খোলা জায়গা মানেই ময়লার ভাগাড়।
তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি চলে গেলাম সেই হাসপাতালের পেছনের দিকে সেখানে একটি সুপ্রশস্ত নতুন রাস্তা হয়েছে সেখানে। চিন্তা করেছিলাম সেই রাস্তার পাশে দাঁড়ালে হয়তো হালকা বাতাস পাওয়া যেতে পারে। যদিও দিনের বেলায় রাস্তার পিচ গুলো গরম হয়ে সেখান থেকে গরম ভাপ ওঠে। তার পরেও যেহেতু ততক্ষণে বিকাল হয়ে গিয়েছে সূর্যটা পশ্চিম দিকে অনেকটা হেলে পড়েছে। তাই চিন্তা করলাম এখন হয়তো রাস্তা খুব একটা গরম নেই। যাই হোক রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখতে পেলাম রাস্তার পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। কিন্তুু সেই পুকুরে একেবারেই কোনো পানি ছিলো না। মূল সমস্যা হলো পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো। কারণ সেখানে আশেপাশের মানুষজন ময়লা আবর্জনা ফেলে পুকুরের পাড়টাকে একটা ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছে।
এই সমস্যা যে শুধু এখানেই দেখছি তা নয়। আমাদের দেশের সর্বত্র আমরা এই ধরনের সমস্যা দেখতে পাই। কোন একটা ফাঁকা জায়গা পেলে আমরা সবাই মিলে সেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলে জায়গাটাকে নষ্ট করার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এই কারণে আমাদের দেশের রাস্তা ঘাট দিন দিন নোংরা হয়ে যাচ্ছে। যখনই আমাদের কোন আত্মীয়-স্বজন বিদেশ থেকে আসে তারা এসে একটা বিষয় নিয়ে খুব আফসোস করে। তারা সবসময় বলে বিদেশের রাস্তাঘাট গুলো কতো পরিষ্কার। সেখানে রাস্তার পাশে কখনো ময়লা আবর্জনা দেখতে পাওয়া যায় না। আর আমাদের দেশে রাস্তা ঘাটের আশেপাশে কোন ফাঁকা জায়গা পেলেই মানুষ সেখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। এতে আমাদের পরিবেশটা কতোটা নষ্ট হয়ে যায় এটা আমরা কখনোই কেউ চিন্তা করি না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষজন খুবই উদাসীন।
আমি খেয়াল করে দেখেছি মাঝে মাঝে ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর বাসার সামনে পলিথিনে ভরা ময়লা দেখতে পাই। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ময়লা গুলো ফেলে যায়। যদিও এখন শহরে বাসা বাড়ির ময়লা নেয়ার জন্য আলাদা সার্ভিস রয়েছে। আমাদের পৌরসভা থেকে প্রত্যেকটা বাসা বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা হয়। অবশ্য এর জন্য আমাদেরকে মাসিক টাকাও পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা পৌরসভার ময়লার গাড়িতে ময়লা না দিয়ে সেগুলো এদিকে ওদিকে ফেলে বেড়ায়। আর আছে বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের মালিকেরা। তারাও তাদের ময়লা আবর্জনার একটা অংশ এভাবে রাস্তার ঘাটের আশেপাশের খোলা জায়গায় ফেলতে পছন্দ করে। আর এই সমস্ত লোকজনের জন্যই আমাদের দেশটা দিন দিন একটা নোংরা দেশে পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। রীতিমতো একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে বা যারা পরিবেশ ধ্বংসকারী এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাহলেই যদি এই সমস্যার সমাধান হয়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সোমা আপুর দাঁতের সমস্যার কথা শুনে সত্যিই খারাপ লাগলো। আপুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ডাক্তার দেখানো মানেই এক বিশাল ঝামেলার কাজ। সিরিয়াল দেরিতে হলে তো অবস্থা একেবারে নাজেহাল। ওয়েটিং রুমে বসে থাকা কঠিন হয়ে যায়। আর বর্তমানে খোলা জায়গা কিংবা রাস্তার পাশের অবস্থা দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে। ময়লা আবর্জনায় একেবারে ভরে থাকে। পৌরসভা থেকে ময়লা সংগ্রহের গাড়ি পাঠালেও অনেকে দেখা যায় ঠিক সময়ে ময়লা ফেলতে আসে না। আর পরবর্তীতে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে চলে যায়।
খোলা জায়গায় ময়লা ফেলার অভ্যাস বাঙালির অনেক পুরনো। তবে এই অভ্যাস থেকে এখন বের হয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এইটা আমার কাছে খুবই বাজে লাগে। আমাদের কুষ্টিয়া জেলায় হাইওয়ের পাশে এমন দুইটা স্থান আছে যেখানে মানুষ এইরকম ময়লা ফেলে অবাদে। সত্যি বলতে ঐখান দিয়ে যেতে গেলে নাক বন্ধ করতে হয় দূর্গন্ধে। এতটা বাজে একটা অনূভুতি সৃষ্টি হয় সেটা বলে বোঝানোর মতো না। আপনি পোস্ট টা কতটা আফসোসের সাথে করেছেন সেটা বুঝতে পারছি।। কিন্তু কিছু করার নেই ভাই এটা বাংলাদেশ।
ঠিক বলেছেন এটাই বাংলাদেশ। তবে আমাদেরকে এই বাংলাদেশটাকেই পরিবর্তন করতে হবে।
রাস্তার পাশে এভাবে ময়লা আবর্জনা দেখলে যে কি পরিমাণে বিরক্ত লাগে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাজে গন্ধে বমি আসার মতো অবস্থা হয়ে যায়। ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও অনেক মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। এই ব্যাপারে অবশ্যই গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু বিবেকহীন মানুষ এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে। আর তাদের জন্য সবার কষ্ট হয়।
আপুর দাঁতের সমস্যা সেটা আগে জানতাম তাহলে আবার বেড়ে গেল। চোখের সমস্যা দাঁতের সমস্যা মাথা ব্যথা এগুলো হচ্ছে বিরাট সমস্যা। এগুলো হলে আর কন্ট্রোল করা যায় না লেগেই থাকে সব সময়। দোয়া করি যাতে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আপনি তো বেশ বড় ময়লার ভাগাড় দেখতে পেলেন। আপনি ঠিক বলছেন খোলা জায়গায় মানে হচ্ছে ময়লার ভান্ডার। মানুষ সবাই সেখানে ময়লা নিয়ে ফেলে দেয়। বাংলাদেশের মানুষ যত শিক্ষিত হোক না কেন সচেতনতার দিক থেকে খুবই পিছিয়ে। ঠিক বলছেন পৌরসভার গাড়িগু লো এসে ময়লা নিয়ে গেলেও রাস্তার ধারে ময়লা দেখা যায় সব সময়। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
খোলা জায়গা পেলেই ময়লা ফেলা আসলে এক ধরনের মানসিক সমস্যার লক্ষণ। কিছু মানুষ আছে অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে। এদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।