স্কুল জীবনের দুইটি মজার ঘটনা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



geometry-1023846_1920.jpg

Image by Gerd Altmann from Pixabay

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? মনে হয় তো সবাই অনেক চিল করতেছেন। আমি তো চিল করার সময় তেমন একটা পাচ্ছিনা। চাকরীর জন্য আরকি। এক্টিভিটি বৃদ্ধি করতে পারছিনা। আসলে চেস্টা করছি। তবে চাকরী আর পড়াশুনা মিলিয়ে কুলাতে পারছিনা। তবুও ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ এই থাকতে চাই আপনাদের সাথে। আজকের পোস্টটা হয়তো ছোট হবে। তবে শেয়ার করবো আমার স্কুল জীবনের দুইটি মজার ঘটনা। সে দিন গুলো মনে পরলে সত্যি খুবই হাসি পায় এখন।



school-298680_1920.jpg

Image by AkshayaPatra Foundation from Pixabay

আমি জানি স্কুল লাইফটা আমার মতন সবাই মিস করেন অনেক। কত স্মৃতি মিশে আছে আমাদের স্কুল লাইফের সাথে। স্কুল লাইফের প্রতিটা দিন যেনো আমি এখন মিস করি। সত্যি খুব খারাপ লাগে। এক সময় সেই স্কুল লাইফটাকেই কতো ঝামেলার মনে করতাম। ভাবতাম কবে স্কুল লাইফ শেষ হবে। কিন্তু এখন দেখেন সেই স্কুল লাইফকেই ঘুরে ফিরে মিস করি। আমার জীবনে স্কুল ছিলো ৩ টি। তবে ৩য় শ্রেণি থেকে এস এস সি পর্যন্ত এক স্কুলেই ছিলাম। তাই এই স্কুলের উপরই মায়া বেশি। হয়তো আপনাদের সাথে একবার আমার স্কুল লাইফ নিয়ে শেয়ার করেছিলাম। একটা প্রতিযোগিতা ছিলো। তাই আর সে বিষয়ে বেশি কিছু বলছিনা। তবে সত্যি খুব খুব মিস করি আমি স্কুল জীবনের দিন গুলো কে। আমি বাসায় যাওয়ার সময় বা অফিস আসার সময় প্রতিদিনই স্কুলের দিকে তাকাই। মনে পরে যায় স্কুল লাইফ এর দুষ্টু মিষ্টি স্মৃতি গুলো। আজ সেখান থেকেই দুইটি মজার স্মৃতি শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে। আপনাদের কাছে ভালো লাগবে কিনা জানিনা। তবে আমার জীবনের সেরা দুইটি মুহুর্ত। যা এখন মনে পরলেই হাসি পায় অনেক।

children-1822701_1920.jpg

Image by AkshayaPatra Foundation from Pixabay

সেদিন ছিলো আমাদের টিফিনটাইম। প্রথম ৪ টা ক্লাসের পর ৩০ মিনিট এর টিফিন টাইম দিতো আমাদের। তো আমি ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো লিমন, দুজন একটু আগেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘোরা ঘুরি করি স্কুল এর মধ্যেই। তো ওর সাথে আমার মারামারি হইতো কিছু দিন পরপরই। মানে সিরিয়াস টাইপ এর মারা মারিই হইতো আবার ১ মিনিট পর সব ঠিক। তো সেদিন টিফিন টাইম এ আবার আমাদের মারামারি লাগে। একদম সিরিয়াস টাইপের মারামারি। কেউ ভয়ে আমাদের ঠেকায় ও না। কারণ আমি লিমন দুইজনই সেই হাত চালাই। মারপিট করতে করতে লিমন রে বেঞ্চ এর মাঝে ঢুকিয়ে ফেলেছিলাম। ও আমাকে টেনে ধরে রেখেছিলো। ও নিচে আর আমি ওর উপর । আমি ছেড়ে দিছি কিন্তু ও ছাড়েনা। তাই আবার আমিও ধরলাম। এইদিকে টিফিট টাইম শেষ। তো ম্যাম এসে গেলো। আমি তো ওরে ছেড়ে দিয়ে বলতেছি যে দোস্ত ছাড় ম্যাম আসছে। কিন্তু ও এতই রেগেছিলো যে ছাড়েনি। পরে ম্যাম এসে অন্য দের দিয়ে টেনে আমারে উঠাইছে। আহা তারপর আর কি। দুজন রে সেই লেভেল এর মাইর দিলো। এটা ৪র্থ শ্রেণির ঘটনা। মনে পরলে হাসি পায় খুব এখনো।

