প্রকৃতির কাছাকাছি শান্তির ঠিকানা।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০২ ডিসেম্বর, সোমবার,২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আজ লিখেছি আমার গ্রামের সুন্দর পরিবেশ নিয়ে।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

গ্রাম সৃষ্টিকর্তা সুন্দর সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম। গ্রাম পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কম। গ্রামীন পরিবেশ বারবার আমাদেরকে মুগ্ধ করে। শহরের চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে থাকতে যখন আমরা খুবই অস্বস্তি বোধ করি। তখন কেবলমাত্র গ্রাম হতে পারে আমাদের প্রশান্তির কারণ। যেখানে গেলে পাওয়া যায় নিজের শান্তির ঠিকানা।

কিছুদিন আগে আমিও চলে গিয়েছিলাম আমার গ্রামে। গ্রাম আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রামের মাঠঘাট পথ এবং সবুজ প্রকৃতি আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়। সবুজ প্রকৃতি আমাকে ভীষণভাবে কাছে টানে। তাইতো বারবার ছুঁতে যাই। এই বাংলার মাটির গন্ধ আমার ভীষণ পছন্দের।

প্রত্যেকবার বাড়িতে গেলে আমি চেষ্টা করি সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে একটু হারিয়ে ফেলার। এবারও তেমনটাই হয়েছিলো।দুপুরে ট্রেনে বাড়ি গিয়েছিলাম। বিকেল হতে না হতেই বোনকে নিয়ে একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম আমাদের বাড়ির পেছনের মাঠে। এই মাঠ আমার ভীষণ পছন্দ। তাই সব সময় চেষ্টা করি সেখানে কিছু সুন্দর সময় কাটানোর। মাঠে যেতে দেখতে পেলাম পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির উচ্ছ্বাস।

সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছিল যখন সূর্যের আলো আধা পাকা ধানের শীর্ষে এসে পড়ছিল। সেটা যেন চমৎকার এক প্রকৃতির মেলা বন্ধুত্ব তৈরি করছিলো।এই দৃশ্য দেখে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমার ফোন ক্যামেরায় বন্দি করে নিয়েছিলাম। সোনার ধান যেন আরো চমৎকার লাগছিলো।সুন্দর প্রকৃতির কাছে সব সময় মনে হয় হারিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম। কয়েকটা ভিডিওগ্রাফি দারুণ করেছিলাম।

তারপর আস্তে আস্তে সূর্য যখন পাটে চলে যাচ্ছিল তখন যেন প্রকৃতির অন্যরকম রূপ আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছিল। চারিদিকটা কেমন রক্তবর্ণ ধারণ করেছিল। ধানের শীষেও যেন শিশির নেমে আসলো।চারিদিকের এই শান্ত প্রকৃতি তখন ও তার মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছিল। কিছুতেই আসতে ইচ্ছে করছিল না। তারপরেও যেহেতু সন্ধ্যে হয়ে আসছিল। সেজন্য তাড়াতাড়ি রুমে ফিরে এসেছিলাম। তবে প্রকৃতির সাথে চমৎকার একটু সময় উপভোগ করেছিলাম।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14








তুমি আসলেই অনেক চমৎকার ফটোগ্রাফি করো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।