প তা কা 🌹
পতাকা একটি জাতির পরিচয়, তার মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশই তাদের জাতীয় পতাকার মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীনতা, ঐতিহ্য ও গৌরবের পরিচয় বহন করে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে নানা কারণে পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন কার্যকলাপ কেবল হিংসা ও বিদ্বেষ বাড়ায়, যা দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।
জাতীয় পতাকা একটি দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতীক।এই পতাকাগুলি কেবল কাপড় নয়, এগুলো জাতীয় গর্বের অভিব্যক্তি। এগুলোকে অসম্মান করা মানে একটি জাতির আত্মপরিচিতি ও মর্যাদাকে আঘাত করা।
ভারত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে একাধিক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু পতাকা অবমাননার মতো ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যখন কোনো পক্ষ অপর পক্ষের পতাকাকে অসম্মান করে, তখন সেটি কেবল ওই দেশের নাগরিকদের অনুভূতিতেই আঘাত করে না, বরং সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নষ্ট করে। এতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্বেষের বীজ বপন হয়, যা কেবল উভয় পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর।
হিংসা ও বিদ্বেষ কখনোই শান্তি আনতে পারে না। বরং, এটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করে। দুই দেশই তাদের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য ঐক্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এই ধরনের নেতিবাচক আচরণ কেবল দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ বাড়ায়।
দুই দেশের নাগরিকদের উচিত একে অপরের জাতীয় প্রতীককে সম্মান করা। একজন নাগরিক যখন অন্য দেশের পতাকাকে সম্মান জানায়, তখন সেটি কেবল শিষ্টাচারের নিদর্শন নয়, এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্যের বার্তাও বহন করে। স্কুল, কলেজ, এবং সামাজিক সংগঠনগুলোতে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো উচিত। পাশাপাশি, গণমাধ্যমেও এ ধরনের ইতিবাচক বার্তা প্রচার করা উচিত। কিন্তু দেখাযায় গণমাধ্যমগুলো মানুষের মধ্যে আরও বিভেদ সৃষ্টি করে। যা খুবই দুঃখজনক।
ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সহযোগিতা এবং বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আমাদের ঐক্যের উদাহরণ। জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানানো এই ঐক্যকে আরও দৃঢ় করতে পারে।
জাতীয় পতাকা কেবল একটি কাপড়ের টুকরা নয়, এটি একটি দেশের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হিংসা ও বিদ্বেষের পরিবর্তে যদি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাহলে উভয় দেশই উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে। পতাকা অবমাননা বন্ধ করা এবং একে অপরের জাতীয় প্রতীককে সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। একমাত্র এই পথে হাঁটলেই আমরা শান্তি, সৌহার্দ্য ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারব।
সম্মান জানাই প্রিয়ো জন্মভূমি বাংলাদেশের পতাকার প্রতি -
সম্মান জানাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পতাকার প্রতি -
আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঠিক বলেছেন ভাইয়া হিংসা বিদ্বেষ কখনও শান্তি আনতে পারে না বরং সম্পর্ক নষ্ট করে এক অশান্তি বিরাজ করে সবার মাঝে। একটি পতাকা একটি দেশের জাতীয় প্রতীক আর তাকে অসম্মান করা আমাদের উচিত নয়। সেটা নিজের দেশের হোক কিংবা অন্য দেশের। দু'টো দেশের পতাকাকে সম্মান জানাই।
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।দুটো দেশের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক এটাই আমাদের চাওয়া।পতাকা একটি দেশের লালিত স্বপ্ন।একটি দেশের সম্মান,গর্ব।প্রতিটি দেশের আশা-আকাঙ্খা,চাওয়া-পাওয়া, একটি পতাকার মাঝে ই বেঁচে থাকে।সেই পতাকার অবমাননা কখনো কাম্য নয়।
ঠিক বলেছেন ভাই,হিংসা ও বিদ্বেষ কখনোই শান্তি বয়ে আনতে পারে না। তাই আমাদের উচিত মন থেকে হিংসা ও বিদ্বেষ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আগের মতো সুসম্পর্ক তৈরি করা। এতে করে উভয় দেশের-ই লাভ হবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একটি দেশকে শীর্ষে নিয়ে যেতে পতাকার গুরুত্ব অপরিসীম।তাই যেকোনো দেশের পতাকাকে সমান সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন।আপনি সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন দাদা। ভালো লাগলো পড়ে, ধন্যবাদ দাদা।
হিংসা অহংকার রাগ কখনো সফলতা বয়ে আনে না বরং অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সব কিছুতে। সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনার লেখা গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। দুটো দেশের ভেতর বন্ধু সুলভ সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক এটাই আমাদের চাওয়া।আসলে একটি দেশের পতাকার অবমাননা কখনোই কাম্য না। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rex-sumon,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community