বালকবেলার কিছু মজার খেলা
কপিরাইট ফ্রি ইমেজ সোর্স : pixabay
আজকে একটু অন্যরকমের লেখা নিয়ে হাজির হলুম । ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে অনেক মজার মজার খেলা খেলতুম । সেই খেলাগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে আমার । স্মৃতির কপাট খুলে বসে থাকি একটু নির্জন একাকী সময় পেলেই । আজকে আমার স্মৃতির মণিকোঠায় সযত্নে তুলে রাখা আমার সেই সব মণিমাণিক্য আপনাদের সাথে কিছুটা শেয়ার করতে চাইছি ।
আশা করছি খুব একটা খারাপ লাগবে না ।
ক্রিকেট : আমার সব চাইতে প্রিয় আউটডোর গেম । ছোটবেলায় কত যে ক্রিকেট খেলেছি তার ইয়ত্তা নেই । গ্রামে বর্ষাকালে ক্রিকেট খেলা অসম্ভব ছিল, তাও আমরা বারান্দায় খেলতাম । সব চাইতে বেশি খেলা হতো শীতকালে । বসন্তকালেও মোটামুটি ভালোই খেলা হতো । তবে গ্রীষ্মকালে রোদের তাপ না পড়া অব্দি খেলা শুরু করতে পারতুম না । পুজোর পরে বার্ষিক পরীক্ষার চাপ থাকতো তাই একটু কম খেলা হতো । এরপর দীপাবলির পর থেকে শুরু হতো খেলা । আমি স্পিন বোলিং পারতুম, লেগ স্পিন । তবে ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ রকমের খারাপ ছিলুম । যেদিন ১০ রান করতে পারতুম সেদিন নিজেকে শচীন-শেবাগ মনে করতুম ।
ফুটবল : একটু কম খেলা হতো আমাদের গাঁয়ে । ছেলেরা সবাই শচীনভক্ত । রোনাল্দোভক্ত শুধু বিশ্বকাপের সময় । তবু নিয়মিত এটাও খেলা হতো । ফুটবলের ব্লাডার প্রায়ই লিক করতো আমাদের, সল্যুশন দিয়ে লিক সরিয়ে তবে আবার কিক মারতুম । আমি ব্যাক এ খেলতুম । ফুটবল খেলা তেমন একটা প্রিয় ছিল না আমার কাছে । আমাদের ধ্যান জ্ঞান ছিল একমাত্র ক্রিকেটে ।
হকি : শীতকালে হকি খেলার প্রচলন ছিল আমাদের ছেলে-ছোকরাদের মধ্যে । অজ পাড়াগাঁ হকি স্টিক পাবো কোথায় ? তাই নিজেরাই খেঁজুরের ডাল কেটে তা দিয়ে হকি স্টিক তৈরী করে নিতাম । আর বল ? রাবার ডিউস । এগুলো দিয়েই মহা উৎসাহে হকি খেলতাম আমরা । নিয়ম ছিল কারো পায়ে আঘাত করলে সেই প্লেয়ারকে ওই খেলায় বসে যেতে হবে । এই নিয়মের ঠেলায় প্রায়ই দুই দলের অর্ধেক প্লেয়ার বসে যেত । আমি একবার ৩০ টা গোল দিয়েছিলুম । তার কারণ একমাত্র গোলকিপার ছাড়া বিপক্ষ দলের আর সব প্লেয়ার বসে গিয়েছিলো ।
ব্যাডমিন্টন : শীতকালে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল এই খেলাটি আমাদের মাঝে । ক্রিকেট খেলা শেষ করতুম সন্ধ্যের বেশ কিছুটা আগে ভাগেই, এর পরে শুরু হতো আমাদের ব্যাডমিন্টন খেলা । racket, feather (shuttle cock, net এ তিনটি কেনা হয়ে যেত পুজোর সময়েই । শীত পড়ার সাথে সাথেই কোট কাটা সারা । খেলা চলতো সন্ধ্যের বেশ কিছুটা আগে থেকে সন্ধ্যের বেশ খানিকটা পরেও । গা গরম করা খেলা ।
কাবাডি : আমাদের সময়ে ফ্রি হ্যান্ড গেমগুলোর মধ্যে সব চাইতে জনপ্রিয় ছিল এই খেলাটি । আমার মনে হয় এই গেমটি খেলেনি এমন কোনো ছেলে পাওয়া যাবে না আমাদের কমিউনিটিতে । গরমের অলস বিকেলে সন্ধ্যের আগে পুকুরপাড়ে একটি ছায়াময় স্থানে মাটি কিছুটা কুপিয়ে আমরা কাবাডির ছক কাটতাম । এ খেলা ছিল শক্তিমানদের । আমি বেশিক্ষন দম ধরে রাখতে পারতাম । তবে গায়ে কিছুটা পাতলা থাকার কারণে বিপক্ষের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়তাম মাঝে মাঝে । ভারতের অন্যতম জাতীয় খেলা এই কাবাডি, বাংলাদেশে যা হা-ডু-ডু নামে পরিচিত ।
