রাসের মেলায় ঘুরতে যাওয়া
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে আমি রাসের মেলায় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে প্রত্যেক বছরই আমাদের মধ্যমগ্রামে রাসের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে শীতের শুরুতেই। বেশ কয়েকদিন ধরে চলে এই রাসের মেলা। আমি প্রত্যেক বছর মেলায় দুই থেকে তিন দিন গিয়ে থাকি। মধ্যমগ্রাম স্টেশনের পাশে ছোট্ট একটি মাঠের মতো জায়গা রয়েছে। সেই জায়গাটা জুড়ে এই রাসের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে শুধু মাঠের অংশে না আশেপাশের যত রাস্তা গলি রয়েছে সব জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে। এই মেলাটা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্রতিবছরই এখানে মেলায় ঘুরাঘুরি করা টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করা হয়ে থাকে এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এবার রসের মেলায় আমি এবং আমার দাদা গেছিলাম। সন্ধ্যার দিকে দুইজনে হঠাৎ করে প্ল্যান করি রাসের মেলায় যাব। যেহেতু অন্যান্য দিন সেভাবে সময় হয়ে উঠছিল না তাই রাসের মেলায় যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন যা হয়নি। যাইহোক,আজকে যখন গেছিলাম মেলাতে ভালই ভিড় ছিল। আমরা মেলার এই পাশ ওই পাশ ঘুরাঘুরি করি।রাসের মেলাতে বেশিরভাগ দেখলাম ঘর সাজানোর জিনিস মেয়েদের কসমেটিক এই সবই দেখলাম বেশি এসেছে। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন খেলার আয়োজনও দেখতে পেয়েছিলাম এই মেলাতে। আসলে ছেলেদের জন্য বিশেষ কিছু এই মেলাতে আমি দেখতে পাইনি। অধিকাংশই বাচ্চা এবং মেয়েদেরকে এট্রাক্ট করার জন্য জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিল এখানকার দোকানদাররা। তবে যে খাবারের দোকানগুলো ছিল সেগুলো সবার জন্যই কমন ছিল। এখানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার তারপর অন্যান্য রেস্টুরেন্টে যে খাবারগুলো পাওয়া যায় তারও অনেক আয়োজন দেখতেও পেয়েছিলাম।
এই মেলাতে আমি এবং দাদা গিয়ে প্রথমে মোমো খাই। পাঁচটা মোমো ২ প্লেট ছিল ৫০ টাকা করে নিয়েছিল। তবে মোমো গুলো একটু ছোট ছোট সাইজের ছিল। সাইজ হিসেবে দাম একটু বেশি নিয়েছিল। তবে মেলাতে এরকম সাধারণত হয়ে থাকে। মোমো খাওয়া শেষ করে আমরা পটেটো ফ্রাই খাওয়ার জন্য যাই। আসলে এই পটেটো ফ্রাই ব্যাপারটা বেশ কিছুদিন ধরে ট্রেনিং এ চলছে আমাদের এইখানে। সেটাও এক পিস পটেটো ফ্রাই ৫০ টাকা করে নিয়েছিলাম। মেলায় ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে আমরা জিলিপি কেনার জন্য যাই। আসলে মেলাতে গিয়ে জিলিপি না কিনে নিয়ে আসলে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম দেখায়। আমরা সেখানে আড়াইশো গ্রামের মতো জিলিপি কিনে খাই এবং আড়াইশো গ্রামের মতো কিনে রাখি বাড়ি আনার জন্য। এরপর কিছু বাদাম এবং পাঁপড় কিনে অবশেষে মেলায় আরেকটু ঘোরাঘুরি করে আমরা বাড়িতে চলে আসি। আসলে মেলায় ছেলেদের জন্য সেরকম কোন ব্যাপার থাকে না।তাই টুকটাক ঘোরাঘুরি টুকটাক খাওয়া দাওয়া এই করে মেলায় ঘোরাঘুরি সম্পন্ন করতে হয় আমাদের।
◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ভিডিওগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম, নর্থ চব্বিশ পরগনা,পশ্চিমবঙ্গ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি কখনো রাসের মেলায় যায়নি তবে হ্যাঁ, একবার মধ্যমগ্রামে লক্ষ্মীপূজার মেলাতে গিয়েছিলাম।রাতে অলিগলি দিয়ে গিয়েছিলাম তাই মধ্যমগ্রামের ঠিক কোথায় জানি না,যাইহোক দাদা আশা করি দারুণ খাওয়া দাওয়া করেছো।☺️☺️কারন মেলা মানেই মেয়েদের জিনিস দিয়ে ঠাসা ছেলেরা শুধুই খাবে।আমি তো জিলিপি খেতে খুবই ভালোবাসি,ধন্যবাদ তোমাকে।
রাসের মেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখছি খুব ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মেলায় যেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনি এবং আপনার দাদা গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। তবে মেলায় গেলে কোনো কিছু না খেলে ভালো লাগে না। দাম বেশি হলেও খাওয়া লাগে। না হলে যে ঘুরাঘুরিটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে শেয়ার করলাম দেখেই ভালো লেগেছে।
ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি মেলায় গিয়ে। মেলায় গেলে অনেক ভালো সময় কাটানো যায়। আর মেলায় গেলে কোনো কিছু না খেলে তো আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনা। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন তাহলে। অনেক সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে মুহূর্তটি। ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই ভাই মেলায় গেলে বাচ্চা এবং মেয়েদের জিনিসপত্র বেশি দেখা যায়। যাইহোক রাসের মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন আপনি এবং আপনার দাদা। ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি বেশ মজার মজার খাবারও খেয়েছেন তাহলে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।