শিলাইদহ কুঠিবাড়ি পর্ব-১
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি যে গল্পটি আপনাদের কাছে শেয়ার করব সেটি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি আমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি। আমি প্রতিনিয়তই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার গল্প গুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের গল্প।
কিছু জায়গা আছে যেখানে একবার গেলে মন ভরে না। আবার যেতে ইচ্ছে করে। আর প্রতিবার যাওয়াটা হয় একেবারেই আলাদা অভিজ্ঞতা। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ঠিক তেমনই একটি জায়গা। বহু বছর আগে একবার এসেছিলাম। তখনকার স্মৃতি আর এবারের অভিজ্ঞতা দুটোর মাঝে যেন সময়ের একটি দীর্ঘ সেতু তৈরি হয়েছে। একই জায়গা অথচ কত নতুন কত ভিন্ন বদলে যাওয়া পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা আর পরিপাটি সৌন্দর্য এবার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে পৌঁছেই প্রথম যে বিষয়টি চোখে পড়লো তা হলো পরিবেশের ব্যাপক উন্নয়ন। আগের সেই চেনা জানা দৃশ্যের ভেতরেও নতুনত্বের ছোঁয়া। নতুন গেট তৈরি হয়েছে চারপাশে পরিচ্ছন্ন রাস্তা পরিকল্পিত হাঁটার পথ আর যত্নে রাখা সবুজ ঘাসের মাঠ। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটিকে এখন অনেক বেশি আধুনিক সুন্দর এবং দর্শনার্থীবান্ধব মনে হয়েছে। নতুন করে তৈরি হওয়া ভবনগুলোও কুঠিবাড়ির মূল স্থাপত্যের সঙ্গে দারুণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কোথাও বাড়াবাড়ি নয় আবার কোথাও অবহেলার ছাপও নেই। যেন ইতিহাস আর আধুনিকতার মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য। পুকুরের সেই নৌকাটি আর নেই তবে উন্নয়নের মাঝেও একটি ছোট আক্ষেপ থেকে গেল।
কুঠিবাড়ির পুকুরে আগে যে জাহাজের মতো দেখতে ছোট নৌকাটি ছিল সেটি এবার আর চোখে পড়লো না। আগের বার যখন এসেছিলাম সেই নৌকাটি আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। পুকুরের শান্ত পানিতে ভাসমান নৌকাটি যেন রবীন্দ্রনাথের সময়ের কোনো নীরব সাক্ষী ছিল। নৌকাটি না থাকায় মনে হলো ইতিহাসের কোনো একটি ক্ষুদ্র কিন্তু আবেগঘন অংশ যেন হারিয়ে গেছে। যদিও পুকুরটি এখনও শান্ত সুন্দর এবং স্নিগ্ধ তবু সেই নৌকাটি থাকলে দৃশ্যটি আরও প্রাণবন্ত হতো। টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করার পর প্রথমে কিছুক্ষণ বাইরে ঘোরাঘুরি করলাম। প্রশস্ত মাঠ সারি সারি তালগাছ ছায়াঘেরা পথ সব মিলিয়ে জায়গাটি যেন এক ধরনের প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয়। শহরের কোলাহল জীবনের ব্যস্ততা সব কিছু এই সীমানার বাইরে রেখে মনটা ধীরে ধীরে হালকা হয়ে আসে। এটাই ছিল আমার আজকের গল্প। এই গল্পটি আমি কয়েকটি পর্ব আকারে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি প্রতিটা পর্বই আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আজকে আমি শেয়ার করেছি আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব। আশা করি প্রথম পর্বের প্রকল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তাহলে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবার দেখা হবে দ্বিতীয় পর্বে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



