তপ্ত দুপুরে নদীর পানিতে গা ভেজানো।
কারণ আমরা সাধারণত ধলার মোড় নামক একটি জায়গায় নদীতে গোসল করতাম। কিন্তু সেখানে এখন বিশাল চর পড়ে যাওয়ার কারণে নদীর পানি পর্যন্ত যেতে চরের ভেতর দিয়ে অনেকটা পথ হাঁটতে হয়। সেই কারণে জায়গাটা পরিবর্তন করেছিলাম। বাসা থেকে বের হয়ে একটি রিকশা নিয়ে সরাসরি চলে গেলাম সেই নদীর পাড়ে। নদীর পাড়ের এই জায়গাটা ছিল আমার বাসা থেকে প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরে। যার ফলে সেখানে যেতে কিছুটা সময় লেগেছিলো। সেখানে পৌঁছে দেখতে পেলাম অনেক ছেলেপেলে নদীর পানিতে গোসল করছে। এত বেশি লোক আমরা আশা করিনি। পরে বুঝতে পারলাম প্রচন্ড এই তাপদাহে সবাই আমাদের মতো কষ্ট পাচ্ছিলো। এই কারণে সবাই নদীর ঠাণ্ডা পানিতে শরীর জুড়াতে এসেছে। নদীর পাড় থেকে আমরা কিছুটা পথ বালুময় চর অতিক্রম করে যখন পানির কাছে পৌঁছলাম। তখন স্বচ্ছ নদীর পানি দেখে দুলাভাই বেশ খুশি হোলো। তারপর দুজনে কাপড় চোপড় পাল্টে নদীর পানিতে নেমে পড়লাম। নদীর ঠান্ডা পানিতে ডুব দিতেই এক অসাধারণ অনুভূতি হোলো। মনে হচ্ছিলো এর থেকে শান্তি আর কিছুতে হতে পারে না। আমরা দুজনেই গল্প করতে করতে গোসল করতে লাগলাম। নদীর পানিতে থাকতে এতটাই ভালো লাগছিলো। আমার মনে হচ্ছিলো বিকাল পর্যন্ত সেখানেই থেকে যায়।
আশেপাশে অনেক ছেলেপেলেকে দেখতে পাচ্ছিলাম তারা রীতিমতো বন্ধু-বান্ধবের গ্রুপ নিয়ে এসেছে গোসল করতে। আসলে তখনও ঈদের ছুটি চলছিলো। তাই শহরের বাইরে থেকে অনেকেই বাড়িতে ফিরে ছিলো। সে কারণেই নদীর পাড়ে এত মানুষের সমাগম দেখেছিলাম। এক সময় আমি আর আমার দুলাভাই চিন্তা করছিলাম আরো কিছুটা দূরে গিয়ে নদীর পানিতে নামতে পারলে ভালো হোতো। তাহলে নিরিবিলি গোসল করতে পারতাম। যাইহোক তারপরও যেখানে নেমেছিলাম সেখানে যে আমাদের খারাপ লাগছিলো তা নয়। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ নদীর পানিতে গা ভেজানোর পর দেখতে পেলাম আমার খালাতো ভাই তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নদীতে গোসল করার জন্য এসেছে। খালাতো ভাইকে দেখে তাকে ডাক দিলাম পরে সেও কিছুক্ষণ সময় আমাদের সাথে বসে গল্প করলো।
আমি নদীতে গোসল করছিলাম আর মনে মনে পরিকল্পনা করছিলাম এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আবার এখানে আসতে হবে। নদীর এই অবস্থা থাকতে থাকতে আরো কয়েকবার গোসল করতে হবে। কারণ এই সময়ে গোসল করে যে মজা সেটা অন্য সময় পাওয়া যাবে না। নদীর পানি যখন বাড়তে শুরু করবে তখন নদীর পানি ঘোলা হয়ে যায়। তাছাড়া আরও কিছুদিন পর নদীর পানি এতটা ঠান্ডা ও থাকবে না। যাইহোক এভাবেই প্রায় এক দেড় ঘন্টা গোসল করার পর দুজনে উঠে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। গোসল করে আমাদের দুজনেরই অনেক ভালো লেগেছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই প্রচন্ড গরমে নদীর পানিতে গোসল করার মজাই আলাদা। আর পানি যদি এমন স্বচ্ছ হয়,তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। যাইহোক ফেরদৌস ভাই এবং রাসেল ভাই অসুস্থ বলে,আপনার দুলাভাইকে নিয়েই গোসল করতে গিয়েছেন তাহলে। দু'জনে মিলে দেখছি অনেকক্ষণ গোসল করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন নদীর পানি একেবারে স্বচ্ছ। যেটা পানি বাড়লে ঘোলাটে হয়ে যায়। এই গরমে নদীতে গোসল করার মতো প্রশান্তির যেন আর কিছু নেই। তপ্ত দুপুরে নদীর পানিতে গিয়ে বসে থাকে হবে হা হা। আপনি আপনার দুলাভাইয়ের সাথে গোসল করতে চলে গিয়েছেন। এরপর একদিন বন্ধুদের সাথে যাবেন আরও বেশি মজা হবে আশাকরি।