রাত ১১ টা। ভাইয়া ২ টাকা দিবেন🥺 || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
সবার সুস্থতা কামনা করছি
রাত ঠিক ১০.৫৩ মিনিট। আমি বিজয় সরণির সিগনালে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় একটি ছোট্ট মেয়ে এসে আমার বাইক পরিষ্কার করে দিচ্ছিলো এরপর আমাকে বলে ভাইয়া মাত্র 2 টাকা দিলেই হবে দিবেন মাত্র 2 টাকা। হঠাৎ করে মেয়েটির লক্ষ্য করে আমার সম্পূর্ণ শরীর ভিজে আছে।আমায় বলল ভাইয়া আপনার শরীর এতো ভিজা কেন আপনার শীত করে না? আমি বললাম কিছু করার নেই বোন। বলল ভাইয়া থাক টাকা দিতে হবে না আপনি তাড়াতাড়ি বাসায় যান আপনার তো ঠান্ডা লাইগা যাইবো। মুহুর্তের মধ্যে আমার কলিজার মধ্যে কেমন এক অদ্ভুত অনুভুতির সৃষ্টি হয়। এত ছোট্ট একটি মেয়ে রাত এগারোটা বাজে সে এখনো বাহিরে শুধু কিছু টাকার জন্য।হায়রে বাস্তবতা কি করুন অবস্থা তাদের। আমি বললাম একটা ছবি তুলি আয়। বলল আচ্ছা। এবার বলি ৫০ টাকা দিলে খুশি হবি। কেমন একটা হাশি যে দিলো বলে বুঝানোর মতন না। বেশি খারাপ লেগেছে আমার পাশের বাইক টা পরিস্কার করে দিলো কিন্তু ওই লোক ওরে কিছুই দিলো না। কি হয় এতো রাতে একটা বাচ্চার হাতে কিছু টাকা দিতে। বিশ্বাস করেন আমি লিখছি আমার চোখের পানি টলটল করছে। ওরা আজ এই অবস্থায় আছে এটা ওরা চায় নাই কোন দিন। পরিস্থিতি আজ ওদেরকে এই জায়গাতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মাঝে মাঝে চিন্তা করি ওদের জায়গায় হয়তো বা আমিও থাকতে পারতাম অনেক আশা নিয়ে হয়তোবা কারো কাছে যেতাম কিন্তু যখন মানুষ খালি হাতে ফেরায় সত্যি অনেক কষ্ট পায় ওরা।
কেউ যদি মনে করেন ও ভিক্ষা করছে তাহলে আমি বলব আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ আমরা একটি বাইক পরিষ্কার করতে 150 টাকা থেকে 200 টাকা দিয়ে থাকি সেখানে ও অন্তত কিছুটা হলেও বাইক পরিষ্কার করে তার বিনিময় দুই টাকা চায় এটা খুব বেশি চায় বলে আমার মনে হয় না। আর এটা ভিক্ষা হবে বলে আমার মনে হয় না।
ছবিটা যখন এখানে পোস্ট করলাম তখন একটি বিষয় খেয়াল করলাম এই শীতের মধ্যে ও খালিপায়ে। নিজের কাছে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে যদি একজোড়া জুতা কিনার টাকা অন্তত দিয়ে দিতাম তাহলে হয়ত বা খুব ভালো হতো।যাইহোক এখন আসলে বলে আর লাভ নেই।
অনেকে বলতে পারেন দান করেছেন বা তাকে দিয়েছেন সেটা আপনি আমাদেরকে বলার কি ছিল। দান গোপন রাখাই ভালো।আমি তাদের বলব এমন 50 বা 100 টাকা আমি অনেকেরেই দেই সেটা আল্লাহ চায় বলেই দেই। কিন্তু প্রকাশ করি না। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু বিষয় প্রকাশ করা উত্তম এই জন্য যে আপনারাও এগিয়ে আসুন এই পথ শিশুদের পাশে। তাহলে হয়তোবা একটা সময় রাস্তায় এমন অসহায় বাচ্চাদের দেখে আমাদের খারাপ লাগবে না। কারণ ওদের সংখ্যা অনেক অনেক কম আমাদের মত মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি।আমরা যদি একটু ওদের পাশে এগিয়ে আসি তাহলে হয়তোবা ওদের এ কষ্ট আর কষ্ট থাকবে না।
