ব্যস্ত দিনের গল্প (প্রথম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড ব্যস্ততায় সময় কাটছে। এদিকে নিজের শরীরটাও কয়েকদিন ধরে কিছুটা খারাপ হয়ে পড়েছে। মনে মনে চিন্তা করছিলাম একটা ডাক্তার দেখানো দরকার। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে আর সেটা হয়ে উঠছিলো না। কারণ গত কিছুদিন ধরে দিনের বেশিরভাগ সময় আমাকে হাসপাতালের কাটাতে হচ্ছিলো। যাই হোক গতকাল আমার সেই শারীরিক সমস্যা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ঠিক করলাম আজ সকালে ডাক্তার দেখাবো। আমাদের এলাকার এক ছোট ভাই রয়েছে সে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে তার সাথে দেখা হলে সে জানালো সকাল ১১ টা থেকে তার ডিউটি হাসপাতালে।

IMG_20240420_120311.jpg

তখনই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজ সকালে হাসপাতালে যাবো। যাইহোক সকালে উঠে কিছু জরুরী কাজ শেষ করে বেলা ১১ টার কিছুক্ষণ পরে গিয়েছিলাম সদর হাসপাতালে। আমি জানতাম সেই ছোট ভাই হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে বসে। যার ফলে আমি প্রথমে সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নিলাম। ইমার্জেন্সি থেকে আমাকে জানালো সে অন্য একটা রুমে রোগী দেখছে। তখন আমি সেখানে গিয়ে দেখি প্রচুর লোকের ভিড়। এত ভিড় দেখে তখনকার মতো তাকে দেখানোর চিন্তা বাদ দিলাম। অবশ্য তার সাথে কথাবার্তা বলে তার একটা কার্ড নিয়ে এসেছি। যাতে পরবর্তীতে ফোনে তার সাথে আলোচনা করতে পারি। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে চলে গেলাম আমার মামাকে দেখতে। আমার মামা কয়েকদিন যাবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একটা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে আছে। সেখানে গিয়ে মামার খোঁজখবর নিলাম।


IMG_20240420_120258.jpg

পরবর্তীতে আমার মামি বললো সে একটু বাইরে যাবে। তখন আমি মামার কাছে অ্যাটেন্ডেড হিসেবে বসে রইলাম। মামি ফেরার আগ পর্যন্ত আমি সেখানেই ছিলাম। মামী ফিরেছিলো বেশ খানিকটা পরে। মামী ফেরার পরে আমি বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া করলাম। অনেকটা সময় বাইরে কাটানোর ফলে শরীর কিছুটা দুর্বল লাগছিলো। যার ফলে আমি খাওয়া-দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। এর ভেতরে আমার মা মনে করিয়ে দিলো রাতে তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। দিনের বাকি অংশে আমি আমার কিছু টুকিটাকি কাজ সেরে নিলাম। তারপর যথারীতি এশার নামাজ আদায় করে মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে রওনা দিলাম।


IMG_20240419_173619.jpg

কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি রীতিমত ভয়ংকর অবস্থা। আমরা যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার। তিনি আমাদের শহরের সবচাইতে নামকরা ডাক্তার। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম বহু দূর দূরান্ত থেকে অনেক রোগী এসেছে। এতো রোগের ভিড় দেখে রীতিমতো টেনশনে পড়ে গেলাম। তবে পরবর্তীতে দেখতে পেলাম আমার নানা বাড়ির কাছের এক লোক ডাক্তারের চেম্বারের ভেতরে। সে আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করল মামা আপনি এখানে? কি ব্যাপার কোন সমস্যা হয়েছে নাকি? তখন আমি তাকে জানালাম আমার মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন এত লোকের ভিড় দেখে তো মনে হচ্ছে আজকে আর ডাক্তার দেখানো হবে না। পরবর্তীতে সে বলল দাঁড়ান আমি দেখি কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা?

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আপনি তো দেখছি আসলেই ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করেছেন আজকে। সারাদিন হাসপাতাল আর ক্লিনিকে কেটেছে আপনার। তাছাড়া আপনার মামা অসুস্থ বিধায় কয়েকদিন ধরে প্রচুর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। যাইহোক সেই লোকের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আন্টিকে এতো ভিড়ের মাঝেও অর্থোপেডিক ডাক্তার দেখাতে পেরেছিলেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

 last month 

এই প্রচন্ড গরমে দিনটা আসলেই দারুন ব্যস্ততায় কেটেছিলো ভাই।

 last month 

আমি মনে করি ভাইয়া যত সমস্যা ডাক্তারের চেম্বারে গেলে। কারণ দিন দিন রোগের পরিমাণ এত বৃদ্ধি পাচ্ছে সবাই কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেয়ে ভিড় করে। আর সেখানে যদি কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে বেশ ভালো হয় একটু হলেও হেল্প পাওয়া যায়। আপনি তো হাসপাতালে দেখাতে পারলেন না। অবশেষে আপনার আম্মুকে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে। আশা করি আপনি ডাক্তার দেখাতে পেরেছিলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনার এত ব্যস্তময় মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

 last month 

একদম ঠিক বলেছেন আপু দিন দিন আসলেই আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আবার একথাও ঠিক ডাক্তার ছাড়া আমাদের চলাফেরা এখন মুশকিল।

 last month 

আপনার তো দেখছি সারাদিন হাসপাতালেই কেটে গেল দাদা। কখনো সদর হাসপাতাল আবার কখনো প্রাইভেট ক্লিনিক, এই করেই দিন গেল । আসলে আমার মনে হয় যে, একজন সুস্থ মানুষও হাসপাতালে গেলে অনেকটা অসুস্থ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে সে বলল দাঁড়ান আমি দেখি কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা?

তবে লোকের সাহায্য নিয়ে হলেও আপনি আমাদের কাকিমাকে হয়তো ডাক্তার দেখাতে পেরেছিলেন, এটাই মনে করে নিলাম। আমাদের কাকিমার সুস্থতা কামনা করছি। আপনিও অনেক ভালো থাকবেন দাদা এই গরমে।

 last month 

দিনটা আসলেই হাসপাতাল আর ক্লিনিকে কেটেছে। তবে এই ডাক্তারকে দেখানোর পর আমার মা এখন কিছুটা ভালো আছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last month 

আপনার মা এখন কিছুটা ভালো আছে, জেনে সত্যিই আমার অনেক ভালো লাগলো ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 70118.25
ETH 3744.50
USDT 1.00
SBD 3.84