শিলাইদহ কুঠিবাড়ি পর্ব-২
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে চলে এসেছি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। ইতিমধ্যে আমি আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি। আশা করি প্রথম পর্বের মতোই দ্বিতীয় পর্বটিও আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের দ্বিতীয় পর্বের গল্প।
এই পথেই হাঁটতে হাঁটতে মনে হচ্ছিল ঠিক এই পথ দিয়েই হয়তো একদিন হেঁটেছেন রবীন্দ্রনাথ নিজে। হয়তো এই গাছগুলোর ছায়ায় দাঁড়িয়ে ভাবনায় ডুবে গিয়েছিলেন। হয়তো এখান থেকেই জন্ম নিয়েছিল কোনো কবিতা কোনো গান কোনো গল্প। কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ ইতিহাসের সঙ্গে মুখোমুখি এরপর প্রবেশ করলাম কুঠিবাড়ির ভেতরে। এখানেই শুরু হলো আসল অনুভব। চোখের সামনে একে একে ধরা দিলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের নানা স্মারক। প্রথমেই চোখে পড়ে তাঁর ব্যবহৃত খাট টেবিল চেয়ার। সাধারণ কাঠের আসবাবপত্র কিন্তু তাদের ভেতরে লুকিয়ে আছে অসাধারণ ইতিহাস। এই খাটে শুয়েই হয়তো বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। এই টেবিলেই বসে লিখেছেন অমর কবিতা গান কিংবা উপন্যাসের খসড়া। চেয়ারটির দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল এখানেই বসে তিনি ভাবনার গভীরে ডুবে যেতেন। যন্ত্রপাতি ও দৈনন্দিন জীবনের চিহ্ন কুঠিবাড়ির ভেতরে সংরক্ষিত রয়েছে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। যেমন ঘাস কাটার মেশিন পালকি সিন্দুক দোলনা এবং আরও অনেক কিছু। এগুলো শুধু বস্তু নয় বরং একটি সময়ের জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। ঘাস কাটার মেশিনটি দেখে বোঝা যায় তখনকার দিনে কুঠিবাড়ির চারপাশের পরিবেশ কতটা পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হতো। পালকিটি যেন বহন করে সেই যুগের যাতায়াতের গল্প। সিন্দুকটি মনে করিয়ে দেয় ভ্রমণ আর ব্যক্তিগত সম্পদের কথা। দোলনাটি যেন এক মুহূর্তের জন্য হলেও আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় শৈশবের সরল আনন্দে।
দেয়ালে দেয়ালে কবির উপস্থিতি কুঠিবাড়ির ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে লক্ষ্য করলাম দেয়ালে দেয়ালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি কবিতা গান আর উপন্যাসের অংশ টাঙানো। কোথাও তাঁর কালো সাদা ছবি কোথাও কবিতার কোথাও গানের লাইন। এই লেখাগুলো পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে কবি যেন এখনও এখানেই আছেন। তাঁর চিন্তা তাঁর দর্শন তাঁর মানবিক বোধ সবকিছু যেন এই দেয়ালগুলোতে মিশে আছে। শুধু চোখ দিয়ে দেখা নয় মন দিয়েও অনুভব করার মতো এক অভিজ্ঞতা কুঠিবাড়ির লাল রঙের দেয়াল সবুজ ঘাসের মাঠ নীল আকাশ এই রঙের সমন্বয় চোখে এক অনন্য সৌন্দর্য তৈরি করে। স্থাপত্যে রয়েছে ইউরোপীয় আর বাংলার ঐতিহ্যের মিশ্রণ। বারান্দা খোলা জানালা উঁচু ছাদ সব মিলিয়ে জায়গাটি আলাদা একটি চরিত্র তৈরি করেছে। প্রতিটি কোণ যেন ছবি তোলার জন্য তৈরি। ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় আলো ছায়ার খেলায় কুঠিবাড়ি কখনো গম্ভীর কখনো শান্ত আবার কখনো উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এটাই ছিল আমার আজকের গল্প আশা করি পুরো গল্পটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি দ্বিতীয় পর্বের গল্প এরপরে আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব তৃতীয় পর্ব। আশা করি দ্বিতীয় পর্বের মতোই তৃতীয় পর্ব ও আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবার দেখা হবে তৃতীয় পড়বে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |








