মিনিয়েচার মডেল "সপ্তমাশ্চর্য ভ্রমণ", ইকো পার্কে : সপ্তম আশ্চর্য "চীনের মহাপ্রাচীর"

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

চীনের মহাপ্রাচীর । এক অদ্ভুত কীর্তি, এক অপার রহস্যময় প্রাচীর, মানুষের হাতে গড়া এ যাবত কালের মধ্যে সর্ব বৃহৎ স্থাপত্য এটি । চীনা ভাষায় "ছাং ছং" মানে, বিশাল লম্বা দেওয়াল । খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল । ভাবতেই অবাক লাগে এই দীর্ঘ ২৭০০ বছরেও বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে এই সুবিশাল প্রাচীর । খুবই প্রাচীন এবং বিখ্যাত এক রাজবংশ "মিং" । এই "মিং" সাম্রাজ্যের সময়কালেই নির্মিত হয়েছিল সুবিখ্যাত এই প্রাচীর । ইতিহাস গবেষকদের মতে চীনের প্রথম সম্রাট "কিন শি হুয়াঙের" আমলে এই প্রাচীরের শতকরা আশি শতাংশই নির্মাণ করা হয় । মূলত বহিঃ শত্রুর (প্রধানতঃ মোঙ্গলীয় দস্যু) আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে চীনের উত্তরে এই মহাপ্রাচীরের পরিকল্পনা করা হয় ।

চীনের মহাপ্রাচীর দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৭০০ কিলোমিটার, প্রাচীরের গড় উচ্চতা ১৫ থেকে ৩০ ফিট এবং চওড়ায় প্রায় ৩২ ফিট । প্রতি ১ কিলোমিটার অন্তর অন্তর প্রহরা চৌকি এবং প্রতি দশ কিলোমিটার অন্তর অন্তর সেনা চৌকি রয়েছে দেয়ালটিতে । একটা অদ্ভুত মজার বিষয় হলো এই প্রাচীর তৈরিতে ব্যবহৃত মশলা - পাথর, পাথরের টুকরো, কাঠ, কাঁচ, লোহা, ইঁট এবং আঠা ও আঠালো ভাতের মাড় এবং আটা । খুবই অদ্ভুত, তাই না ?

কথিত আছে চাঁদ থেকেও পৃথিবীর একমাত্র খালিচোখে দর্শনীয় স্থাপত্য হলো এই চীনের মহাপ্রাচীর । যদিও এর কোনো সত্যতা নেই । তবে, চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সব চাইতে বড় কবরস্থান বলা হয়ে থাকে এটি সত্য । কারণ এই প্রাচীর নির্মাণকালে মোট দশ লক্ষের মতো শ্রমিক ও সৈন্য মারা যায় ।

আমাদের কলকাতায় অতি ক্ষুদ্র একটি মিনিয়েচার অংশ রয়েছে এই চীনের প্রাচীরের । তো চলুন দেখে নেয়া যাক আমাদের ইকো পার্কের "চীনের প্রাচীর" -এর রেপ্লিকা ।


চীনের মহাপ্রাচীর বেয়ে উপরে ওঠা শুরু করেছি আমরা ।

তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


চীনের প্রাচীরের একেবারে শীর্ষ ওয়াচ টাওয়ারে এখন আমরা

তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


চীনের প্রাচীরের শীর্ষে ওয়াচ টাওয়ারের এক গবাক্ষে তনুজা উঁকি মারছে

তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


চীনের প্রাচীর বেয়ে এখন আমাদের নিচে নামার পালা

তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


চীনের প্রাচীর এর ওয়াচ টাওয়ার থেকে অনিন্দ্যসুন্দর তাজমহল এবং পেত্রা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ।

তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


চীনের প্রাচীর এর সামনে তনুজা ও টিনটিন

তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Sort:  
 3 years ago 

আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। আসলে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আপনি আপনার পরিবারের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। তাজমহলের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের সকলের মাঝে উপহার দিয়েছেন এবং আমাদের সকলকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 3 years ago 

একটা অদ্ভুত মজার বিষয় হলো এই প্রাচীর তৈরিতে ব্যবহৃত মশলা - পাথর, পাথরের টুকরো, কাঠ, কাঁচ, লোহা, ইঁট এবং আঠা ও আঠালো ভাতের মাড় এবং আটা । খুবই অদ্ভুত, তাই না ?
কথিত আছে চাঁদ থেকেও পৃথিবীর একমাত্র খালিচোখে দর্শনীয় স্থাপত্য হলো এই চীনের মহাপ্রাচীর । যদিও এর কোনো সত্যতা নেই । তবে, চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সব চাইতে বড় কবরস্থান বলা হয়ে থাকে এটি সত্য । কারণ এই প্রাচীর নির্মাণকালে মোট দশ লক্ষের মতো শ্রমিক ও সৈন্য মারা যায় ।