অনেকে এমন চিন্তা করতে পারেন আমি আর কি দান করব আমার কাছে আর কতই বা আছে।তাদের বলব আপনার কাছে যদি 10 টাকা থাকে সেখান থেকে আপনি অল্প কিছু হলেও দেয়ার চেষ্টা করুন। কোটি কোটি টাকা থাকলে আপনি কি দিতেন সেটা এই 10 টাকা যখন আছে তার থেকে কিছু দেয়ার উপরেই ডিপেন্ড করে। কারণ এখন 10 টাকা রয়েছে আপনার কাছে আপনার চাহিদা ও কিন্তু দশ টাকার।যখন কোটি টাকা থাকবে তখন আপনার চাহিদা কিন্তু কোটি টাকার থাকবে। তাই মানুষকে সাহায্য করার জন্য টাকার পরিমাণ নয় মানুষকে সাহায্য করার জন্য নিজের মনকে আগে উৎসাহিত করতে হবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
সব ছবি এক জায়গায়। সেম ডিভাইসে ক্যাপচার করা।🙏
গতকাল সকাল 9 টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে যাই ডেলিভারি দেয়ার উদ্দেশ্যে দুপুরের খাবার ও এক কাস্টমারে বাসায় খেয়েছি। রাত 11:30 মিনিটে বাসায় ফি্রি। এর মাঝে দুইবার বৃষ্টিতে ভিজেছি দুইবার বাইক চালানোর বাতাস থেকে শরীর শুকিয়েছে। সত্যি বলতে এত পরিশ্রম করার পর রাতে যখন এই ছোট বাচ্চার মুখে হাসি দেখলাম মনে হল পরিশ্রম আমার স্বার্থক। কারণ আমার উপার্জন করা টাকা থেকে কিছু টাকা দিয়ে আমি হয়তোবা একটু হাসি কিনে নিলাম।
চিন্তার দিন শেষ বলো আমার বাংলা ব্লগের হবে বাংলাদেশ।
আমি সাইফুল ইসলাম রাজু ।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
ঢাকা মোহাম্মাদপুর থেকে কাজ করি ।
মুন্সিগঞ্জ এর ছেলে ।
বাংলাদেশের একটি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন ই-কমার্সে কাজ করি।
আপনার সাথো টোটালি একমত ভাইয়া। আমি মাঝে মাঝে ভাবি এতো পরিশ্রম কিভাবে করেন! আর আসলে দানকে অনেকেই শো অফ মনে করে। তবে শো অফের মাধ্যমেই যদি আমি একজনের পাশে দাড়াতে পারি তাতে মন্দ করি! মানুষ মানুষের জন্য। ওদের মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই কষ্ট অনেকটা স্বার্থক হয়। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
ভাই আপনি অনেক পরিশ্রমী সেটা আমি জানি। তবে এতো পরিশ্রম করেন কি ভাবে? যাইহোক খুব ভালো একটি কাজ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে। আর এটা কখনও ভিক্ষা হয় নাহ কেননা সে পরিশ্রম করেই টাকা নিচ্ছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
আপনার লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো ভাই। এরকম একটা ফুটফুটে মেয়ে রাত বারোটার পর রাস্তায় বেরিয়ে অন্যের কাছে কাজ করে টাকা চাইছে। আর লোক গুলো যখন তাদেরকে টাকা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয় সেটা দেখতে আরো খারাপ লাগে। আমাদের সকলের উচিত এরকম অসহায় পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো। অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়েটিকে দেখে খুবই কষ্ট লাগলো ভাইয়া। কিন্তু আপনার সাথে হাসিমুখে সেলফি তুলেছে। আসলে এরকম কত হাজার হাজার ছেলে মেয়েরা এরকম পরিস্থিতিতে রয়েছে তা আমরা জানিনা । ও এত কষ্টে করে থাকার পরেও আপনার শরীর ভিজে আছে তার চিন্তা করছিল। এটা তো আমরাও পারব না। ওরা কষ্টে থাকার কারণে অন্যের কষ্ট বোঝে। আপনার পোস্ট পরে বুঝলাম এটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় পোস্ট। কাউকে দান করে দেখানোর মত পোস্ট নয়। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আজকে একটু আগে আপনার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট টি দেখলাম।দেখে খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই মহানুভবতা।মানুষ চাইলে যেকোনো অবস্থানে থেকেই সাহায্য করতে পারে।অনেকে তো চার চাকায় ঘুরে বেড়িয়েও 10 টাকা দিতে অনেক কিপটামি করে।
