ট্রাভেল: নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র পর্ব-৩ // by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র
- ২১, মে ,২০২৪
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে কাটানো মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে। আমরা যখন বান্দরবন শহরে পৌঁছায় তখন সকাল 11 টা বাজে। অনেক পথ জার্নি করার মাধ্যমে সবাই ক্লান্ত ছিলাম।
Device : Redmi Note 11
নীলাচল প্রবেশ গেট
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
যাইহোক, এর আগের পর্বে রূপালী ঝর্ণায় কাটানো মুহূর্তের দৃশ্যপটভূমি শেয়ার করেছিলাম। সেখানে বেশি সময় ছিলাম না কারণ ঝর্ণা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। শীতকালে ঝর্ণায় পানি কম থাকে। এই পর্বে নীলাচলের দৃশ্য পটভূমি যেটা উপভোগ করেছিলাম আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের সেদিন কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার প্লান ছিল । সেই ভাবেই আমরা প্রতিটা জায়গায় চাঁদের গাড়িতে ঘুরাঘুরি শুরু করি । এর আগে যে পর্বগুলো শেয়ার করেছি প্রথমে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে তারপর রূপালী ঝর্নায় সময় কাটিয়ে তৃতীয় স্থান ছিল নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র। আপনি যদি বান্দরবান যেয়ে থাকেন তাহলে এই চাঁদের গাড়ি ভাড়া করার পর এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আপনাকে প্রথমে নিয়ে যাবে।
Device : Redmi Note 11
সবাই বিভিন্নভাবে আনন্দ করায় ব্যস্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
নীলাচল পর্যটক কেন্দ্র ে পৌঁছানোর পর সেখানে অনেক মানুষের ভিড়। রাস্তার দুপাশে অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করে রাখা আছে । আমরা সেখানে নাম্বার পর আমাদের ম্যানেজার সাগর ভাই তিনি আমাদের জন্য টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য চলে গেলেন। প্রতিটা টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা আমরা যে গাড়ি ভাড়া করেছিলাম তিনি গাড়ি ফাঁকা স্থান দেখে পার্কিং করলো। ম্যানেজার সাহেব আমাদের হাতে টিকেট ধরিয়ে দিল আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে অনেক মানুষের ভিড় বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর সুন্দর বসার জন্য জায়গা করে রাখা আছে। সেখানে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে কেউ বা গান গাইছে অনেক আনন্দ ময় মুহূর্ত উপভোগ করছে।
Device : Redmi Note 11
স্কটল্যান্ডে থাকা আমার দাদু
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমরা নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের সুন্দর স্থানে যাওয়ার মাঝ পথে বিদেশী দাদুর সাথে দেখা হয়ে যায়। তারা এই স্কটল্যান্ড থেকে ঘুরতে এসেছে তাদের দেখে খুবই ভালো লাগে। আসলে তিনি হলেন আমার দাদুর ভাই যিনি ছোটবেলা হারিয়ে গিয়েছিল।🤩 হঠাৎ তার সাথে দেখা হল তাই কয়েকটি সেলফি তুলে নিয়েছিলাম । তারাও অনেক খুশি আমাদের সাথে কথা বলতে পেরে। তাদের যাত্রা পথের ব্যাঘাত না ঘটি আমরা আবার আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের মূল স্পটে পৌঁছে যায় সেখানে গিয়ে দেখি অনেক মানুষের ভিড় সবাই সেলফি তোলার ব্যস্ত তার পাশাপাশি সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছে। গতবার যখন এসেছিলাম তখন পর্যটক খুবই কম ছিল। এবার অনেক বেশি কারণ শীতের সময় পর্যটক বেশি হয়ে থাকে। যাইহোক এখানে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | বান্দরবান |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
ভাইয়া নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে আপনার হারিয়ে যাওয়া দাদুকে কিভাবে খুজে পেলেন সেই চিন্তাই করছি। আপনার দাদুকে বুঝিয়ে সুজিয়ে স্কটল্যান্ডে চলে যান,হা হা হা। যায়হোক নীলাচল গিয়ে অনেক মজা পেয়েছেন বুঝা যাচ্ছে। স্কটল্যান্ড থেকেও নীলা চলে মানুষ আসে,অথচ আমি বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বিভাগে থেকেও এখনো গেলাম না,এই জীবন রেখে কি লাভ.........। ধন্যবাদ।
