হঠাৎ বিপদ (আকস্মিক মৃত্যু)
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৪ বৈশাখ ১৪৩১বঙ্গাব্দ ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
এই দিকে সে প্রচন্ড ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে। এই সমস্যা হলে নাকি অনেক ব্যথা, একেবারে ভারি জিনিস পরে থ্যাথলালে যেমন ব্যথা ঠিক তেমন।যাই হোক ঘরের সবাই অস্থির। আসলে চোখের সামনে একটা মানুষ এমন কষ্ট পাচ্ছে দেখতেই খারাপ লাগছে।তার উপর ঈদের দিন।একেবারে ঈদ মাটি হয়ে গিয়েছে ।
কিছু করতে না পারে সবাই মিলে তাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো সেখানে কিছু পরিক্ষা করার পর তারা ফেরত দিলো তাকে নেওয়া হলো আজকর আলী হাসপাতালে সেখানে ও অপরেশন করাবে না কেউই রিস্ক নিতে চাচ্ছে না,আসলে তার হার্টে সমস্যা আরো নানান সমস্যার কারনে কোন ডাক্তার রাজী হচ্ছে না এই দিকে সময় চলে যাওয়াতে সমস্যা আরো বেরে যাচ্ছে। সেখানে একরাত রেখে নেওয়া হলো ধানমন্ডি পেনোরোমা হাসপাতালে কিছু পরীক্ষা করা করার জন্য তারপর নেওয়া হলো তেজগাঁও মেট্রো হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার অনেক রিকুয়েষ্ট করার পর রাজি হলো আসলে তার ব্যাথায় কি করবে না করবে বুঝে উঠতে পারছে না।
ডাক্তার রা বললো হাঁটুর উপর অব্দি কেটে ফেলা লাগবে।ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস একসময় দাপটের সাথে চলা লোকটি কতটুকু অসহায়।যাই হোক কোন কিছু করার নেই তারা রাজি হলো।এই দিকে আমার বাবা আর মা দেখতে যাচ্ছে হাসপাতালে, হাসপাতালে যাচ্ছিলো রিক্সায় করে যাচ্ছিলো কাছাকাছি যেয়ে এক বাইকার রিক্সা ওয়ালাকে দিলো ধাক্কা সাথে সাথে বাবা মা পরে গেলো বাবার হাতের তালু প্রায় অনেকখানি কেটে মাংস বের হয়ে গেলো মা সামান্য ব্যথা পয়েছে।তার এই অবস্থায় সেলাই লাগবে, সেলাই দিতে এবং ব্যন্ডেজ করতে করতে চলে গেলো সময় এই দিকে খালুকে ওটিতে নিয়ে গেলো তারা আর দেখতে পেলো না।
তার ছেলে মেয়ে তো কাঁদছে এক দিকে মা নেই এই দিকে বাবারও এই অবস্থা। যাই হোক ডাক্তারদের অপরেশন করতে অনেক সময় লাগবে।অপরেশন করা হলো। সবকিছুই ঠিক ছিলো কিন্তু ডাক্তার বললো জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে।অপরেশন পরে তাকে আইসিউ তে রাখা হলো।
আইসিইউতে নেওয়ার পরও সব ঠিকঠাক ছিলো। কিন্তু আস্তে আস্তে কেন জানি খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রথমে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলো।অপারেশনের দিব রাতে আমরা শুনেছিলাম মারাই গিয়েছিলো কিন্তু না সে মারা যায় নি তবে শরীরের কন্ডিশন ভালো ছিলো না।শ্বাস নিচ্ছিলো কিন্তু বাকি কোন রেসপন্স করছিলো না।আমাদের তো কারো ঘুম নেই এই বুঝি কি হলো।
এই দিকে আমার বাবুটারও ভীষণ জ্বর যার কারনে সবাই দেখতে গিয়েছে কিন্তু আমিই শুধু দেখতে যেতে পারিনি।তারপর অপরেশনের পরের দিন অর্থাৎ পরশো সে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো।ভেবেছিলাম হয়তো অপরেশনের পর আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।সামান্য কয়েকঘন্টার ব্যবধানে এত বড় সমস্যা হয়ে যাবে তা কখনই আমরা বুঝতে পারিনি।তবে তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।সৃষ্টিকর্তা তার পরকালের জীবন সহজ করে দেখ।আজ আর লিখতে পারছি না,আসলে আমার চোখের সামনে ভাসছে মনে হচ্ছে এই তো সেই দিন তার সাথে কথা বলেছিলাম।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে আপু আমাদের ভাগ্যে কখন কি ঘটে বুঝা মুশকিল। সত্যি আপু এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া অনেক কষ্টের। তবে এখানে আমাদের কিছু করার নেই পৃথিবীতে আমার হায়াত নিধারিত। দোয়াকরি আল্লাহ তার পরিবারের সবাই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দান করুন,আমিন।
আসলেই আপু এমন মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।ভাবা যায় না।ধন্যবাদ
আপনার এই ঘটনা জানতে পেড়ে অনেক কষ্ট পেলাম আপু। আমাদের হায়াতের মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তার হাতে। হঠাৎ বিপদ ও আকস্মিক মৃত্যু অনিবার্য বিষয়। এই গুলো বলে আসে না। দোয়া করি পরিবারকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার হুকুম।ধন্যবাদ আপনাকে
একেবারে বিপদের উপর বিপদ। আপনার রিলেটিভের এভাবে চলে যাওয়া সত্যিই অনেক দুঃখজনক ছিল। আর আপনার বাবা-মা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন জেনে সত্যি খারাপ লাগলো। যাইহোক আপু কি আর করার বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
হুম আসলেই বিপদের উপর বিপদ আমার মেয়ে টা ও অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো।আপু দোয়া করবেন।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা, মানুষের জীবনের সত্যি কোন গ্যারান্টি নেই, কখন কে, কিভাবে মারা যাবে তা কেউ বলতে পারে না। লেখায় কিছু বানান ভুল আছে সেগুলো ঠিক করে নেয়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ
আসলে ভাইয়া আমার মাথাটা ঠিক নেই, আমাদের পরিবারের একজন অভিভাবক হারিয়েছি।কখনও কল্পনা করিনি এভাবে উনি চলে যাবে।আমি ঠিক করে নিব।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে মানুষ কখন কিভাবে মারা যায় তা কখনোই কেউ বলতে পারেনা৷ যেকেউ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে৷ সৃষ্টিকর্তা চাইলে যে কাউকে যে কোন ভাবে মৃত্যু দান করতে পারেন৷ আপনার এই ঘটনাটি শুনে একেবারে খারাপ লাগছে৷ আসলে এরকম ঘটনা কখনো মেনে নেওয়ার নয়৷
মৃত্যু নিশ্চিত কিন্তু সেটাই আমরা মানতে পারি না কিংবা ভাবি না।ধন্যবাদ আপনাকে