নাটক রিভিউ: ইন্দ্রজাল
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ০৭ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নাটকের নাম | ইন্দ্রজাল |
---|---|
ধরন | রোমান্টিক |
অভিনয়ে | নির্জন নাহুয়েল, আরোহী মিম এবং আরো বেশ কয়েকজন |
গল্প | রাজ বিশ্বাস |
ডিরেক্টর | রাজ বিশ্বাস |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
দৈর্ঘ্য | এক ঘন্টা চার মিনিট পনের সেকেন্ড |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী
নাটকের গল্প টি শুরু হয় ইটের ভাটা থেকে। একদা ইটের ভাটার এক শ্রমিক ইট ভাটা মালিকের কাছে থেকে তার পারিশ্রমিক চায়, শ্রমিকের মেয়ের অসুস্থতার কারণে সে মালিকের কাছে থেকে চায়। কিন্তু মালিক টাকা দিতে রাজি হননি।মালিক শ্রমিকের মেয়েকে তার কাছে আসতে বলে এবং তার সকল প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করতে চান। এমতাবস্থায় নির্জন নাহুয়েল চলে আসে সে জায়গায় সে এমন অন্যায় দেখে মালিকের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু দেয়।একে একে মালিকের বেশ কিছু ছেলেপেলে নির্জন নাহুয়েলের সাথে লড়তে আসে। কিন্তু নির্জন নাহুয়েল একাই সবাই কে পরাস্ত করে।এতে করে নির্জন নাহুয়েল জয় লাভ করে। সেখানে জয়লাভ করার পর নির্জন নাহুয়েল তার বন্ধুদের সাথে গল্প করছিল, হঠাৎ এমতাবস্থায় নির্জন নাহুয়েলের প্রেমিকা চলে আসে।আর নির্জন নাহুয়েলের প্রেমিকা হলো ভাটা মালিকের বোন। নির্জন নাহুয়েল বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে তার প্রেমিকার সাথে আড্ডা দেয়।
হঠাৎ একদিন ইট ভাটার মালিক নির্জন নাহুয়েল এবং তার প্রেমিকা আরোহী মিম কে এক জায়গায় আড্ডা দেয়া দেখে।ইট ভাটা ওয়ালা মালিক যেহেতু আরোহী মিম এর বড় ভাই, আর তারা খুবই বড়লোক পরিবারের।আর অপরদিকে নির্জন নাহুয়েল খুবই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের এমন দৃশ্য দেখে ইট ভাটা ওয়ালা মালিক গ্ৰামে এসে নির্জন নাহুয়েলের বাবা কে নিয়ে এসে গ্ৰামের মোড়ল কে নিয়ে বিচার করান এবং বিচার শেষে নির্জন নাহুয়েলের বাবা কে পুরো গ্ৰামে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়।পরে হঠাৎ একদিন রাতের বেলা নির্জন নাহুয়েল এবং তার বেশ কয়েকজন বন্ধু সহ ইট ভাটা মালিক কে ধরে এবং মারধর করে। মারধর শেষ করে তাকে জুতার মালা পরিয়ে প্রতিশোধ নেয়। পরদিন নির্জন নাহুয়েল আরোহী মিমের সাথে দেখা করে এবং বেশ কিছু সময় ধরে আড্ডা দেয়।
একদা নির্জন নাহুয়েল এবং তার বন্ধুরা সহ এক জায়গায় আড্ডা দেয়। সেখানে তারা বুদ্ধি করে কিভাবে তারা প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবে এবং তারা কিভাবে ইট ভাটা মালিকের থেকে ও বেশি পরিমাণ টাকার মালিক হতে পারবে। তারা বিভিন্ন জন বিভিন্ন বুদ্ধি করছিল টাকা উপার্জন করার জন্য। কিন্তু একদা নির্জন নাহুয়েল একটি নতুন বুদ্ধি বের করে।সে মূলত এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করার উপায় বের করে।আর এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করতে পারলে তারা সকলেই অনেক বেশি টাকা ওয়ালা হয়ে যাবে। তারা রাতের বেলা পরিকল্পনা করে এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করার জন্য, এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী কে বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায় এরপর সে একদম মাতাল হয়ে যায়। তখন তারা এই সুযোগে এটিএম বুথ থেকে সব টাকা বের করে বস্তা ভর্তি করে নিয়ে যায়। পরদিন তারা এই টাকা দিয়ে সকলেই গাড়ি কিনে ফেলে।
