ছোট ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটা পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারো নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের ব্লগটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

IMG-20241011-WA0017.jpg

বিয়েতে কেনাকাটায় আমার কাছে বেশি মজা লাগে। আর কেনাকাটা করতে গেলে শরীরে এত বেশি ক্লান্ত হয়ে যায় তখন মনে হয় কেনাকাটা কেন শেষ হচ্ছে না। আমার ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটা করতেও আমি অনেকটা হাপিয়ে উঠেছিলাম। মনে হচ্ছিল কেন কেনাকাটা শেষ হচ্ছে না। বিয়ের তারিখ গুলো যদি অনেকটা লম্বা সময় হয় আর হাতে যদি একটু বেশি সময় পাওয়া যায় তখন কেনাকাটা করতে অনেকটা ভালো লাগে। আমি খুব বেশি সময় পাইনি কারণ বিয়ের তারিখটা খুব বেশি দিন পরে ছিল না। তাড়াতাড়ি সময়ের জন্য কেনাকাটাও তাড়াতাড়ি করতে হয়েছে। আর এতে করে অনেক জিনিস বানাতেও সমস্যা হচ্ছিল। টেইলার এর কাছে অনেক কিছুই নিচ্ছিল না বানানোর জন্য। অনেক রিকোয়েস্ট করে অনেক কিছুই বানাতে হয়েছে।

আমার ভাইয়ের যেদিন কেনাকাটা করি সেদিন আমি আর আমার ভাই শুধু ছিলাম আমার মা ছিলনা। আমার মা অন্য কাজে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল তাই যেতে পারিনি। আমার ভাইয়ের বউ এর জন্য যেখান থেকে কসমেটিক্স কিনেছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের জন্য একই দোকান থেকেই কেনাকাটা করেছি। কারণ ওরা আমার পরিচিত আর ওদের কাছে কেনাকাটা করে ভরসা পাই। যে কোন জিনিসে অন্তত কোন সমস্যা থাকবে না। আর এখন তো এখন তো সেরওয়ানির জন্য অনেক রকমের দোকান আছে। আমার ইচ্ছা ছিল আমার ভাইয়ের খুব সুন্দর একটি সেরওয়ানি পড়ানোর। অনেক খুঁজতে খুঁজতে সেই সেরওয়ানি আমি পেয়েও গিয়েছিলাম। আর এখন তো শুধু সেরওয়ানি কিনলে হবে না তার সাথে আরো অনেক কিছুই কিনতে হবে। ওর সাথে ম্যাচিং করে পাগড়ি নিয়েছি জুতা নিয়েছি।

শেরওয়ানি কেনা শেষ করে গিয়েছিলাম ওর জন্য শার্ট প্যান্টের দোকানে। শার্ট-প্যান্টের জন্য আমাকে অনেক দোকান যেতে হয়েছে। কারণ তারা এত অল্প সময়ের মধ্যে কেউই বানিয়ে দিচ্ছিল না। কিন্তু এটা অনেক বেশি প্রয়োজনও ছিল এজন্য অনেক রিকোয়েস্ট করে বানিয়ে নিতে হয়েছে। আমি আমার ভাইয়ের জন্য জুতাটা নিয়েছিলাম গাইবান্ধা থেকে। গাইবান্ধার এপেক্স এর শোরুমে ঢুকে ওর জন্য জুতা নিয়েছি দুইটা অন্য দোকানে মনমতো পাচ্ছিলাম না।

মোটামুটি দুদিন লেগেছিল ওর কেনাকাটা করতে আর কেনাকাটা করতে করতে আমার পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। কেনাকাটা শেষে একটা জিনিস ভয়ে ছিলাম যে জিনিসগুলো টেইলারের কাছে বানাতে দিয়েছি সেগুলো ঠিক সময় মত পাবো কিনা। যদি সময় মত হাতে না পাই তাহলে আমার ছোট ভাইটা কি পড়বে তার বিয়ের প্রোগ্রামে করছিল যা তারপরও আমরা ঠিক সময় মতোই টেইলার কাছ থেকে পেয়েছি এটাই অনেকটা শান্তির। সবকিছু কেনাকাটা শেষে আমি আমার ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিয়ে চলে যাই গাইবান্ধায় বিয়ে খাওয়ার জন্য। এবারের যাওয়াটা বেশ মজাই লাগছিল আমার ছোট ভাই আমাকে নিতে এসেছিল। আমার মেয়ে তো সেই খুশি আর ছেলে তো তেমন কিছু বুঝতে পারছিল না এ অনেক ছোট কিন্তু আমার ছেলে জার্নি করতে খুব পছন্দ করে।

আমার ভাইয়া অনেক বেশি খুশি ছিল কারণ সবগুলো জিনিস আর মন মত হয়েছে। আর সবাই আমার ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের বউয়ের জন্য দোয়া করবেন আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...MHv3w7VxjkyjsCq93AGBRKdJvUDckiCn5Bi4X9PoVnE5EWdAdzbeVkhbJeoNBCvJeVxgXn64VKXqDqc5zAtEYcjVCpDPqNwqmJzcR62ny1kmLqJAK3qWzkMesp.png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovfEfMUsxphK2C94MUmPesRzxucV6L5C5WztC1e4L1hqcx2mH3BcV9oEFqiwTsErcMQNvVa4puc9hxr4N1FcnerVs.gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আপু অনেক সময় তো বাজারে গিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে ও নিজের মনের মত জিনিস পাওয়া যায় না। আপনার ছোট ভাইয়ের বিয়ের বাজার খেতে প্রায় দুই দিন লেগে গিয়েছিল। কেনাকাটার পর আবার টেইলার্সের কাছে বানাতে দেওয়া পড়ো অনেক চিন্তা। যাইহোক সবকিছু আপনি সময় মতো পেয়ে গেছেন এবং আপনার ভাইয়েরও পছন্দ হয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।

 last month 

আমার পুরো পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর হয়েছে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 27 days ago 

ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বেশ কিছু কেনাকাটি করে ফেলেছেন তো। এমন কোন বিয়ে বাড়ি পরলে একসঙ্গে কেনাকাটি করতে বেশ ভালই লাগে। আপনার শেরওয়ানিটি সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। ছবিতে দারুন সুন্দর দেখাচ্ছে। এবার শুধু ভাইয়ের বিয়েতে আনন্দ করবার অপেক্ষা।