back-to-school-2629361_1920(1).jpg

Image by Stefan Schweihofer from Pixabay

এটা ৫ম শ্রেণিতে থাকা কালীন ঘটনা। তখন আমাদের স্কুল এর টিফিন টাইমে স্কুল থেকে বেড় হতে দিতো। তো সবাই ঐ সময় বাসায় যেয়ে টিফিন খেয়ে আসতো যাদের বাসা কাছে আরকি। অনেকে টিফিনটাইম এর আগের বই গুলো নিয়ে বাসায় দিয়ে আসতো। আর আসার সময় পরের ক্লাস গুলোর বই নিয়ে আসতো। অনেকে এভাবে ফাকি দিতো। বই ৪ টা নিয়ে আসতো হাতে করে। আর নিয়ে চলে যেতো টিফিন এর পরের ক্লাস গুলো আর করতোনা। তো আমিও এমন করা শুরু করি। অনেক দিনই করেছি। হঠাৎ স্কুল থেকে নোটিস আসলো এখন থেকে আর টিফিন টাইমে স্কুল থেকে বেড় হওয়া যাবেনা। স্কুলেই টিফিন খেতে হবে। তো একদিন টিফিন এর পরের ক্লাস এ এক ম্যাম আসলো। কোনো এক কারণে আমাকে দাঁড়াতে বললো। আমিও দাঁড়ালাম। পড়া ধরলো কিন্তু সেটাও পারলাম না। তারপর ম্যাম বললো তুমি কি এই ক্লাসে নতুন বাবা? আমি বললাম না। পরে বললো তাইলে টিফিন এর পরের ক্লাস করতেনা। ও মা। ম্যাম এটা বলতে দেড়ি। আর ক্লাসের সবাই আমার নামে হাজারটা বিচার শুরু। কতো যে বিচার দিলো। আমি তো পুরাই বেক্কল হয়ে গেলাম। একি। ওদের কি ক্ষতি করেছি আমি। পরে ম্যাম আমারে দুইটা স্কেল এর বাড়ি দিয়ে ছেড়ে দেয়। যদিও সেদিন ক্লাস এর সবার উপর খুবই রাগ হয়েছিলো। তবে পরে ঠিকি মজা পেয়েছিলাম। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা। একদম ক্লাসের সবাই মিলে আমার নামে বিচার দিয়েছিলো। ভাগ্য ভালো ম্যাম স্কেল এর বাড়ি দিয়েই ছেড়েদিয়েছিলো। আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম যে প্রধান শিক্ষক এর কাছে না পাঠায়। আর আমার বাসায় জানলে খবর আছে। হাহা এই তো ছিলো আমার স্কুল লাইফ এর দুইটি মজার ঘটনা।


তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

তাহলে যত অপকর্ম সব টিফিনেই করতেন তাই তো। হা হা হা... স্কুল লাইফ এরকম বন্ধু বান্ধবের সাথে কত মারামারি করেছি। এক পর্যায়ে তো জামা ছিড়ে যেত মারামারি করতে করতে। তবে সেটা ঠিকও হয়ে যেত। আমার সব থেকে মজার ঘটনা ছিল যে টিফিন টাইমে স্কুল থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসতাম। যেটার জন্য আমাকে প্রচুর শাস্তি পেতে হয়েছে।

 2 years ago 

হেহে। সত্যিই বলেছেন। টিফিন টাইমেই সব দুস্টামি গুলা করতাম।

 2 years ago 

ভাই আপনি আপনার স্কুল জীবনের মজার দুটি ঘটনা আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যত সব অপকর্ম আপনার টিফিনেই করতেন ভাই জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমিও যখন স্কুলে ছিলাম প্রত্যেকদিন টিফিন টাইমে খেলার জন্য স্যারদের কাছে গিয়ে আব্দার জানাতাম। আমি মনে করি ভাই একটা প্রত্যেক স্টুডেন্টই করে টিফিন টাইমে স্কুল পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বন্ধু বান্ধব এর সাথে ভাই সবাই মারামারি করে একটু।

 2 years ago 

আমার স্কুল লাইফের আরো অনেক ঘটনা আছে ভাই। সেগুলো ধীরে ধীরে শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।