স্ত্রীকে নিয়ে হালকা খাওয়া দাওয়া করার অভিজ্ঞতা।
বিকালের দিকে ডাক্তার দেখালে তিনি আমাকে বেশ কিছু টেস্ট দিলেন। টেস্ট করতে দিয়ে জানতে পারলাম রিপোর্ট পাবো রাত আটটার দিকে। তখন আবার রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারকে সেই রিপোর্ট দেখাতে হবে। যাইহোক আটটার দিকে যখন আমি ডাক্তারের চেম্বারে যাবো তখন আমার স্ত্রী বলল সেও আমার সাথে যাবে। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম কোন দরকার নেই। আমি একাই গিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসতে পারবো। কিন্তু সে কিছুতেই আমার কথা শুনলো না। শেষ পর্যন্ত সে আমার সাথে রওনা দিলো ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের সাথে কথাবার্তা শেষে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম। দুজন ডাক্তারের কাছ থেকে বের হওয়ার পরে আমি আমার স্ত্রীকে বললাম চলো কিছু খাওয়া যাক। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে গেলেই চেষ্টা করি টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করতে। কারণ সে বাইরে খেতে খুব পছন্দ করে। যদিও গতকাল তার খুব একটা খাওয়া দাওয়া করার ইচ্ছা ছিলো না।
তারপরেও আমি কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পরে দেখলাম তার কিছুটা সম্মতি রয়েছে। আমরা ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়ার পরে কিছুটা হাটার পরই একটা মোড়ে গিয়েছিলাম। যেখানে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ছিলো। সেখানকার একটি রেস্টুরেন্ট দেখে আমার ওয়াইফ বলল এই রেস্টুরেন্টের চা টা খুবই ভালো। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম তুমি এখান থেকে আগে কখনো খেয়েছো? সে আমাকে বললো সে তার পরিবারের সাথে সেখানে গিয়ে চা খেয়েছিলো। তখন আমি তাকে বললাম তাহলে চলো এখান থেকে চা খাই। তখন সে বললো আজকে আমার এসিডিটি টা বেড়েছে। যার ফলে এখন চা খাওয়া যাবে না। তখন আমি তাকে বললাম তাহলে এখান থেকে লাচ্ছি খাও। তখন সে সম্মতি জ্ঞাপন করলো। তারপর আমরা দুজন ছোট্ট সেই রেস্টুরেন্টের ভেতর ঢুকে বসলাম। বসে সেখানকার মেনু কার্ডের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আমরা সেখান থেকে চিকেন নাচোস, লাস্যি, মিন্ট লেমোনেট এবং আমার মেয়ের জন্য বার্গার আর আমার মায়ের জন্য সাব স্যান্ডউইচ অর্ডার করেছিলাম।
তবে অর্ডার করার কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পেলাম মেনু কার্ডে চকলেট মিল্কশেকের নাম রয়েছে। তখন আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম লাস্যি খাবে না মিল্কশেক খাবে? তখন সে বললো মিল্কশেক অর্ডার দিতে। তখন আমি লাস্যির অর্ডার ক্যানসেল করে আমার স্ত্রীর জন্য মিল্কশেক অর্ডার করলাম। অর্ডার করে দুজনে বসে বসে গল্প করছিলাম। কিছুটা দেরি দেখে আমি তাদেরকে বললাম আগে নাচোস পরিবেশন করতে। কিন্তু তারা করল উল্টো কাজ। তারা প্রথমে টেবিলে মিন্ট লেমোনেড দিয়ে গেলো। তার কিছুক্ষণ পরে নিয়ে এলো চকলেট মিল্কশেক। আমরা দুজনেই দুটো জিনিস টেস্ট করে দেখলাম। তবে তাদের মিন্ট লেমোনেড মোটেও ভালো ছিলো না। চকলেট মিল্কশেকটা মোটামুটি ভালোই ছিলো।