সবাই তো আপনার মত না ভাই।মানুষের ওই হাসিমুখ দেখার জন্যে দিল থাকা দরকার।🤟🖤🙏
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মানুষত্ব বোধ থেকে গরীব মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য।আসলে ভাইয়া আমরা কখনো কখনো সৃস্টির সেরা জীব হয়েও সেটির সঠিক প্রতিদান দিতে পারি না এটি মানুষ হিসেবে আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।আবার কিছু কিছু আমরা মানুষ আছি যারা ভাবি এখন না যখন আমাদের কাছে কোটি কোটি টাকা থাকবে তখন দান করবো আমাদের এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ।আশা করি সবাই নিজ নিজ অবস্থান হতে অসহায় মানুষদের জন্য এগিয়ে আসবো।
ভাইয়া খুবই ভালো একটি পোস্ট করছেন আপনার গল্পটা পড়তে গিয়েও আমার ও চোখে পানি এসে গেছে।আসলে আমরা মানুষ কতো রকমের হতে পারি। ওদের মাত্র ১০/১৫ টাকা দিলে এত খুশী হয়ে যায় যেটা আপনি দেখতে পাইছেন। আর অন্য যে বাইকার দিল না সে এই আনন্দ বুজে না।আল্লাহ আপনাকে আরো দেওয়ার তৌফিক দিক আমিন।
আসলে ভাইয়া আপনি কঠিন পরিশ্রম করেন এবং সেটা অনেক আগে থেকেই তা জানি। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা অনেক সময় অনেক পরিস্থিতিতে পড়ি, কখন কাকে আল্লাহ কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় সেটা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। তবে দানশীল ব্যক্তি সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং আল্লাহর কাছে সম্মানিত একজন বান্দা। আমরা চাইলে আমাদের রাস্তায় এভাবে পথশিশুর থাকবেনা। আর মানুষের কাছে ঘুরে বেরিয়ে হাত পাততে হতো না। যাইহোক আমি এগুলো নিয়ে তেমন কিছু বলবো না, তবে আপনি এবং কি মেয়েটির হাসি দেখে খুবই ভাল লাগল। এবং আপনার সারাদিনের কষ্ট আপনি ভুলে গিয়েছেন শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে 50 টাকা দিয়েছেন, টাকাটা বড় কথা নয় সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনার অন্তর যে তার জন্য কেঁদেছে। এবং তাকে একটু সহযোগিতা করতে পেরে আপনি অনেক আনন্দ অনুভব করছেন। আর আমাদের সাথে ব্লগ টি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম ভাই টু।
কি আর বলবো ভাই। এই ধরনের ঘটনা গুলো দেখলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। সামান্য ২ টাকার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতছে। মানুষ যখন তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে তখন আরো খারাপ লাগে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কাজের জন্য।আমাদের সকলের উচিত এদের পাশে দাঁড়ানো।
খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পরে।আসলে এইরকম অনেক শিশু রয়েছে আমাদের এই শহরে। দেখে অনেক মায়া লাগে।সব চেয়ে ভালো লাগলো মেয়েটা নিজের চিন্তা না করে আপনার কথা ভেবেছে।আসলে এই দুনিয়ায় আপন মানুষ খবর নেয় না।খুব মায়া লাগলো মেয়েটাকে দেখে।খুব সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।