আলোকচিত্র : তুচ্ছ বস্তুর সৌন্দর্য
আজকের এই ফোটোগ্রাফি পোস্টটি একদমই ইউনিক । ইউনিক বলছি এ কারণে যে এই ফোটোগ্রাফি পোস্টটার পুরোটা জুড়েই রয়েছে গাছের মরা ডালপালা, পাতা, বাকল এইসব অতি তুচ্ছ বস্তুর ফোটোগ্রাফ । আমরা কখনোই এই সকল অতি তুচ্ছ জিনিসের ছবি কখনই তুলি না । ভাবি যে এই সব অতি তুচ্ছ জিনিসের আবার সৌন্দর্য্য কোথায় যে এদের ফোটো তুলতে হবে !
আমাদের এই ভাবনাটি আসলেই একটা মস্ত ভুল । সৃষ্টিকর্তার এই অপরূপ দুনিয়ার কোনো বস্তুই সৌন্দর্য্যহীন নয় । সকল বস্তুতেই অন্তর্নিহিত রয়েছে অপার সৌন্দর্যের আধার । তার জন্য দেখার চোখ চাই । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কবিতাটি তো আমাদের সকলেরই জানা । সেই যে কবিতায় রয়েছে - আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, সমগ্র বিশ্ব পরিভ্রমণে বের হই, অথচ বাড়ির থেকে দু'পা হাঁটলেই একটা ধানের শীষের উপর এক বিন্দু শিশিরের সূর্যালোকে এক খন্ড হীরার মতো যে দ্যুতিময় দেখায় সেটা মিস করে যাই -
বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
দেখেতি গিয়াছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শিষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।
------------------------শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই জন্যই বলি এই বিশ্বে অতি ক্ষুদ্র, অতি তুচ্ছ জিনিসের মাঝেও রয়েছে সৌন্দর্য অপার । সেই সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে হলে দেখার চোখ চাই ।
একটি আম গাছের পত্রবিহীন মরা ডাল
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ২০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কাঠ গোলাপ গাছের অর্ধ শুষ্ক পাতা
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি কাঠ গোলাপ গাছের শুষ্ক পাতাসহ ছোট্ট একটি ডাল
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দু'টি অশ্বত্থ পাতা । একটি শুষ্ক, আরেকটি তাজা ।
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি অশ্বত্থ পাতা । শুষ্ক ।
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি অশ্বত্থ পাতা । সবুজ এবং তাজা ।
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শিমুল গাছের মরা বাকল ।
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কাঠগোলাপ গাছের গুঁড়ির গোড়ার দিকের অংশ । মরা গাছের বাকল ফেটে ফুটিফাটা, চৌচির । কি সুন্দর একটা টেক্সচার !
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অশ্বত্থ গাছের একটুকরো মরা ছিন্ন ছাল-বাকল ।
তারিখ : ২৩ জুন ২০১৮
সময় : দুপুর ৩ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ৩০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৩য় দিন (300 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 03)
সময়সীমা : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাস্ক ৫৯ : ৩০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৩০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 74c1126a72480c804bd5455c14e8000c222de4504d26e936a1a7c9c870be806b
টাস্ক ৫৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
RME, Thank You for sharing Your insights...
god bless you
একদম সত্যি কথা দাদা যে কোন জিনিসের সৌন্দর্য দেখার জন্য সুন্দর চোখ থাকা দরকার। আপনার সুন্দর একটি মন এবং চোখ আছে জন্যই মরা গাছের ডাল পাতার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন । সামান্য একটি জিনিসের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় তা একমাত্র একজন দক্ষ ফটোগ্রাফারই পারে। আপনার ফটোগ্রাফির হাত বরাবরই অনেক ভালো। আজকের ফটোগ্রাফিগুলো ও চমৎকার হয়েছে।
Thank You for sharing...
কাঠগোলাপ গাছের গুঁড়ির ছবি গুলো খুব অ্যস্থেটিক। ছবি গুলো অদ্ভুত ভাবে রং বদলাতে শুরু করলো। সেটাই আরো বেশি সুন্দর লাগছে।
ঈশ্বর আমাদের ছোট্ট দুটি চোখ দিয়েছে এই বিশাল আকাশ ধরে রাখার জন্য। ঈশ্বরের প্রতিটি সৃষ্টির মাঝেই লুকিয়ে আছে অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য। আর এই অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য আমরা যে শুধু চোখ দিয়ে দেখতে পারি তা নয়, চোখ বন্ধ করেও দেখতে পারি। প্রতিটি বস্তুরই এই আলাদা আলাদা গুণ এবং সৌন্দর্য রয়েছে। সেই সৌন্দর্যটাকে নিজের মনে ধারণ করতে হবে। দাদা আপনার নিত্যনতুন পোস্ট থেকে আমরা আমাদের জ্ঞানের পরিধি বিস্তার করছি।
Thank You for sharing...
অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবি আঁকা বা অ্যাবস্ট্রাক্ট ফটোগ্রাফি বেশ শক্ত কাজ, আলো ছায়ার খেলা, ফোটোগ্রাফার বা পেইন্টারের দৃষ্টি ভঙ্গি এগুলো ভীষণ ভাবে কাজ করে।কাঠগোলাপের গুঁড়ি আর অশ্বত্থ পাতা এই দুটি সবচেয়ে বেশী দৃষ্টি আকর্ষণ করল আমাকে। ধন্যবাদ দাদা।
আমরা যদি চোখ খুলে সত্যি সত্যি সবকিছু মন দিয়ে দেখি সৃষ্টির প্রত্যেকটা জিনিসই অত্যন্ত সুন্দর। শুধু আমাদের ধ্যান দেওয়ার অভাব সেই জন্য আমরা এই সৌন্দর্য দেখতে পায় না। দাদা, তুমি সেইসব তুচ্ছ বস্তুর অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলে । আমরা যখনই তুচ্ছ বস্তুর মাঝেও সৌন্দর্য দেখতে পাবো আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশ ভ্রমনে গিয়ে কৃত্রিম সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালো লাগবে না।
Thank You for sharing...
জী দাদা আপনি ঠি বলেছেন সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টিই অসুন্দর নয়। প্রত্যেকটি জিনিষের তার নিজস্ব সুন্দর্য আছে,আবার প্রত্যেকটি জিনিষ মানুষের কল্যানের জন্যেই তৈরী করা হয়েছে। আপনি আজকে খুব খুদ্র একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। যা সচারাচর কারো চোখে পড়ে না। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আমি মনে করি সৌন্দর্য হচ্ছে দর্শকের চোখে।আপনার দেখার চোখ ভাল তাই আপনি এগুলোর মধ্যেও সৌন্দর্য খুজে পেয়েছেন।আসলেই এমন অনেল জিনিস আছে যা হেলায় পরে থাকে কিন্তু ভালভাবে খেয়াল করলে বোঝা যায় কত সুন্দর।ধন্যবাদ দাদা আমাদের এই সৌন্দর্য দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
Thank You for sharing...
একেকটা পাতা সৌন্দর্য একেক রকম। দাদা আপনি পাতা সৌন্দর্য টা চোখে দেখে উপলব্ধি করছেন। হয়ত অন্য কারো চোখে ধরা পড়ে নি।আপনি যে ছবি তুলছেন পাতাগুলো সৌন্দর্য আরো বেড়ে গেছে।
Thank You for sharing...