পরদিন নির্জন নাহুয়েল এবং তার সকল বন্ধুদের নিয়ে নদীর ধারে গল্প করেন, তখন হঠাৎ করে নির্জন নাহুয়েলর প্রেমিকা আরোহী মিম চলে আসেন এবং তাকে নির্জন নাহুয়েল কে বলে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। একথা শুনে নির্জন নাহুয়েল বেশ কিছুক্ষণ সময় নিরবতা পালন করে। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে নির্জন নাহুয়েল তাদের চুরি করা টাকা গুলো নিয়ে আসার জন্য এক জায়গায় যায়।টাকা গুলো মূলত একটি গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখা ছিল। এই টাকা গুলো নির্জন নাহুয়েল নিয়ে আসার জন্য যায়, তখন তার পিছু পিছু তার বন্ধুরা ও যায়।তার বন্ধুরা সেখানে তার লুকানো টাকা গুলো দেখতে পারে। তখন তার বন্ধুরা নির্জন নাহুয়েল কে সেখানে বেধে রেখে এবং তারা বেশ কয়েকজন বন্ধু সহ টাকা গুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন নির্জন নাহুয়েল তার পুরো শরীরে বাধা ঝিনঝির খুলে তার বন্ধুদের মারে এবং সব টাকা নির্জন নাহুয়েল নিয়ে চলে যায় তার প্রেমিকা কে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।সে একজায়গায় গিয়ে দেখতে পারেন, তার প্রেমিকা দাঁড়িয়ে রয়েছে লাল শাড়ি পরে। নির্জন নাহুয়েল তাকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে সে আর রাজি হয়না।পরের দিন শুনতে পারেন, আরোহী মিম মারা গিয়েছেন। এখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
বিঃদ্রঃ এই নাটকটি এখন পর্যন্ত অফিশিয়াল ভাবে ইউটিউব এ রিলিজ করা হয়নি।আমি এই নাটকটি টেলিগ্রাম গ্ৰুপ থেকে সংগ্রহ করে দেখেছি।আর এই নাটকের প্রতিটি স্ক্রিনশট আমার মোবাইল গ্যালারি থেকে নেয়া হয়েছে। যখন নাটক টি রিলিজ করা হবে, তখন আমি নাটকের রিংক যুক্ত করে দিবো।
নির্জন নাহুয়েল এবং আরোহী মিমের প্রতিটি নাটক আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে, আমার কাছে বিশেষ করে নির্জন নাহুয়েলের নাটক গুলো একটু বেশি ভালো লাগে। নির্জন নাহুয়েল একজন গরীব পরিবারের হ ওয়া সত্ত্বেও সে একজন উচ্চপর্যায়ের পরিবারের মেয়ের সাথে প্রেম করছিল।আর এই প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য সে একটি এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করে তার পরিবারের থেকে ও বেশি টাকা ওয়ালা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে তার প্রেমিকা কে তবুও বিয়ে করতে পারেননি শুধু মাত্র তার বন্ধুদের জন্য। কেননা, তার বন্ধুরা টাকার জন্য তাকে রুমের মধ্যে বেঁধে রাখছিল দুই দিন। আসলে এই নাটক থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, টাকার জন্য মানুষ যে কোন জিনিস করতে পারে।আর একজন সত্যিকারের প্রমিক প্রেমিকা তাদের ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য জীবন পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইন্দ্রজাল নাটকের অনেকগুলো শর্ট ভিডিও আমি দেখেছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই নাটকের পুরো কাহিনীটা দেখা হয়নি। তবে আজকে এই রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে পুরোটা জেনে নিতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে টাকা এমন একটা জিনিস, যেটা মানুষকে অনেকটা নিচে নামিয়ে দেয়। নায়কের বন্ধুরা ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তার সাথে। শেষ পর্যন্ত সে তাদের থেকে মুক্তি পেলেও তার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলেছে। শেষেরটা সত্যি অনেক কষ্টের ছিল।
ইন্দ্রজাল নাটকটি খুবই সুন্দর। এই নাটক টি আমি দেখেছি । আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । নাটকের গল্প এবং দৃশ্যপট খুবই দুর্দান্ত। আপনি নাটক টি খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । বেশ দুর্দান্ত হয়েছে আপনার নাটক রিভিউ। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ইন্দ্রজাল নাটকটা অনেক সুন্দর। আর এটা আপনার এই রিভিউ পোস্ট পড়ে আমি বুঝতে পারলাম। আমার কাছে পুরো কাহিনীটা অনেক ভালো লেগেছে। তবে শেষের মুহূর্তটা ছিল অনেক বেশি কষ্টের। নায়িকা শেষ পর্যন্ত মারা গিয়েছে এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। নাটকের শেষে এরকম কিছু হলে আর ভালো লাগেনা। যাইহোক অনেক সুন্দর ছিল পুরো কাহিনীটা।