সুন্দর একটি বিকেল //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- সুন্দর একটি বিকেল
- ০৪, মে ,২০২৪
- শনিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। সুন্দর একটি বিকেল মুহূর্ত সেই দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
বর্তমান প্রচন্ড গরম পরছে। এই গরমে কোথাও যেতে মন চায় না। শুধু ঠান্ডা পরিবেশে বসে বসে সময় পার করে দেয়াটাই মনে হয় সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু কর্মজীবী মানুষের বসে থাকলে চলবে না। তাদের জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয় ।যত কষ্টই হোক না কেন জীবনের এই ছুটে চলা কখনো থেমে থাকে না । কিন্তু এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা মানুষকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে । প্রতিটা মানুষ অনেক খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তার পাশাপাশি অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি কম বেশি সব জায়গায় পরিলক্ষিত । বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে । এখন পর্যন্ত আমি কোন বৃষ্টিপাত আমাদের গ্রামে দেখতে পাইনি। চারিদিকে হাহাকার তৃষ্ণার্ত একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গা টিউবওয়েলের পানি উঠছে না কৃষকের ফসলের অবস্থা খুবই খারাপ। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মাটি শুকিয়ে সকল ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। শুধুমাত্র ধান সেই ফসল স্বাভাবিকভাবে ভালো দেখতে পাচ্ছি। যেটা বাংলাদেশের প্রধান চাষাবাদ ফসল।
Device : Redmi Note 11
ব্রিজের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
প্রচন্ড গরমে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না । আসলে এই সময় বিকেলে বাইকের উপর বসে থাকতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যদিও গরম হাওয়া তবুও একটু স্বস্তি পাওয়া যায়। সেজন্য বড় ভাই ব্রাদার বন্ধুদের সাথে বিকেলে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করছি। আমরা যে সকল জায়গায় বিকেল মুহূর্ত উপভোগ করতাম সেখানে যাওয়ার উপায় নেই । প্রচন্ড গরম জায়গাটি আমাদের জন্য অস্বস্তির হয়ে গিয়েছে। বিকেল হলেই সবার খোঁজ খবর নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ি কোথাও নির্দিষ্ট স্থানে না গেলেও বাইকে এলোমেলো ঘোরাঘুরি ভালোই করা হচ্ছে । এই ধরনের ঘুরাঘুরির মধ্যেও একটা মজা রয়েছে।
Device : Redmi Note 11
মাঠা খাবার
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
হঠাৎ আমরা কয়েকদিন আগে ভাবলাম একটু দূরে কোথাও যাওয়া যাক। সবাই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম কুমারখালী গোলাম কিবরিয়া সেতুর উপর কিছু সময় উপভোগ করে আসে আমার কাছে একটি বিষয় দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। সারাদিনের প্রচন্ড গরমে ব্রীজের তাপমাত্রা অনেক বিকেল মুহূর্তে সেখানে কেমন লাগবে সেটা হয়তো গেলে বুঝতে পারব। আমাদের বাসা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে আমরা ৫ জন তিনটা বাইকে সেই কুমারখালী শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হ ই। যদিও শহরের মধ্যে অনেক কিছুই কেনাকাটার ছিল। শহরে পৌঁছানোর পর ভাবলাম যাওয়ার পথে কেনাকাটা করা যাবে। তারপর আমরা ব্রিজের উপর চলে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখে অনেক মানুষ। যদিও অনেক গরম ছিল তবুও তীব্র বাতাসে সেই গরমের বিষয়টি কিছু মনে হচ্ছিল না।
Device : Redmi Note 11
সূর্যাস্তের মুহূর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আসলে এই নতুন ব্রিজ হওয়ার পর সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন খাবার ফুচকা গরমের সময় বিভিন্ন ধরনের কুলপি মালাই আরো অন্যান্য খাবার এর দোকান। ব্রিজের শুরুতেই দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে ব্রিজে হেঁটে হেঁটে বিক্রি করছে। আমরা যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম তার পাশেই একজন এমন একটি খাবার বিক্রি করছে যেটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি । আমাদের মধ্যে কেউই সেই খাবারটি খাইনি। সবারই ইচ্ছে হলো খাবার গরমের সময় এই ধরনের খাবার নাকি তিনি বিক্রি করেন নাম তার মাঠা। দুধ এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছু দিয়ে এই ধরনের শরবত জাতীয় খাবার তিনি তৈরি করেছেন। হালকা বরফ দেওয়াতে গরমের সময় খেতে ভালোই লাগছিল। খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে মাতাল মাতাল অনুভব করছি। আসলে ভিন্ন স্বাদের ছিল । আমি হয়তো প্রথমবার খেলাম অনেকে হয়তো এর আগেও খেয়েছে। সেদিন সেখানে অনেক সময় আড্ডা দিয়েছিলাম সেই মুহূর্তটা দারুন ছিল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | বিকেলের দৃশ্য |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | Kushtia |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানুষ এখন কিন্তু গরমের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটু ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করার চেষ্টা করে এ জন্যই হয়তো সবাই সন্ধ্যার পরে ব্রিজের উপর গিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। যাই হোক বিকেল থেকে কিন্তু সুন্দর সময় পার করেছিলাম।
হ্যাঁ ফ্রিজের উপর বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দারুন সময় কাটানোর একটি জায়গা। যেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে অনেক ভালো লাগে জায়গাটিতে মাঝে মাঝে গেলে।
চারিদিকে পানির জন্য একটা হাহাকার তৈরি হয়েছে। এটা মোটামুটি নিজে দেখছি। কুমারখালী আসেন কিন্তু কখনও বলেন না আফসোস। সেতু হওয়ার অনেক আগে থেকে এই জায়গাটাই আমার যাওয়া আসা। আগে সেরকম মানুষের আনাগোনা ছিল না এখানে। কিন্তু এখন এখানে অনেক লোকসমাগম হয়। বিশেষ করে বিকেলে সন্ধ্যায় সময় কাটানোর জন্য সুন্দর একটা জায়গা। বেশ দারুণ কাটিয়েছেন বিকেল টা।
কুমারখালীতে কখন যে যাই আবার কখন চলে আসি সেজন্য কাউকে বলা হয় না। আবার যদি যাই প্লান আছে তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করার।
কুমারখালী জায়গাটি যেমন সুন্দর তেমনি নামটিও সুন্দর। তবে এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া পড়ন্ত বিকেলে ব্রিজ পারের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। কারণ সারাদিনের রোদে ব্রিজ বেশ গরম হয়ে থাকে। কিন্তু ব্রিজ পাড়ের মিষ্টি হাওয়া হৃদয় শীতল করে দেয়। দারুন সব ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।
আসলে আপু নতুন ব্রিজ হয়েছে সেখানে অনেক মানুষ অবস্থান করে বিকেল মুহূর্ত থেকে সন্ধ্যা মুহূর্ত পর্যন্ত। একটি উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়ে যায় । ভালই লাগে আমার কাছে সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে।
কুমারখালী জায়গাটি যেমন সুন্দর তেমনি নামটিও সুন্দর। মানুষ এখন গরমের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটু ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করার চেষ্টা করে এজন্যই হয়তো সবাই সন্ধ্যার পরে ব্রিজের উপর গিয়ে তাই কাটানোর চেষ্টা করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন সেজন্য বিকেল মুহূর্তটা সবাই চায় সুন্দরভাবে কাটানোর। এইরকম জায়গাগুলোতে গিয়ে সময় কাটানোর দারুন মজা অনেক ভালো লেগেছিল।
ভালো লাগারই কথা ভাই প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে।