ডিসি কোর্টে কিছু সময় পর্ব-১
কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে কাটানো একটি সুন্দর বিকেলের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সহজ নয় তবুও সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়লে মনটা আবারও শান্ত হয়ে যায়। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই ডিসি কোর্টের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছে হলো এত সুন্দর পরিবেশ একটু থেমে যদি সময় কাটাই সেই ইচ্ছেটাই আমাকে নিয়ে গেল কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টের ভেতরের চত্বরের দিকে যেখানে শহরের কোলাহল ছেড়ে এক অন্যরকম প্রশান্তি অপেক্ষা করছিল। বিকেলটা ছিল একদম ঠিক যেমন হলে মন ভালো হয়ে যায় না খুব গরম না আবার ভারী বৃষ্টির আভাস।
আকাশজুড়ে হালকা মেঘ তার ফাঁক দিয়ে নরম রোদের আলো ছড়িয়ে পড়ছিল চারপাশে। ডিসি কোর্টের চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা সবুজ গাছপালা আর খোলা প্রাঙ্গণ দেখে প্রথম দেখাতেই মনে হলো এটা যেন কোনো সরকারি দপ্তর নয় বরং একটা সাজানো পার্ক। উঁচু নিচু গাছ লম্বা নারিকেল আর তালগাছ আর মাঝেমধ্যে দোল খাওয়া পাতার শব্দ পুরো পরিবেশটাকে আরও জীবন্ত করে তুলছিল। ডিসি কোর্টের ভবনগুলো খুব পরিপাটি এবং পরিচ্ছন্ন। সাদা রঙের দালান নীল কাচে প্রতিফলিত আকাশ আর গাছপালার ছায়া সব মিলিয়ে এক ধরনের সৌন্দর্য তৈরি করেছে।
ভবনের সামনে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন আকাশের দিকে তাকাই তখন মনে হচ্ছিল শহরের ব্যস্ততা অনেক দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে। এখানে দাঁড়িয়ে সময় যেন একটু ধীরে চলে মানুষকে ভাবতে শেখায়। বিকেলের এই সময়টাতে অনেক মানুষকেই দেখা যাচ্ছিল। কেউ কাজ শেষ করে হেঁটে যাচ্ছেন কেউবা মোটরসাইকেলে করে বের হচ্ছেন আবার কেউ পরিবারের সদস্য বা বন্ধুর সঙ্গে একটু হাঁটাহাঁটি করছেন। শিশুদের হাসি দূরে ভেসে আসা মানুষের কথাবার্তা সব মিলিয়ে একটা স্বাভাবিক শান্ত বিকেলের চিত্র। কারো মুখে তাড়াহুড়োর ছাপ নেই বরং সবার মধ্যেই একটা নির্ভার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল চারপাশে তাকালে চোখে পড়ে পরিচ্ছন্ন রাস্তা সাজানো বাগান আর খোলা চত্বর। এই জায়গাটার সবচেয়ে ভালো দিক হলো এখানে দাঁড়ালে মনে হয় না আপনি কোনো অফিস পাড়ায় আছেন। বরং মনে হয় আপনি শহরের ভেতরেই প্রকৃতির সঙ্গে একটু সময় কাটাচ্ছেন। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আকাশ দেখা হালকা বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যাওয়া এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই বিকেলটাকে বিশেষ করে তুলেছিল। তাহলে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইলো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



