সেদ্ধ হয়ে গেলে সেটিকে একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
একটি কড়াইতে সামান্য পরিমাণ সাদা তেল দিয়ে, তেল গরম হয়ে গেলে তাতে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে দিয়েছি।তারপর তাতে দিয়ে দিয়েছি সেদ্ধ করে মেখে রাখা আলু। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো লবণ।
এরপর তাতে দিয়ে দিয়েছি একে একে সমস্ত মসলা - জিরে গুঁড়ো,হলুদ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো আর গোল মরিচের গুঁড়ো। এরপর সমস্ত উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।
আলুর পুর রেডি হয়ে এলে তাতে দিয়ে দিয়েছি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কার কুচি। তারপর সেটাকে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিয়েছি। তারপর পুর থেকে একটি করে চপ তৈরির জন্য গোল গোল করে লেচি কেটে নিয়েছি।
ব্যাটার তৈরীর জন্য একটি বাটিতে নিয়ে নিয়েছি বেসন, চালের গুঁড়ো, লবণ, হলুদ আর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো।
সমস্ত উপকরণ গুলি অল্প অল্প করে জল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করে নিয়েছি ব্যাটার। তারপর তাতে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা দিয়ে আবারো ভালোভাবে সেটাকে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর একটি করে লেচি নিয়ে সেটিকে চপের আকার দিয়ে, বেসনের ব্যাটারে ডুবিয়ে কড়াইতে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি।
একটি কড়াইতে তেল দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে ব্যাটার মাখিয়ে রাখা,চপের আকারে তৈরি করা আলুর পুর গুলো দিয়ে একটি একটি করে ভেজে নিলাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের নিরামিষ চপ রেসিপি।
এরপর সেটিকে একটি প্লেটে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করে নিয়েছি।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1788574482707484785?t=IkGU49TFA2O2TE_Kcg7HMw&s=19
ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টির দিনে এ ধরনের ভাজাভুজি খেতে বেশ মজা লাগে। আমি এই রেসিপিটি রোজার সময় বেশি বানাই। খেতে কিন্তু বেশ লাগে। আপনার আলুর চপগুলো দেখেও মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাই হয়েছিল। যে কোন সস দিয়ে খতে বেশ মজা লাগবে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, চপ গুলো খেতে বেশ ভালই হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আগের তুলনায় গরম অনেকটাই কমেছে। আর গরম কমার সাথে সাথেই আমরা মজার মজার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছি। নিরামিষ আলুর চপ রেসিপি দারুন হয়েছে দিদি। দেখেইতো খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক লোভনীয় লাগছে দিদি।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টির দিনে তেলে ভাজা খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি বৃষ্টির দিনে চমৎকার সুন্দর মুখরোচক একটি রেসিপি বানিয়েছেন এবং আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। আলুর চপ গুলো দেখেই মনে হচ্ছে মচমচে হয়েছে খেতে।ধানে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আলুর চপগুলো খেতে আসলেই মুচমুচে হয়েছিল দিদি। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে তৈরি করা খাবারটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দুর্দান্ত হয়েছিল। এই ধরনের খাবারগুলো আমি অনেক পছন্দ করি। নিজে তৈরি করতে পারি না। তবে কেউ তৈরি করলে খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার কাছে এই রেসিপি শিখে নিলাম আপু।
আপনিও চেষ্টা করলে হয়তো রেসিপিগুলো বানাতে পারবেন ভাই। আমার তৈরি রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। নিরামিষ আলুর চপ তৈরি করেছেন দারুন ভাবে। খেতেও ভীষণ ভালো লাগবে আশা করি। আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন।এটা দেখে আমি শিখতে পারলাম। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনিও আমার তৈরি রেসিপিটি দেখে শিখতে পারলেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা রইল।
এ জাতীয় আলু রেসিপিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে আপনি আলুর চপ তৈরি করে দেখিয়েছেন আপু। আমি খুবই পছন্দ করি এমন আলুর অথবা বেগুনি জাতীয় রেসিপি। যাইহোক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তৈরি করে দেখেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো, আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
আমিও আসলে এই ধরনের আলুর চপ এবং বেগুনি জাতীয় রেসিপিগুলো অনেক পছন্দ করি ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন দিদি এরকম ঠান্ডা আবহাওয়ায় বিশেষ করে তেলেভাজা রেসিপিগুলো আর মুড়ি মাখানো বেশি মজা লাগে। মজাদার আলুর চপ কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা তুলে ধরেছেন এবং সবশেষে লোভনীয় ভাবে পরিবেশন করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
ঠিক বলেছেন ভাই, মুড়ি মাখানোর সাথে এই ধরনের তেলে ভাজা গুলো খেতে দারুন লাগে। রেসিপিটি আপনার কাছে লোভনীয় মনে হয়েছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।