বাড়ির পাশের লোক ট্রেন ফেল করে বেশি আপনার হয়েছে তাই। এই পোস্ট দেখে হলেও আপনাকে ঘুরতে যেতে হবে তাড়াতাড়ি ঘুরতে যাবেন । আমাদের সাথে ছবি শেয়ার করবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে ঘোরার সুন্দর কিছু অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলি এতটাই সৌন্দর্যপূর্ণ হয়েছে যে দেখে চোখ সরাতে পারছি না। তবে ভীষণভাবে অবাক হয়ে গেলাম আপনার স্কটল্যান্ড থেকে ঘুরতে আসা বিদেশী দাদুর সাথে দেখা হয়। সে যাই হোক আপনার বিদেশী দাদু দেখছি ভীষণ হ্যান্ডসাম। সব মিলিয়ে আপনার নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ঘোরার অনুভূতি মূল পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে নীলাচল গিয়ে দেখি অনেক মানুষের ভিড় সেখানে সবাই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছে। যে দৃশ্যটা দেখে অনেক ভালো লেগেছিল সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বান্দরবান ভ্রমণটা আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকবে। শেষ বিকেলে নীলাচলের সৌন্দর্য অসম্ভব সুন্দর ছিল তবে মানুষের ভিড় একটু বেশি ছিল। সব মিলিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছো। তোমার পোস্ট দেখে স্মৃতি মনে পড়ে গেল
একদম ঠিক বলেছ মামা, বান্দরবানের এই স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্তগুলো একসময় মিস করবো। আমরা দারুন সময় কাটিয়েছিলাম সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের নানা স্থানের ছবি আপনি মোবাইলে ধারন করেছেন এবং তা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নীলাচলের বিকেলের প্রাকৃতিক দৃশ্যটা দেখতে খুবই ভালো লাগলো। সেখানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা ছিল সব মিলিয়ে পরিবেশটা অনেক কোলাহলপূর্ণ ছিল।
অনেক সুন্দর একটি জায়গা সেখানে দুইবার গিয়েছি এইবার দারুন সময় কাটিয়েছি। সবাই মিলে অনেক সময় আড্ডা দিয়েছি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সু স্বাগতম ভাই আপনার দিনগুলো সুন্দর ভাবে কাটুক সেই দোয়াই করি।
ঠিক বলেছেন আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে প্ল্যান করে গেলেই ভালো হয়। কারণ বর্তমানে অনেক বেশি কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। তবে আপনাদের বান্দরবান ভ্রমণের প্রত্যেকটা জায়গা ভীষণ ভালো লেগেছে। আর আজকে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র টাও দেখছি খুবই সুন্দর। আবার আপনার বিদেশি দাদুর সাথে সেলফিটা ও কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন
আসলে আপু প্লান ছাড়া গেলে কোনভাবেই সব জায়গা ঘোরাঘুরি করা সম্ভব হয় না। সেজন্যই গিয়েছিলাম তবুও অনেক জায়গায় মিসটেক হয়ে গিয়েছিল।
নীলাচল ভ্রমণে গিয়ে বিদেশি দাদুর সাথে দেখা হল তাহলে। তাদের সাথে সেলফি ও নিয়েছেন দেখছি। আপনার নীলাচল ভ্রমণের আগের পর্ব গুলো দেখা হয়নি। দেখার চেষ্টা করব কারণ ফটোগ্রাফিতে জায়গাটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। জায়গাটার সৌন্দর্য আসলেই মুগ্ধ হওয়ার মতো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ্ নীলাচল জায়গাটা তো দারুন।শেষ বিকেলে জাস্ট অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি ধারণ করেছিলেন।সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।বিদেশী পর্যটক দের সাথে ফটো তুলেছেন।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বন্ধু বিদেশি দাদু দিদিমার সাথে দেখছি বেশ দারুণ সেলফি উঠেছো। আমরা নীলাচলে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম মেঘের ভিতর পাহাড় গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগছিলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।