কিছুক্ষণ পরে তারা টেবিলে নাচোস পরিবেশন করলো। তবে নাচোসের চেহারা দেখেই বুঝতে পারলাম খেতে খুব একটা ভালো হবে না। কারণ নাচোসের চিপস গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছিল খুব একটা ভালোভাবে ভাজা হয়নি। চিপসগুলো ক্রিস্পি না হয়ে একটু শক্ত হয়ে গিয়েছিলো। যার ফলে নাচোসটা আমাদের একেবারেই ভালো লাগেনি। যাইহোক তারপরও আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন বার্গার আর সাব স্যান্ডউইচ পার্সেল দিতে বললাম। তখন তারা জানালো সাব স্যান্ডউইচ হবে না। কারণ তাদের স্যান্ডউইচের ব্রেড শেষ হয়ে গিয়েছে। কি আর করা তখন শুধু মেয়ের জন্য বার্গার নিয়ে দ্রুত বাড়িতে ফিরে এলাম। কারণ ততোক্ষণে প্রায় রাত দশটা বেজে গিয়েছে। এভাবে দুজনে বাইরে চমৎকার কিছুটা সময় কাটালাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো দেখছি ভাবির সাথে অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন ডাক্তার দেখাতে গিয়ে। আসলে ডাক্তার দেখানোর চেয়ে আমরা যদি বাইরে আমাদের প্রিয় মানুষকে নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করতে পারি তাহলে এতেই তাদের রোগ অনেকটা ছেড়ে যায়। যাই হোক ভাবির দ্রুত সুস্থ কামনা করছি। আর খাওয়ার দাবারগুলো দেখে আমার একটু লোভ হচ্ছে কিন্তু দাদা।
ঠিকই বলেছেন দাদা। রোগ সারানোর ক্ষেত্রে মনের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মন ভালো থাকলে মানুষ দ্রুত সুস্থ হয়।
বড় বড় ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এমনই হয়। তাদের দেখানোর জন্য সিরিয়াল কয়েকদিন আগেই দিয়ে দিতে হয়। আপনি আর ভাবি মিলে বাইরে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। যদিও আপনি বললেন কিছু কিছু খাবার ভালো লাগেনি। চকলেট মিল্ক সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম রেস্টুরেন্টের নামটা। প্রথম দেখাতে অনেকেই ভাবতে পারে এটা টেস্টি ট্রিট এর কোন আউটলেট। মূলত এটাও তাদের একটা বিজনেস পলিসি। বড় বড় ব্র্যান্ডের নামগুলোকে কিছুটা মডিফাই করে তারা ব্যবহার করে। যাই হোক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন আপু। বড় বড় ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে অনেক ব্যবসায়ী বাড়তি সুবিধা নিতে চায়।
আমাদের দেশের কিছু কিছু ডাক্তারকে দেখানোর জন্য ৬ মাস আগেও সিরিয়াল দিতে হয় ভাই😂। যাইহোক ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখিয়ে, সুমা আপুকে নিয়ে মোটামুটি ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। চকলেট মিল্কশেক আমারও ভীষণ পছন্দ। আসলে বাহিরে গিয়ে টুকটাক না খেলে আসলেই ভালো লাগে না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মত আমারও একই অবস্থা। বাইরে গেলে কিছু খাওয়া দাওয়া না করলে একেবারেই ভালো লাগেনা।
এটা শুনে খুব ভালো লাগলো দাদা, আপনি এবং আপনার স্ত্রী যখন বাইরে যান তখন টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করার চেষ্টা করেন বাইরে। আপনাদের খাওয়া এই নাচোস খাবারটার নাম আমি এই প্রথমবার শুনলাম। আমাদের এইখানে মনে হয় এই খাবারটা পাওয়া যায় না। যাইহোক, আপনরা দু'জনে মিলে যে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছিলেন সেখানে খেতে গিয়ে, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো।