অবশেষে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ হলো।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ আমার মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ হলো। অনেক বড় ঝামেলা হতে বেঁচে গেলাম আপাদত। অবশ্য বেশি খুশি হয়ে লাভ নাই। কারণ আবার ডিসেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষা। এক পরীক্ষা শেষ তো আরেক পরীক্ষা শুরু। যাক আপাদত কয়দিন ফ্রি থাকা যাবে এটাই অনেক। তবে সামনে থেকে পড়তে হবে। নাইলে গতি নাই। সিজি একদম বাজে অবস্থায় চলে গিয়েছে। সিজি বাড়াতে হলে পড়তে হবে অনেক।
তো আজ আমার দুইটা পরীক্ষা ছিলো। একটা ছিলো ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস আর অন্য একটা ছিলো মেকানিক্স অফ মেশিনারিজ। প্রথম পরীক্ষা ছিলো মেকানিক্স অফ মেশিনারিজ। আর এই পরীক্ষাই হচ্ছে সব থেকে কঠিন। কঠিন মানে বহুত কঠিন। অংক গুলো একদমই মাথায় ঢুকেনা। অনেক চেষ্টা করেছি। আসলে ক্লাস করা হয়না খুব একটা ভালো ভাবে। এতো স্ট্রেস নিয়ে ক্লাসে মন ও বসেনা। আর ডিউটি করে এসে মন ও চায়না একটু পড়ি। আসলে আমার জন্য সব কিছু মেইন্টেইন করতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যাক আর ১ টা বছর। এরপর পড়াশুনা শেষ। এমএসসি করবো কিনা জানিনা। আর চাপ নেওয়ার ইচ্ছাও নাই। যাই হোক। গতকাল রাত থেকে প্রস্তুতি শুরু করছি আরকি। জানি তেমন পাড়বোনা কিছুই। রাতে কিছু থিউরি পড়ে নিলাম। তখনো আমি জানিনা কোন সাবজেক্ট পরীক্ষা প্রথমে। তাই আরামছে থিউরি পড়ে গেলাম। সকালে উঠে ভাবলাম একটু দেখে নেই কোন পরীক্ষা আগে। দেখে তো আমার চক্ষুচড়কগাছ। দেখি যেই বিষয় এখনো ধরলামই না সেটাই। এরপর তাও আমি একটা ম্যাথ শুনেছিনলাম পরীক্ষায় আসবেই। কিন্তু আমি অন্য এক ম্যাথ করে বসি। বুঝতেছিলাম না দেখে ইউটিউব এর হেল্প নিলাম। এরপর ম্যাথ কমপ্লিট করলাম।
যখন দেখলাম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাথ অন্যটা। তখন আমার দুনিয়া অন্ধকার। চেষ্টা করলাম সেই ম্যাথ করার। কিন্তু কোনো ভাবেই সেটা বুঝতেছিলাম না। যাক বাদ দিলাম। যেহেতু ৯ টা ৩০ বেজে গেলো তাই গোসল করতে চলে গেলাম। পরীক্ষা ১১ টা থেকে । আর আমি বের হবো ১০ টা বাজে। যাক গোসল করে প্রস্তুতি নিয়ে চলে গেলাম বাইক নিয়ে। শুক্রবার যেহেতু রাস্তা একদম ফাঁকাই ছিলো বলতে গেলে। কারণ সেদিন জ্যাম থাকেনা। বাসা থেকে বের হয়ে মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠার পর ভাবতেছিলাম যে আজ বেশি টাকা খরচ করা যাবেনা। তখনই মনে পরলো আমি তো মনে হয় ওয়ালেট নেইনি। পকেটে হাত দিয়ে দেখি আসলেই তাই। আমি তো ওয়ালেট নিতেই ভুলে গিয়েছি। এইদিকে বাইকের কাগজ ও আমার ওয়ালেট এ। আর ফ্লাই ওভার থেকে নামলেই তো ওখানে পুলিশ চেক পোস্ট । তাই মাঝে দিয়ে বাইক চালাচ্ছিলাম। ভাগ্য ভালো সেখানে আজ পুলিশ ছিলোনা। থাকলে মামলা নিশ্চিত। যাক এরপর ভার্সিটি পৌঁছে গেলাম। ভার্সিটি পৌঁছে দেখি বাইক রাখার জায়গা সব ভরাট। এরপর এক মামা বললো বাড়ির ভেতরে রাখতে। তাকে শুধু ৩০ টাকা দিতে হবে। আমিও তাই করলাম।
বাইক রেখে পরীক্ষার হলে চলে গেলাম। প্রথম পরীক্ষায় যা হওয়ার তাই হলো। যে ম্যাথ গুলো আসলো আমি কিছুই পারিনা। একদম বাজে অবস্থা। তারপরো দেওয়ার চেষ্টা করলাম। তবে আমি যেটা ভেবে দিলাম সেটা ছিলোই না। যদিও এটা পরীক্ষার পর বুজতে পেরেছিলাম। যাক এরপর আমরা পরীক্ষা শেষ করে বাইরে কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম। এরপর হঠাৎ ফুচকা খেতে মন চাইলো সবার। তাই সবাই মিলে ফুচকার দোকানে চলে গেলাম। সেখানে ফুচকা খেয়ে এরপর নামাজ পড়তে চলে যাই। নামাজ শেষে সবাই দুপুরের খাবার খেতে একটা বিরিয়ানির দোকানে চলে যাই। সেখানে সবাই অর্ডার করলাম ঝাল চিকেন খিচুড়ি। ভালোই লাগলো। তবে খিচুড়িতে একটু তেল বেশি হয়ে গিয়েছিলো। খাওয়া শেষে একটু চা ও খেয়ে নিলাম। এরপর পরের পরীক্ষা দিয়ে বাসায় চলে আসি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR









%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)

আপনার পোস্ট পড়ে আমারই পরীক্ষা দেওয়ার অনুভূতিগুলি মনে পড়ে গেল। সেই ছাত্র জীবনটা বেশ ছিল। পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা আবার পরীক্ষার পর আনন্দ, সব মিলেমিশে একটা সুন্দর সময় কাটিয়েছি। আপনার অংক পরীক্ষা আশা করি ভালো ফল হবে। তবে পরীক্ষার পরে সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন, এটা খুব ভালো একটি বিষয়। এখন আপাতত কিছুদিন আনন্দে থাকুন।
হ্যা ভাই ছাত্রজীবনটা আসলেই বেস্ট একটা জীবন। স্পেশালী আমার ক্ষেত্রে স্কুল লাইফের কথা বলবো।