দুই বান্ধবী মিলে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৮শে ডিসেম্বর, শনিবার,২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভিটি পোস্ট এর পাশাপাশি নিজের হাসি খুশির মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে বেশ ভালো লাগে।। তাইতো কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা খাওয়া দাওয়া করতে গেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। প্রত্যেকবারের মতো আজকেও শেয়ার করব ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়ার একটি পোষ্ট। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে আমার পোষ্ট দেখে আসা যাক।
স্কুল লাইফে বা কলেজ লাইফে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টা খুবই মজার মুহূর্ত। সত্যি বলতে এরকম মুহূর্ত আমার লাইফে খুব কমই এসেছে। আমি খুব চাইতাম ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যেতে কিন্তু আমার সেরকমটা হয়ে উঠত না। এখনো কলেজ লাইফে প্রায় চার বছর হয়ে গেল তারপরেও সেরকমভাবে সকলে মিলে কখনো ঘোরাঘুরি করা হয়ে ওঠেনি।
আমি বিরিয়ানি খেতে অনেক পছন্দ করি। আমার এক বান্ধবী আছে সেও বিরিয়ানি খেতে অনেক পছন্দ করে। তাই আমার বান্ধবীকে বললাম চল একদিন বিরিয়ানি খেতে চাই। হঠাৎ করে কোচিং শেষ করে আমরা এই ডিসিশন নিয়েছিলাম। তারপর কলেজ শেষ করে আমরা দুজন মিলে গিয়েছিলাম বিরিয়ানি খেতে। চিনিগুড়া চাউলের বিরিয়ানি খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। তবে বাসমতি চাউলের বিরিয়ানি খুব কম খাওয়া হয়েছে। যেহেতু আমি মাটন বিরিয়ানি খাই না সেজন্য আমার জন্য চিকেন খুজে থাকে।
আমাদের এদিকে খুব একটা বাসমতি চালের চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায় না। সেদিন দেখে বেশ ভালো লাগলো। তাই দুই বান্ধবী মিলে খাব বলে ডিসিশন নিলাম। এটা আমার দোকানে এই প্রথমবার বাসমতি চালের চিকেন বিরিয়ানি খাওয়া। এর আগে অনেকবার খেয়েছি তবে প্রত্যেকবার চিনিগুড়া চাউলের খেয়েছি। আমি আর বান্ধবী মিলে পায়ে হেঁটে চলে গিয়েছিলাম একটি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টে বেশ জাকজমকপূর্ণই লাগল। আমাদের কলেজ থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা। রেস্টুরেন্টে নাম ছিল হাজী কাছে ডাইন।
সেখানে এর আগেও আমি গিয়েছি। সেখানকার পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যেটা আমাকে বারবার মুগ্ধ করে। আসলে খাবার খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জায়গা না হলে তৃপ্তি করে খাওয়া যায় না। আমি আর বান্ধবী সেখানে গিয়ে দুজনের জন্য দুই প্লেট বাসমতি চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। সাথে কোক নিয়েছিলাম। বিরিয়ানির সাথে কোক না হলে ব্যাপারটা ঠিক জমে না।
তারা অর্ডার নিয়ে খাবার আনতে খুব বেশি একটা সময় নিয়েছিল না। এ ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগলো। যদিও প্রথমেই গিয়ে একটু দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। কারণ সেখানে অনেক কাস্টমার ছিল। ভালো খাবার হলে কাস্টমার তো আসবেই। দুই বান্ধবী মিলে বেশ মজা করি বিরিয়ানি খেলাম। প্রথমে দেখে মনে হচ্ছিল অল্প কিন্তু পরে খেয়ে আমরা শেষ করতে পারছিলাম না।
বেশ অনেকদিন পর বাসমতি চালের বিরিয়ানি খেলাম। বিরিয়ানি টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এবং দুই বান্ধবী মিলে খেতে যাওয়ার মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম। হয়তো কোন একদিন মনে পড়বে। তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম। বেরিয়ে আসার আগে সেখান থেকে আমাদেরকে চকলেট দেওয়া হলো।এ ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।
তারপর দুজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম আমার মেসের সামনে। সেখান থেকে বান্ধবীকে অনেক জোর করলাম আমার মেসে আসার জন্য কিন্তু তার তারা থাকায় চলে গেল। তারপর আমি আমার রুমে এবং বান্ধবী বান্ধবীর গন্তব্যে চলে গেল। দুজন মিলে বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তটা বেশ ভালই লেগেছে।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14