মার্বেল : অসম্ভব প্রিয় একটি খেলা ছিল আমার । টিফিন টাইমে, সকাল বেলা, দুপুর বেলা, বিকেল বেলা, সন্ধ্যে বেলা - কোনো নির্দিষ্ট টাইম ছিল না এই খেলার । পকেটে সব সময় কাঁচের গুলি থাকতো । টাইম পেলেই মার্বেল খেলায় মেতে উঠতুম । অনেক অনেক মজার স্মৃতি আছে মার্বেল নিয়ে আমার । একদিন শেয়ার করবো ।
চোর-পুলিশ : পৃথিবীর প্রায় সব দেশের বাচ্চারা এখনো এই ফ্রি-হ্যান্ড এই গেমটি খেলে থাকে । দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলতে হয় । একদল চোর, আরেক দল পুলিশ । চোরেরা লুকিয়ে থাকে, পুলিশদের খুঁজে বের করে তাদের পাকড়াও করা । খুঁজে সহজে পাওয়া গেলেও ধরা কঠিন ছিল । ভীষণ দৌড়োদৌড়ি আর বুদ্ধির খেলা ছিল এটি । আমার ভীষণই প্রিয় ছিল ।
লুকোচুরি : এটিও সারা পৃথিবী জুড়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় খেলা । একজন হতো চোর । সে দৌড়ে একটি গাছের কাছে গিয়ে আমাদের পিছন ফিরে ১ থেকে ৩০ অব্দি জোরে জোরে গুনতে থাকতো, আর আমরা এই অবসরে লুকিয়ে পড়তাম । এরপরে চোরের কাজ ছিল লুকোনো ছেলেদের খুঁজে বের করা । কাউকে এক ঝলক দেখতে পেলেই চিৎকার করে তার নাম ধরে বলতো অমুক মার্ । ব্যাস তার লুকানোর দফা রফা । আর লুকোনো অবস্থাতে যদি কেউ চোরকে বুঝতে না দিয়ে পিছন থেকে ছুঁয়ে দিতো তবে সে সঙ্গে সঙ্গে আবার চোর হয়ে নতুন করে খেলা শুরু হতো । আর তা না হলে প্রথম যাকে দেখতে পেয়েছিলো সেই হতো পরেরবার চোর ।
রাম-শ্যাম-যদু-মধু : এটি একটি ইনডোর গেম ছিল । ১৬ খানা ছোট ছোট সমান মাপের কাগজের টুকরোয় ৪ টে করে কাগজে রাম, শ্যাম, যদু এবং মধু লেখা হতো । এর পরে এগুলো ভালো করে এলোমেলো করে চার জন প্লেয়ার এর মধ্যে না দেখে ডিস্ট্রিবিউট করা হতো । এক জন তার পাশের জনকে এক খানা কাগজ পাস করতে পারতো তার বদলে তার কাছ থেকে আরেক খানা নিয়ে । সবারই টার্গেট থাকতো কে আগে একই নামের চারখানা কাগজ মেলাতে পারে । যে পারতো তারই জিৎ ।
চোর-ডাকাত-পুলিশ : এটাও ছিল ভীষণই মজাদার আরেকটি ইনডোর গেম । চার খানা সমান মাপের কাগজের খন্ডে লেখা হতো পর্যায়ক্রমে "চোর ০০", "ডাকাত ৩০০", "পুলিশ ৫০০" এবং "দারোগা ৮০০" । এরপরে কাগজগুলি রোল করে এলোমেলো করে ছড়িয়ে দেওয়া হতো । প্রত্যেকে এক এক খানা কাগজ তুলে নিতো । যার ভাগ্যে দারোগা উঠতো সে ডাইরেক্ট ৮০০ পয়েন্টস পেয়ে যেত । এবং নিজেকে রিভিল করতো । এবার যার ভাগ্যে পুলিশ উঠতো তাকে নিজেকে পুলিশ ঘোষনা করে বাকি দুই জনের মধ্যে আন্দাজে এক জনকে চোর খুঁজে বের করতে হতো । যদি সাকসেস হতো তাহলে পুলিশ যে পেয়েছে সে ৫০০ পয়েন্টস, ডাকাত ৩০০ পয়েন্টস আর চোর শূন্য পয়েন্টস পেতো । আর যদি পুলিশ চোর ধরতে ব্যর্থ হতো তাহলে পুলিশ পেতো শূন্য পয়েন্টস এবং চোর পেতো পুলিশের পয়েন্টস, অর্থাৎ ৫০০ পয়েন্টস ।
