হাঁস খুঁজে শীতের রাতে পিকনিক।

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। শীতকালে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাড়ে কোন মাংসের বলুনতো? আমার জানামতে মহিষ এবং হাঁসের৷ প্রতি বছর শীতের সময় আমরা হাঁস দিয়ে পিকনিক করে থাকি। এ বছরও গত কিছুদিন ধরেই আমরা ভাবছিলাম চর থেকে হাঁস কিনে এনে আমরা পিকনিক করবো।

গতকাল আমাদের ইচ্ছাটা পূরণ হলো আলহামদুলিল্লাহ। বিকেল তিনটার দিকে সবাই একসাথে হাঁস কিনতে যাব এই প্ল্যান করেছিলাম। হাঁস কিনতে যাওয়াটাও একটা মজার বিষয়। তাইতো সাত আট জন খুব আনন্দ করতে করতেই গিয়েছিলাম হাঁস কিনতে। যে এলাকা থেকে হাঁস কিনি প্রতিবার সেখানে না গিয়ে এবার ভাবলাম অন্য এলাকায় যেয়ে কিনে আনব।

IMG_3262.jpeg

IMG_3269.jpeg

IMG_3272.jpeg

যেতে যেতে একেবারে অপরিচিত একটা এলাকায় চলে গেলাম। চরে বহু ঘুরেছি কিন্তু এই এলাকায় আগে কখনোই আসিনি আমরা। যেদিকে চোখ যাচ্ছে আর একটুখানি যাওয়ার মতো পরিবেশ আছে সেখান দিয়েই যেতে লাগলাম। রাস্তায় প্রচুর ধুলা হওয়ার কারণে সবার অবস্থা ভয়াবহ।

IMG_3278.jpeg

IMG_3284.jpeg

IMG_3287.jpeg

IMG_3289.jpeg

IMG_3290.jpeg

কখনো জমির আইল, সরু রাস্তা, লোকের বাড়ির উঠান, একটুখানি খাদ, নদীর পাড় সহ বিভিন্ন রকম রাস্তা দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হচ্ছিল। এই সময়টায় সত্যি বলতে ভীষণ মজা হচ্ছিল। কোথাও হাঁস পাচ্ছিলাম না, শুধুই ঘোরাঘুরি হচ্ছিল।

নতুন এলাকায় গিয়ে হাঁসা আর পেলাম না। পুনরায় আবার সেই আগের এলাকাতে ফিরে এলাম। একটা বাড়িতে হাঁস দেখে গিয়েছিলাম আগের বার, সেখানে গিয়ে কথা বললাম। দুইটা বড় সাইজের হাঁস আছে তারা ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবে।

IMG_3294.jpeg

IMG_3298.jpeg

আমরা ৪ হাজার বলে চলে এসেছিলাম। অন্য একটা বাড়িতে গেলাম সেখানে হাঁস গুলো একটু ছোট ছিল কিন্তু দাম অনেক বেশি চাচ্ছিল। এক মুরুব্বী বলল এখন হাঁস পাওয়া যাচ্ছে না, প্রচুর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মধ্যেই দুইজন সে আগের বাড়িতে আবার গেল। ওখানে ওরা দামাদামি করে ৪২৫০ টাকায় আগের দুটো হাঁস ফাইনাল করলো।

IMG_3323.jpeg

IMG_3333.jpeg

IMG_3340.jpeg

IMG_3347.jpeg

দুটো হাঁস বেঁধে নিয়ে এবার আমাদের রওনা দেওয়ার পালা। হাঁস নিয়ে গিয়ে বাজারে যেয়ে বাজার সদাই করতে হবে এরপর পিকনিক শুরু। বাজারে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সন্ধ্যার সময় বাজার সদাই করে আমরা যে জায়গায় পিকনিক করি সেই জায়গায় চলে গেলাম। সবকিছু রেডি, রান্না শুরু হল। আইটেম ছিল সাদা ভাত, ডিম ভুনা, হাঁসের মাংস ভুন ও খাবার শেষে মিষ্টি।

IMG_3354.jpeg

IMG_3355.jpeg

IMG_3363.jpeg

হাঁসের মাংস রান্না করতে করতে আমাদের অনেক দেড়ি হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম নয়টার মধ্যে পিকনিক শেষ করব। রান্না শেষ করতে করতে বারোটা বেজে গিয়েছিল।

রান্না শেষে সবাই বসে গেলাম খাওয়া-দাওয়া করতে। ডিম ভুনা আর মাংস দুটোর রান্নাই সুন্দর হয়েছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে মিষ্টি খেয়ে এরপর যার যার বাড়িতে চলে যাওয়ার পালা। বাড়িতে আসতে আসতে আমার একটা বেজে গিয়েছিল। কার্যক্রম শুরু তিনটা থেকে, শেষ হলো একটায়। তবে সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো একটা সময় পার করলাম। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


20240320_225328_0000.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


Polish_20240825_125322804.png

Sort:  
 3 days ago 

শীতের রাতে হাঁসের মাংস শুনেই তো মুখে পানি চলে আসলো ভাইয়া। আমার কাছে গ্রামীণ দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লেগেছে। এগুলো সম্ভবত রাজহাঁস ছিল। রাজহাঁসের মাংস খেতে বেশ মজার হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শীতের রাতে হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

আগে জানলে হাঁস দিয়ে আসতাম পিকনিক করার জন্য। আসলে হাঁস দিতে গিয়ে পিকনিক খেয়ে আসা যেত হা হা হা। সত্যি সবাই মিলে এক সাথে পিকনিক করার মজাই আলাদা। বেশ মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 days ago 

সবাই মিলে এভাবে ঘুরে ঘুরে হাঁস কেনার মজাই আলাদা। হাঁস দুটি তো দেখছি বেশ ভালোই বড় ছিলো। হাঁসের মাংস ঝাল ঝাল করে রান্না করলে, সাদা ভাত দিয়ে খেতে দারুণ লাগে। শীতকালে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

অনেকদিন পরে সুন্দর একটা পিকনিক করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিল। আমাদের পিকনিকের মাঝে অ্যাডভেঞ্চার কিছু একটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। হাঁস খোঁজার মুহূর্তে চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছি। পিকনিকের খাবারের স্বাদ এক কথায় অসাধারণ হয়েছিল। এরকম পিকনিক ভবিষ্যতে আরো অনেক করতে হবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 yesterday 

প্রথমে ভেবেছিলাম নয়টার মধ্যে পিকনিক শেষ করব। রান্না শেষ করতে করতে বারোটা বেজে গিয়েছিল।

এটা একেবারে অসম্ভব। অনেক বার চেষ্টা করেছি দ্রুত শেষ করার। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত নিয়মে দেরী হয়ে যেত হা হা। হাঁস কিনতে গিয়েও দখছি আপনাদের বেশ অ‍্যাডভেঞ্চার হয়েছে।