বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে নতুন একটি জায়গায় খেতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। তোমরা সবাই জানো যে আমি মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে থাকি। তারপর সেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় খাবার টেস্ট করার মধ্যে একটা আলাদা মজা রয়েছে। নতুন নতুন টেস্টের সন্ধান পাওয়া যায়। আর এই কাজটা বিগত কয়েক বছর ধরেই করে আসছি।

মাঝে মাঝেই সন্ধ্যার সময় বন্ধু-বান্ধব অথবা কাছের কোন মানুষকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি এরকম কোন নতুন জায়গার সন্ধানে। নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে খাবার খেতে একটা ভালো লাগে বোরিং ফিল হয় না। আগে বন্ধুবান্ধবের সাথে বেশি যাওয়া হলেও এখন মাঝে মাঝে আমি আর দাদা বেরিয়ে পড়ি নতুন কোন জায়গায় গিয়ে চা এবং টুকটাক খাবার খাওয়ার জন্য।আসলে সন্ধ্যার সময় আমরা দুজনে বের হই। আজ সন্ধ্যার সময় আমি এবং দাদা বেরিয়েছিলাম তবে কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বের হইনি। আমরা দুজনে ঘোরাঘুরি করার এক পর্যায়ে নতুন একটি ক্যাফের সন্ধান পাই। আসলে এটি ক্যাফের মত হলেও এটি একটি রেস্টুরেন্ট সেরকমটাই লেখা ছিল। খোলামেলা বিশাল একটা জায়গা নিয়ে এই রেস্টুরেন্টটি ছিলো।

রেস্টুরেন্টটির এক সাইডে ফাঁকা অংশ ছিল যেখানে খোলা চেয়ার গুলো বসানো ছিল এবং অন্য আর একটা অংশের সুন্দর চেয়ার দিয়ে উপরে সেড দেওয়া ছিল এবং এই রেস্টুরেন্টের একটা অংশে ব্যাডমিন্টন খেলার জায়গা হয়েছিল এই বিষয়টা আমার কাছে বেশি ইউনিক লাগলো। যাইহোক,এখানে আমি আর দাদা গেছিলাম একটু চা খাওয়ার জন্য। এখন যেহেতু ঠান্ডা পড়ে গেছে তাই বাইরে গিয়ে একটু চা খেতে পারলেও ভালো লাগে। সেই সাথে হালকা পাতলা খাবারও খাওয়া যেতে পারে। হালকা পাতলা খাবারের মধ্যে ভাজা পোড়া অন্যতম।সে ক্ষেত্রে চিকেন পাকোড়া ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অথবা ভেজ অন্য যেকোন ফ্রাইও হতে পারে। যাইহোক, এখানে আমি গিয়ে আমাদের জন্য দুই কাপ চা অর্ডার করেছিলাম। তারপর দাদার চিকেন খেতে ইচ্ছে করছিল তাই তার জন্য সে চিকেন অর্ডার করেছিল। তবে আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে টুকটাকে একটু ভাজাপোড়া খেয়েছিলাম সেই জন্য আর বাইরে গিয়ে অন্য কোন খাবার খাইনি চা বাদে। সেখানে গিয়ে খেতে খেতে আমরা কিছু সময় গল্প করি। ওভারঅল রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আমার বেশ ভালই লেগেছিল। তারপর সেখানে কিছু সময় থাকার পর বাড়ির উদ্দেশ্য আমার রওনা করি।

---

◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾

শ্রেণী	লাইফ স্টাইল
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ভিডিওগ্রাফার	@ronggin
লোকেশন	মধ্যমগ্রাম, নর্থ চব্বিশ পরগনা,পশ্চিমবঙ্গ।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