লুডু : লুডুও খেলেছি ছেলেবেলায় বিস্তর । বাড়িতে জেঠতুতো-খুড়তুতো-পিসতুতো বোনেদের সাথে । স্কুলে বান্ধবীদের সাথে টিফিন পিরিয়ডে । পুকুরপাড়ে বিকেলবেলায় সমবয়সী মেয়েদের সাথে । তবে ছেলেদের সাথে এই বস্তুটি খেলা হয়নি কখনো । লুডু শুনেছি মেয়েদের খেলা । তাই তো জীবনেও ওদের সাথে পেরে উঠিনি । ছয় ফেলতে পারতাম না মোটেও । বহু কষ্টে যদি বা ছক্কা পড়তো আমার ঘুঁটি আবার খেয়ে ফেলতো বিপক্ষ । প্যাথেটিক ছিল লুডু খেলার অভিজ্ঞতা । আমার ধারণা মেয়েরা চিটিং করতো, কিন্তু, কৌশলটা কোনোদিনও ধরতে পারিনি ।
ক্যারম : অসম্ভব প্রিয় একটি ইনডোর গেম যেটা এখনো মাঝে মাঝে বাড়িতে খেলি । ছোটবেলায় নেশা ছিলো আমার এই ইনডোর গেমটি । আমার বাবার যৌবনকালের নেশা ছিল তিনটি গেম । তিনটেই মারাত্মক নেশা জাতীয় খেলা - তাস, দাবা আর ক্যারম । বাবার মতো অতো ভালো ক্যারম কোনোদিনও খেলতে পারিনি । এখনো সত্তর বছর বয়সে খেলতে বসলে আমরা গো হারান হেরে যাই ।
তাস : তাস খেলতাম সেই খুব ছোট্টবেলা থেকে । বললে বিশ্বাস করবেন না কিন্তু প্রথম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই তাস খেলা শিখেছিলাম । বাড়িতে ছিল অনেক তাসের প্যাকেট । আমার বাবার ছিল তাসের নেশা । আমার মাত্রারিক্ত তাসের প্রতি আসক্তি দেখে বাবা এই নেশাটি নাকি কাটিয়ে ফেলেছিলো । বড় হয়ে আর কোনোদিনও তাই বাবাকে তাস খেলতে দেখিনি, আমারও তাসের নেশা কেটে গিয়েছিলো ।
দাবা : দাবা আমার রক্তে । কারণ আমার বাবা । অসম্ভব পাকা খেলোয়াড় তিনি । আমিও খুব ছোট্টবেলা থেকে তুখোড় দাবা প্লেয়ার হয়ে উঠেছিলাম । ক্লাস টু তে পড়ার সময়েই ৩০-৪০ বছরের পাকা মাথার দাবা প্লেয়ারদের ধরাশায়ী করেছি । এই একটি মাত্র খেলা যেটা আমি বা আমার বাবা কেউ জীবনেও কাটিয়ে উঠতে পারিনি । আমি এখন কম্পিউটার-এ খেলি । রেকর্ড ধরে রেখেছি, কম্পিউটার পারে না । বিশেষ চেস সফটওয়্যার ছাড়া আমাকে হারানো অসম্ভব । এলেবেলে কম্পিউটার চেস গেমে সব সময়ই জিতি ।
god bless you
পুরাই মিলে গেল খেলাগুলার নাম। আরো কিছু নব্য আবিষ্কৃত খেলা আবিস্কার করতাম কোন আত্তীয়ের বাড়ি গেলে।
আমরা হকি খেলতাম নারকেলের ডালের মাথা দিয়ে। খুব নস্টালজিক হয়ে গেলাম। মার্বেল তাস, ঘরের চাল বিক্রি করে ক্যারম কিনা। কত স্মৃতি!! এখনকার ছেলেরা আছে মোবাইল নিয়ে। এরা এসব সপ্নেও পাবেনা। আমাদের শৈশব সেরা।
blessing toyou
বাহ! বেশ দারুণ পটু ছিলেন সব খেলায় আপনি। তবে আমি তাস, কাবাডি, হকি বাদে বাকি সবগুলোতে দুর্দান্ত ছিলাম। ঢাকায় জাতীয় কিশোর লীগে ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়েছি, ক্রিকেটে দারুণ ফাস্ট বোলার ছিলাম, ক্যারাম এ আমার ধারে কাছে কেউ আসতে পারতো না, সুজি ছাড়া ক্যারাম খেলায় উস্তাদ ছিলাম আমি। বাকিগুলোর স্মৃতি এখনো মাঝে মাঝে ঝড় তুলে হৃদয়ে হে হে হে।
আপনার বালক বেলার কিছু মজার খেলা পোষ্টটি পড়ে আমার বেশ কিছু সৃতি মনে পড়ে গল। আপনি যেগুলো উল্লেখ করেছেন এরমধ্যে **চোর-ডাকাত পুলিশ" খেলাটি আমার প্রিয় ছিল। আরো একটি প্রিয় খেলা ছিল আমার, অবশ্য আপনার এখানে তার উল্লেখ নাই। সেটি হচ্চে গ্রামরে সব থেকে জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
আছে তো কাবাডি ব্যাডমিন্টনের পরে টি।
পুরোটা খুঁটিয়ে পড়ুন পেয়ে যাবেন যা খুঁজছেন -
ধন্যবাদ দাদ, আমার জনা ছিল না।
