পশু ও পাখির প্রতি মানুষের দয়া

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে পশু ও পাখির প্রতি মানুষের দয়া নিয়ে আলোচনা করবো শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব । মানুষ সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করতে অনেক ভালোবাসে।ঠিক তেমনি ভাবে পশু পাখি ও সৃষ্টিকর্তার একটি অন্যতম জীব। মানুষের মতো পশু ও পাখিরা ও একতাবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে পছন্দ করে। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে যে সব গুনাবলি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তা কোন পশু প্রাণীর মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি করেননি। মানুষ শুধু মাত্র মানুষের প্রতি দয়া মহব্বত প্রদর্শন করবে, শুরু এমনটা নয়। মানুষ হয়ে সৃষ্টির সকল জীবের প্রতি দয়া মহব্বত প্রদর্শন করতে হবে। পশু ও পাখি মানুষ জাতির জন্য একটি উপকারী জীব। তাদের প্রতি দয়া এবং ভালোবাসা প্রদর্শন তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবে।

আমি আজকে আমাদের নিজ বাড়ির একটি বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে তুলে ধরতে চাই। তাহলে বিষয়টি আপনারা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। আপনারা হয়তো সকলেই বিড়ালের সাথে পরিচিত।বিড়াল কে চিনে না এমন মানুষ বাংলাদেশের মধ্যে খুবই কম খুঁজে পাওয়া যাবে। আবার আপনারা অনেকেই নিজ বাড়িতে বিড়াল পালন করে থাকেন। বেশ কিছু দিন আগে আমাদের বাসার মধ্যে একটি বিড়াল চলে আসে।সে বিড়াল টি আসার পর আর চলে যায়নি আমাদের বাসা থেকে। বেশ কয়েকদিন আগে বিড়াল টি আমার বাসার ছাদের উপর বাচ্চা জন্ম দান করেছে।

বিড়াল টি বেশিরভাগ সময় আমার নিজের রুমের মধ্যেই থাকে।আমি তাকে কখনো রুম থেকে বের করে দেয়নি।যখন কোন খাবার খাই তখন আমি আমার খাবারের কিছু অংশ তাকে খেতে দেই। এভাবেই তার সাথে আমার ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আবার আমি যখন ভাত খাওয়ার জন্য, ভাত খাওয়ার রুমে চলে যাই তখন বিড়াল টি আমার পিছু পিছু আমার সাথে ভাত খাওয়ার রুমে চলে যায়। এরপর আমি তাকে আলাদা ভাবে একটি পাতিলের মধ্যে কিছু পরিমাণ ভাত এবং তরকারি খেতে দেই। এভাবে চলছে প্রতিনিয়ত তার সাথে আমার চলা।

কিন্তু একটি মজার বিষয় হচ্ছে, এই বিড়াল টি আসার পূর্বে আমাদের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর ছিল। বিড়াল টি বাসায় ঢুকার পর বাড়ির সব ইঁদুর একদম তাড়িয়ে দিয়েছে।এক সময় ইঁদুর আমাদের বাড়ির অনেক পরিমাণ খেয়ে শেষ করেছিল। আমরা এখন অতিরিক্ত ইঁদুরের যন্ত্রনা থেকে কিছু টা বেছে গিয়েছি। বেশ কিছুদিন থেকে বিড়াল টি আমার রুমের মধ্যে থাকার ফলে বিড়ালের প্রতি আমার এক ধরনের মায়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। হয়তো সে হঠাৎ করে হারিয়ে গেলে মনের মধ্যে একটু কষ্ট অনুভব করতে হবে। আশা করছি এই বিড়ালটি দীর্ঘ দিন আমার সাথে থাকবে।

আমাদের ইসলাম ধর্মের মধ্যে বিড়াল কে একটি পবিত্র প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।তবে, ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে বিড়াল অনেক বেশি ভালো লাগে । বিড়াল ছাড়া ও আরো অনেক ধরনের পশু পাখি রয়েছে যে গুলো মানুষের অনেক কাজে আসে।তারা মানুষের অনেক উপকার করে থাকে। পশু ও পাখি কখনো মানুষের ক্ষতি করে না, পশু সব সময় মানুষের কাজে আসে। অনেক প্রাণী রয়েছে সে গুলো মানুষের বিপদের সময় কাজে লাগে।তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত পশু ও পাখির প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।