বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (পঞ্চম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমি নামাজ পড়তে মসজিদে গেলেও আমার সাথের বন্ধুরা সবাই মনে হয় রুমেই ছিলো। যদিও পরবর্তীতে সেটা জিজ্ঞেস করা হয়নি। কিন্তু বন্ধু ফেরদৌস আমার কিছুক্ষণ পরে মসজিদে এসেছিল নামাজ পড়ার জন্য।নামাজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর এই দিকে পেটে ক্ষুধার প্রচন্ড উপস্থিতি টের পাচ্ছিলাম। শুধু মনে হচ্ছিলো কখন নামাজ শেষ হবে আর গিয়ে খেতে বসবো। যাই হোক শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পরে নামাজ শেষ হলে আমি মসজিদ থেকে বের হয়েই ফেরদৌসকে ফোন দিলাম। ফোন দেয়ার আগে আমি ফেরদৌসকে দেখেছিলাম সামনের দিকে যেতে। যার ফলে তাকে আমি কিছুটা পেছনে আসতে বললাম। মসজিদের ঠিক পাশেই একটা রেস্টুরেন্ট ছিলো। আমি চিন্তা করলাম সেখান থেকেই খাওয়া-দাওয়া টা সেরে নেই। ফেরদৌস আসার পরে আমরা খাবার অর্ডার করার আগে বাকি দুই বন্ধুকে ফোন দিয়ে সেখানে আসতে বললাম।

1000001227.jpg

তারা আসার পর তাদের জন্য খাবার অর্ডার দেয়া হলো। খাবার অর্ডার করে বসে আছি কিন্তু খাবার আসার কোনো নাম গন্ধ নেই। এদিকে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। ততক্ষণে দীর্ঘক্ষণ দেরি হতে দেখে আমি ওয়েইটারকে ডেকে একটু তাড়া দিলাম। কারণ আমরা যে আইটেমগুলো অর্ডার করেছিলাম সবগুলোই রান্না করা থাকার কথা। রান্না করা খাবার পরিবেশন করতে এতটা দেরি হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ পরে আমাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো। তবে খাবার দিতে দেরি হলেও খাবারের টেস্ট বেশ ভাল ছিলো। তবে খাওয়ার ভিতরে ঘটলো একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হঠাৎ করে দেখি ফেরদৌস কেমন যেন করছে। তাকে জিজ্ঞেস করতে সে বলল মাথা ঘুরাচ্ছে। শুনে আমরা তাকে খাবার বন্ধ করার পরামর্শ দিলাম। সেই সাথে বললাম প্লেটে থাকা লেবুগুলো খেতে থাকো।


1000001226.jpg

এদিকে ফেরদৌসের অবস্থা দেখে আমরা দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেললাম। তারপর বন্ধুর রাফসান আর রাসেল ফেরদৌসকে সাথে করে রুমে নিয়ে গেলো। ফেরদৌসের জন্য কিছুটা দুশ্চিন্তা হতে লাগলো। চিন্তা করতে লাগলাম কি হতে পারে? পরবর্তীতে মনে হল দীর্ঘ জার্নির ক্লান্তি সেইসাথে পানি কম খাওয়া সবকিছু মিলিয়ে হয়তো ডিহাইড্রেশন হয়েছে। রুমে ফিরে ফেরদৌসকে বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিলাম। এরভিতর খেয়াল করে দেখি বন্ধু রাফসান রুমে ফেরার সময় এসএমসির এনার্জি ড্রিংক সাথে করে নিয়ে এসেছে। আমি অবশ্য ফেরদৌসকে সেটা খাওয়ানোর পক্ষপাতি ছিলাম না। কারণ এই এনার্জি ড্রিংকগুলো আপনার ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দিতে পারে। অবশ্য আমি নিষেধ করার আগেই ফেরদৌস একটা খেয়ে ফেলেছিলো। যাইহোক সবাই মিলে রুমে ফিরে রেস্ট নিতে লাগলাম।


1000001228.jpg

আমি চিন্তা করলাম কেবল ভর পেট খেয়ে এসেছি। এখনই সমুদ্রে যাওয়া যাবেনা। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই তারপর যাবো। এর ভেতরে আমি হালকা একটা ঘুমও দিয়ে দিলাম। তবে ঘুম থেকে উঠে দেখি বেলা বাজে সাড়ে তিনটার উপরে। আমি খেয়াল করে দেখি সবাই ঘুমাচ্ছে। শুধু বন্ধু রাসেল জেগে ছিলো। আমি যখন রাসেল কে বললাম চল সমুদ্রে গোসল করতে যাই। তখন সে জানালো তার এখন যেতে ইচ্ছা করছে না। তার নাকি মাথা ব্যথা করছে। তারপর আমি বন্ধু রাফসানকে ডাকতে লাগলাম। তবে রাফসান জানালো সেও আজকে সমুদ্রে যাবে না। এই কথা শুনে আমার প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হোলো। তারপর আমি একরকম টেনে হিচরে রাফসানকে সমুদ্রের পানি নিয়ে গেলাম। অবশ্য তখন বন্ধু রাসেল আমাদের পিছু পিছু এসেছিলো। শেষ পর্যন্ত রাসেলকে আমাদের বেশ কাজে লেগেছিল।

রাসেলের কাছে আমরা মোবাইল মানিব্যাগ স্যান্ডেল এগুলো দিয়ে আমি আর বন্ধু রাফসান সমুদ্রে নেমে গেলাম। বাইরে ছিল প্রচন্ড গরম। সেই গরমের ভেতরে সমুদ্রের পানিতে গা ভেজাতে দারুন লাগছিলো। কিছুক্ষণ গোসল করার পরে বন্ধু রাফসান বলতে লাগলো বেশ ভালো লাগছে। দুই দুই বন্ধু মিলে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে সমুদ্রের পানিতে গা ভেজালাম। একটা সময় খেয়াল করে দেখি অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে। তখন আমরা দুই বন্ধু উঠে রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আর যাওয়ার সময় পরিকল্পনা করলাম পরদিন সমুদ্রে দীর্ঘক্ষণ গোসল করবো।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানকক্স বাজার

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

প্রথমত লং জার্নি,দ্বিতীয়ত ঘুম হয়নি সেভাবে, আর সেজন্যই মনে হয় ফেরদৌস ভাইয়ের শরীরটা একটু খারাপ লেগেছিল। যাইহোক কক্সবাজার গিয়ে সমুদ্র সৈকতে নামার জন্য কিন্তু চরম উত্তেজনা কাজ করে। দীর্ঘক্ষণ সমুদ্র সৈকতে নেমে গোসল করতে পারলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক রাফসান ভাই এবং আপনি প্রথম দিন সমুদ্রে নেমে বেশিক্ষণ না থাকলেও, পরবর্তীতে মনে হয় দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

 3 days ago 

ফেরদৌস ভাইয়ার অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ ই লাগছিল।আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে শরীর ফিট থাকতে হয়।আপনাদের লং টাইম জার্নিটাই আপনাদের কাল হয়েছে আসলে।রেস্ট নিয়ে সমুদ্রে গিয়ে ভালো করেছেন।খাওয়ার পর পরই সমুদ্রে যাওয়া ঠিক হতো না।আশাকরি পরবর্তীতে সবাই খুব সুন্দরভাবে এনজয় করেছেন সমুদ্রের পাড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61796.23
ETH 2480.79
USDT 1.00
SBD 2.64