দাদা আপনি দেখছি অনেকগুলো খেলায় পারদর্শী সব খেলা সম্বন্ধে আপনার অনেকটা ধারণা আছে। আপনার আজকের বালকবেলার কিছু মজার খেলা পোস্টটি পড়তে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আমার মত সবাই তাদের বাল্য জীবনে ফিরে গিয়েছে এতটুকু বলতে পারি। দাদা আপনি অনেকগুলো খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। তারমধ্যে মার্বেল খেলা ও চোর পুলিশ খেলা এই দুটোর কথা আমার বেশি করে মনে পড়লো। আমাদের এখানে প্রতি বছর দুর্গাপূজায় অনেক বড় মেলা হতো এখনো হয়। আমি মেলা থেকে একাধিক পিস্তল কিনে আনতাম পরবর্তী দুর্গাপূজা পর্যন্ত যেন অনায়াসেই চোর-পুলিশ খেলতে পারি। চোর-পুলিশ খেলতে গিয়ে অনেক সময় দুপুরে খাওয়া হয়নি তার জন্য বাসায় কত মার খেয়েছি। ধন্যবাদ দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো স্মৃতি গুলো একটু ফিরে দেখার সুযোগ পেলাম।
দাদা আপনার মত আমারও ক্রিকেট খেলা খুবই পছন্দের ছিল। আমি ক্রিকেট খেলায় বেশিরভাগ কিপার থাকতাম। কারণ আমি খুব ভালো ক্যাচ ধরতে জানি। আর রেকেট খেলা টার কথা কি বলব অর্থাৎ ব্যাডমিন্টন খেলা। আমাদের গ্রামে আমরা দুইভাই প্রথম রকেট কিনেছিলাম, এর আগে কোনদিন কাউকে খেলতে দেখিনাই, আপনার স্মৃতিগুলো যে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, তা পড়তে পেরে খুবই খুশি হয়েছি আমি।
দাদা, ১৪ টি খেলার বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন ভাবতে আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে। এতগুলো খেলাতে আপনি অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেই খেলার আনন্দ ও মজা উপভোগ করেছিলেন। সত্যিই খেলা গুলো অনেক অনেক চমৎকার। এতগুলো খেলার পারদর্শী ছিলেন বলেই আজ আপনি আমাদের বড় দাদা। সকল ক্ষেত্রেই আপনার বিস্তর বিচরণ বলেই আজ আপনি আমাদের মাথার মুকুট হয়ে আছেন। আপনার বালকবেলার মজার খেলা দেখে আমারও সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তবে আমি এতগুলো খেলায় কখনো অংশগ্রহণ করি নি। তবে আমার কাছে দাবা ও ক্যারম খেলা খুবই পছন্দের ছিল। আর এই দুটো খেলায় আমাকে কেউ কখনো হারাতে পারেনি। আর মাঝে মাঝে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতাম। দাদা আপনার বালকবেলার খেলা গুলো দেখে এবং সেই খেলাগুলোর সুন্দর বর্ণনা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খেলার নামগুলো আর বিস্তারিত পড়ার সময় বার বার ছোটবেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম। লুডু, ক্যারাম, লুকোচুরি, চোর-ডাকাত-পুলিশ,তাস। আমরা অবশ্য তাস খেলতাম না। কাগজে 5,10,15...100 লিখে খেলতাম। খেলতে খেলতে খাতা শেষ হয়ে যেত, কিন্তু খেলা শেষ হতে না। এই খেলাটা চারজন মিলে খেলতে হয়। আর আমরা চার বোন মিলে খুব খেলতাম।
না পারলে তো একটা অজুহাত দেখাতেই হয়। এই খেলাটা এখনো শশুর বাড়িতে গেলে খেলি। হাসবেন্ড, ননদ, ভাতিজা, মামী মিলে। ভালোই লাগে।
দাদা খুব ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আপনি আমার সাথে শেয়ার করেছেন। ছোটবেলার ওই সময়টা সকলেরই স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে।
এই খেলাটি ব্যতীত আমি বাকি সবগুলোই গেম একবার হলেও খেলেছি।