বর্ননাগুলো বরাবরই দারুন যা আমার কাছে খুব ভাল লাগে। চাঁদ থেকে দেখা যাওয়ার ব্যাপারটি ছোট বেলায় শুনেছি কিন্তু বর্তমানে কিছু ভিডিও দেখে বুঝেছি এটা একটা গুজব।

২৭০০ কিলোমিটার টিকে আছে ২৭০০ বছর ধরে। কি চমৎকার এই প্রাচীর।

 3 years ago 

বাহ,রাতের দৃশ্যগুলি সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর লাগে আমার কাছে।বৌদিকে বেশ দেখতে লাগছে।দাদা আপনার ফটোগ্রাফি মানেই দুর্দান্ত, আর চিনার আদলে তৈরি আমার সকল জিনিসই পছন্দ।কারণ আলাদা গঠন ও আকৃতি খুঁজে পাওয়া যায় তাদের কারুকার্যে।প্রত্যেকটি জায়গার অংশগুলি দেখার মত ছিল ও বেশ আকর্ষণীয়।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

চীনের মহাপ্রাচীর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহ আপনার নিপুণ হাতের স্বচ্ছ ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে পরিবারের সাথে নিবিড় ভাবে সময় দেয়ার জন্য শুভকামনা রইল।।

 3 years ago 

এই ইকোপার্ক সম্পর্কে যতই দেখছি ততই আশ্চর্য হচ্ছি। বিখ‍্যাত সব স্থাপত‍্যের সুন্দর সিকুয়েল তৈরি করে রেখে দিয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা। এই সুন্দর নিদর্শন গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

কারণ এই প্রাচীর নির্মাণকালে মোট দশ লক্ষের মতো শ্রমিক ও সৈন্য মারা যায় ।

এটা অজানা ছিল। আজ আপনার পোস্ট থেকে জানলাম।

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি আপনার দেওয়া ইনফরমেশন গুলোও খুব কাজের। আপনার অনেক গুলো পোস্ট আমি পড়েছি। এবং এমন কিছু কিছু অজানা তথ্য জানতে পেরেছি যেগুলো আগে অজানা ছিল। আশা করছি ঠিক এইভাবে আপনি আমাদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে থাকবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

প্রথমে ছবি দেখে ভেবেছিলাম এটা চীনেই। পরে লেখা পড়ে দেখলাম কলকাতায়। অবাক হয়ে গেলাম। কি সুন্দর ভাবে বানিয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এখানে। যারা বানিয়েছেন তারা সত্যি প্রশংসার দাবীদার।

 3 years ago 

চীনের মহাপ্রাচীরের গল্প এর আগেও অনেক শুনেছি। বিশাল এই কর্মযজ্ঞের পেছনে কত মানুষের যে অবদান রয়েছে সেটা ভাবলে অবাক লাগে সত্যি। তোমার সাথে ইকো পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়ে নিত্যনতুন বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানছি দাদা। খুব ভালো লাগছে সত্যি। লাইটিং এর সাথে ছবি গুলো খুব চমৎকার লাগছে এক কথায়।

 3 years ago 

বেশ অজানা কিছু তথ্য জানলাম । বিশেষ করে এ দেয়াল তৈরিতে যে উপাদানগুলো ব্যবহৃত হয়েছে এইটা ভাবতেই। অবাক লাগছে যে, আজ এই আধুনিক যুগে এত দামী দামী উপাদান দিয়েও কত অবকাঠামো গড়ে ওঠে , সেগুলো টিকছেনা ভূমিকম্পে নতুবা অন্য কিছুতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তবে সেই প্রাচীন আমলের উপাদানে তৈরি প্রাচীর এখনো টিকে আছে যুগের পর যুগ। আসলেই ব্যাপারটা বেশ অবাক করার মত । আরও জেনে খুশি হলাম এর পিছনের আরো অজানা কিছু তথ্য জেনে । ধন্যবাদ বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য ভাই ।

 3 years ago 

তবে, চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সব চাইতে বড় কবরস্থান বলা হয়ে থাকে এটি সত্য । কারণ এই প্রাচীর নির্মাণকালে মোট দশ লক্ষের মতো শ্রমিক ও সৈন্য মারা যায় ।

খুবই অবাক করার বিষয় এটি। এতো মানুষ মারা গেল এটা তৈরি করতে! সবথেকে বড় কবরস্থান বলা হয় এটা তো জানা ছিল না দাদা। আজকে জানতে পারলাম।